এভাবে প্রলয় ঠেকানো যাবেনা

লিখেছেন লিখেছেন মোস্তফা মোঘল ২০ জুন, ২০১৩, ০৪:৩৮:১৩ বিকাল



সদ্য সমাপ্ত দেশের চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী মেয়ররা শপথ নিতে পারছেন না। জনগণ তাদের ভালোবেসে বিপুল ভোটে বিজয়ী করলেও সরকারের কারসাজিতে অক্টোবরের আগে তারা দায়িত্ব বুঝে পাচ্ছেন না। নির্বাচন কমিশন গতকাল বিষয়টি পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে এভাবে গোঁজামিল দিয়ে আইন প্রণয়নের কারন কি? সরকার জেনে শুনে এই আইনটি কেন করেছে? যদি নির্বাচনের চার মাস পর মেয়ররা দায়িত্ব বুঝে পান তাহলে এতো আগে নির্বাচন করার কি প্রয়োজন ছিল? সাবেক মেয়ররা পদত্যাগ করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। ফলে মেয়র বিহীনভাবে চলছে চার সিটি কর্পোরেশন। সিটি’র স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

চার সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনগণ বিষয়টি দেখছে অন্য চোখে। বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ার কারনেই সরকার ইচ্ছে করে তাদের শপথ বিলম্বিত করছে বলেই মনে করছে সাধারন মানুষ। শুধু তাই নয়; যেকোন দিন চার সিটির জনগণ তাদের মেয়রদের শপথের দাবিতে রাজপথে নেমে আসতে পারে। শোনা যাচ্ছে খুব শিঘ্রই সমস্যার সমাধান না হলে চার সিটিতে একযোগে আন্দোলন শুরু হতে পারে। এমনকি এই দাবিতে বিরোধী জোট হরতাল অবরোধের পথেও যেতে পারে।

রাজনীতি সচেতন মানুষেরা মনে করছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এভাবে ঝুলিয়ে রাখা কোন গণতান্ত্রিক আচরণ হতে পারেনা। এতে সরকারের ভাবমূর্তি আরও খারাপ হতে পারে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে তাদের শপথের ব্যবস্থা করা উচিৎ। তারা মনে করছেন, সরকার সমর্থকরা মেয়র প্রার্থীরা জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। জনগণ সরকারের প্রতি চরম অনাস্থা প্রকাশ করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকারের কেমন ভরাডুবি হতে পারে তার রিহার্সেল হয়ে গেলে সিটি নির্বাচনে। সুতরাং মেয়রদের শপথ নিয়ে তালবাহানা করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। শত চেষ্টা করেও গণরায় যেমন পাল্টানো যায়নি তেমনি দূর্নীতি, সন্ত্রাস আর দু]শাসনের বিরুদ্ধে জনতার দূর্বার আন্দোলনও থামানো যাবেনা। শত চেষ্টা করেও সরকার নিজেদের প্রলং ঠেকাতে পারবেনা।

বিষয়: বিবিধ

৮৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File