এই বুঝি শিবির এলো!
লিখেছেন লিখেছেন মোস্তফা মোঘল ১৯ জুন, ২০১৩, ০৩:২৪:২৯ দুপুর
সদ্য সমাপ্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৮ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের ঐতিহাসিক বিজয়ের পর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে উত্তরাঞ্চলের ছাত্ররাজনীতিতে। নির্বাচনের ফল ঘোষনার পরপরই গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিল করে ইসলামী ছাত্রশিবির। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর পর মতিহারের আকাশে বাতাসে নারায়ে তাকবির ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়েছে। পরদিন সকালে মিছিল করে ছাত্রদল। ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মিরা দীর্ঘ দিন পর ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে ঘোরার সুযোগ পায়। এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ছাত্রলীগ। ক্ষমতার দাপটে একনায়ক সেজে থাকা ছাত্রলীগের মেধাশুন্য নেতাকর্মিরা নিজেদেরে বিপদ বুঝতে পেরে আবোল তাবোল কবতে শুরু করে। একশ্রেণীর তৈলজীবি সাংবাদিকদের দিয়ে চটকদার সংবাদ ছাপিয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করার অপচেষ্টা চলছে। ছাত্রদল-শিবিরের আগমনে খবরে উদ্বিগ্ন ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে শুরু করেছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে প্রশাসন ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
এই আতংক শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়েছে শিবির আতংক। বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও সরকারি শাহ সুলতান কলেজে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যেকোন মুহুর্তে শিবির এসব প্রতিষ্ঠানে তাদের আধিপত্য পূনরায় প্রতিষ্ঠা করতে পারে গোয়েন্দারা এমন তথ্য পুলিশকে দিয়েচে। একই অবস্থা এই অঞ্চলের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। শুধু পুলিশ আতঙ্কে রয়েছে তা কিন্তু নয়; ছাত্রলীগ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মহাটেনশনে পড়েছে। গত সাড়ে ৪ বছর এ অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের উপর যে জুলুম-নির্যাতন তারা চালিয়েছে এখন শিবির সেই জুলুমের পাল্টা প্রতিশোধ নিবে এটাই স্বাভাবিক। ছাত্রলীগে অস্ত্রধারী ক্যাডাররা ইতোমধ্যেই শিবির নেতাদের সাথ গোপন যোগাযোগ শুরু করেছে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। তারা অতীতের ভুল স্বীকার করে জাতে ওঠার চেষ্টা করছে!!
বিষয়: বিবিধ
৯৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন