বিএনপির জন্য জামায়াতের আত্মহত্যা?
লিখেছেন লিখেছেন মোস্তফা মোঘল ১৭ জুলাই, ২০১৩, ১১:৫৪:৫৮ রাত
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। দলের সবচেয়ে বড় নেতা প্রফেসর গোলাম আযম, নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় হয়েছে। সংগঠনের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ আরও প্রায় হাফ ডজন কেন্দ্রিয় নেতার বিচার চলছে। সময়ের ব্যবধানে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তি হবে এটা অরেনকটাই নিশ্চিত। বর্তমান সরকারের শাসনামলের বেশির ভাগ সময় সারাদেশে জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রমের উপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে মিছিল করার অধিকারটুকুও নেই। সারাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মি জেলখানায় বন্দি। লাখ লাখ নেতাকর্মির বিরুদ্ধে মামলার পাহাড় জমেছে। লাখ লাখ নেতাকর্মি ফেরারি হয়ে ঘুরছে। এক কথায় জামায়াতে ইসলামীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে।
প্রশ্ন হলো- জামায়াতকে এতটা কঠিন সময় অতিক্রম করতে হচ্ছে কেন? সরকারের এমন কী ক্ষতি করেছে তারা? এক সময় একই মঞ্চে শেখ হাসিনা গোলাম আযম-নিজামীর পাশে বসলেন আজ হঠাৎ এতোটা দূরে ঠেলে দিলেন কেন? উত্তরটা কারো অজানা নয়; দেশের প্রতিটি সচেতন মানুষ এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত।
যে যাই বলুক, জামায়াত দেশের রাজনীতিতে অনেক বড় ফ্যাক্টর। সেটা ভোটের রাজনীতি হোক বা মাঠের রাজনীতি হোক। উভয় ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জিং পজিশনে রয়েছে তারা। ফলে ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য হাসিনা এবং খালেদা উভয়েরই জামায়াতকে পাশে রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ইসলামের ব্যাপারে দলীয় মনোভাবের কারনে আ’লীগকে ছেড়ে বিএনপির প্রতি জামায়াতের আগ্রহটা বেশি হওয়ায় রাজনৈতিক ঐক্য তাদের সাথেই হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার বিএনপি থেকে জামায়াতকে দূরে সরাতে চেষ্টার ত্র“টি করেনি এতটুকুও। সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে চেষ্টার পরেও সফল না হওয়ায় সর্বশেষ অস্ত্রটি ব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনা। মিডিয়ার সহযোগিতায় যুদ্ধাপরাধের বিতর্কিত ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে সাফল্যের সাথে সে পথেই এগিয়ে চলেছেন।
অধিকাংশ মানুষের ধারনা- বিএনপি থেকে দূরে সরে গেলেই আ’লীগের কোপানল থেকে রক্ষা পাবে জামায়াত। হাসিনার সাথে জোট না বাঁধলেও জামায়াতের গায়ে আঁচড় লাগবেনা। কিন্তু তারপরেও জামায়াত হাসিনার প্রস্তাবে রাজি হচ্ছেনা। কারন, এই প্রস্তাবে রাজি হওয়া মানেই দেশের ১৬ কোটি মানুষের সাথে বেঈমানী করা। এই প্রস্তাবে রাজি হওয়া মানেই ঈমানদারের রক্তের সাথে বেঈমানী করা। আ’লীগের কথায় সম্মতি দেয়া মানেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অন্যের হাতে তুলে দেয়া। একটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তি কখনোই এটা করতে পারেনা বলেই জামায়াত কঠিন জুলুম-নির্যাতন সত্ত্বেও সরকারের সাথে আপোষ করেনি।
সরকারের বর্তমান অবস্থা এবং জনগণের সেন্টিমেন্টে পরিষ্কার যে জামায়াত সাথে থাকলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি জোটই ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু জামায়াত না থাকলে ফল অন্যরকমও হতে পারে! এখন প্রশ্ন হলো- বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে জামায়াত যতটা ত্যাগ স্বীকার করছে ক্ষমতায় যাওযার পর বিএনপি কি তা মনে রাখবে? জামায়াতের চরম বিপদে বিএনপি কি সত্যিকারের বন্ধুর মত আচরণ করছে? আপাতঃ দৃষ্টিতে তা মনে হচ্ছেনা। বিএনপির জন্য জামায়াত যতটুকু করেছে এবং করছে বিএনপি সে তুলনায় কিছুই করছেনা। তাহলে শুধু শুধু বিএনপির জন্য জামায়াতের এত বড় ঝুঁকি নেয়া কতোটা যৌক্তিক এবং ফলদায়ক তা সময়ই বলে দেবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। দলের সবচেয়ে বড় নেতা প্রফেসর গোলাম আযম, নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় হয়েছে। সংগঠনের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ আরও প্রায় হাফ ডজন কেন্দ্রিয় নেতার বিচার চলছে। সময়ের ব্যবধানে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তি হবে এটা অরেনকটাই নিশ্চিত। বর্তমান সরকারের শাসনামলের বেশির ভাগ সময় সারাদেশে জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রমের উপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে মিছিল করার অধিকারটুকুও নেই। সারাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মি জেলখানায় বন্দি। লাখ লাখ নেতাকর্মির বিরুদ্ধে মামলার পাহাড় জমেছে। লাখ লাখ নেতাকর্মি ফেরারি হয়ে ঘুরছে। এক কথায় জামায়াতে ইসলামীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে।
প্রশ্ন হলো- জামায়াতকে এতটা কঠিন সময় অতিক্রম করতে হচ্ছে কেন? সরকারের এমন কী ক্ষতি করেছে তারা? এক সময় একই মঞ্চে শেখ হাসিনা গোলাম আযম-নিজামীর পাশে বসলেন আজ হঠাৎ এতোটা দূরে ঠেলে দিলেন কেন? উত্তরটা কারো অজানা নয়; দেশের প্রতিটি সচেতন মানুষ এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত।
যে যাই বলুক, জামায়াত দেশের রাজনীতিতে অনেক বড় ফ্যাক্টর। সেটা ভোটের রাজনীতি হোক বা মাঠের রাজনীতি হোক। উভয় ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জিং পজিশনে রয়েছে তারা। ফলে ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য হাসিনা এবং খালেদা উভয়েরই জামায়াতকে পাশে রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ইসলামের ব্যাপারে দলীয় মনোভাবের কারনে আ’লীগকে ছেড়ে বিএনপির প্রতি জামায়াতের আগ্রহটা বেশি হওয়ায় রাজনৈতিক ঐক্য তাদের সাথেই হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার বিএনপি থেকে জামায়াতকে দূরে সরাতে চেষ্টার ত্র“টি করেনি এতটুকুও। সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে চেষ্টার পরেও সফল না হওয়ায় সর্বশেষ অস্ত্রটি ব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনা। মিডিয়ার সহযোগিতায় যুদ্ধাপরাধের বিতর্কিত ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে সাফল্যের সাথে সে পথেই এগিয়ে চলেছেন।
অধিকাংশ মানুষের ধারনা- বিএনপি থেকে দূরে সরে গেলেই আ’লীগের কোপানল থেকে রক্ষা পাবে জামায়াত। হাসিনার সাথে জোট না বাঁধলেও জামায়াতের গায়ে আঁচড় লাগবেনা। কিন্তু তারপরেও জামায়াত হাসিনার প্রস্তাবে রাজি হচ্ছেনা। কারন, এই প্রস্তাবে রাজি হওয়া মানেই দেশের ১৬ কোটি মানুষের সাথে বেঈমানী করা। এই প্রস্তাবে রাজি হওয়া মানেই ঈমানদারের রক্তের সাথে বেঈমানী করা। আ’লীগের কথায় সম্মতি দেয়া মানেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অন্যের হাতে তুলে দেয়া। একটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তি কখনোই এটা করতে পারেনা বলেই জামায়াত কঠিন জুলুম-নির্যাতন সত্ত্বেও সরকারের সাথে আপোষ করেনি।
সরকারের বর্তমান অবস্থা এবং জনগণের সেন্টিমেন্টে পরিষ্কার যে জামায়াত সাথে থাকলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি জোটই ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু জামায়াত না থাকলে ফল অন্যরকমও হতে পারে! এখন প্রশ্ন হলো- বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে জামায়াত যতটা ত্যাগ স্বীকার করছে ক্ষমতায় যাওযার পর বিএনপি কি তা মনে রাখবে? জামায়াতের চরম বিপদে বিএনপি কি সত্যিকারের বন্ধুর মত আচরণ করছে? আপাতঃ দৃষ্টিতে তা মনে হচ্ছেনা। বিএনপির জন্য জামায়াত যতটুকু করেছে এবং করছে বিএনপি সে তুলনায় কিছুই করছেনা। তাহলে শুধু শুধু বিএনপির জন্য জামায়াতের এত বড় ঝুঁকি নেয়া কতোটা যৌক্তিক এবং ফলদায়ক তা সময়ই বলে দেবে।
বিষয়: বিবিধ
১২১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন