পুলিশই সন্ত্রাসী, সন্ত্রাসীই পুলিশ!
লিখেছেন লিখেছেন মোস্তফা মোঘল ২৫ মে, ২০১৩, ০৪:৪৬:০৬ বিকাল
ওয়ান ইলেভেনের পেটে জন্মানো ড. ফখরুদ্দিন সরকারের আমলে পুলিশকে মানুষ বানাতে নিরলস কাজ করেছেন তৎকালীন আইজিপি নুর মোহাম্মদ। পুলিশের চরিত্র বদলাতে হাতে নেয়া হয় পুলিশ রিফরমেশন প্রোগ্রাম। সারাদেশে গড়ে তোলা হয় কমিউনিটি পুলিশ। এই সুযোগে সমাজের অখ্যাত, কুখ্যাত ব্যক্তিরা ঢুকে পড়ে সেই কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিতে। ওই কমিটিতে নাম লিখিয়ে রাতারাতি দাগী সন্ত্রাসীরা সমাজসেবকে পরিনত হয়। পুলিশের তালিকায় তারা হয়ে ওঠেন সাদা মনের মানুষ। সাধারন মানুষ এসব দেখে মিটি হাসলেও করার ছিল না কিছুই।
কমিউনিটি পুলিশিং এর স্লোগান ছিল “পুুুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ”। অর্থাৎ তারা মনে করেন, সমাজের সাধারন মানুষ প্রত্যেকে যদি নিজেকে একেক জন নিরাপত্তারক্ষী ভাবতে পারে তাহলে সমাজে কোন অপরাধ থাকবেনা। পুলিশের এই স্লোগান সাধারন মানুষের মনে স্বস্তির শীতল পরশ এনে দেয়। কিন্তু এই কমিউনিটি পুলিশিং সমাজের কোন উপকারে আসেনি। এই কার্যখ্রম এখনো বহাল থাকলেও জনগণের কোন কল্যাণ হচ্ছেনা। বরং এই ছায়ার আড়ালে থেকে দাগী সন্ত্রাসী, মাস্তানরা বৈধ উপায়ে তাদের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ দেশের সবচেয়ে কার্যকর নিরাপত্তা বাহিনী। জনগণের সুখে-দুখে তারাই সবার আগে ছুটে আসে। তবে, ইদানিং পুলিশ এবং সন্ত্রাসীর মাঝখানের ব্যবধান বুঝতে কষ্ট হয়। কে পুলিশ আর কে অস্ত্রধারী ক্যাডার বুঝা যায়না। রাজনৈতিক দলের গোলামী করার কারনে দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে ঘৃণার বস্তু পুলিশ। একসময় বিপদে পড়লে মানুষ পুলিশের কাছে ছূটে যেত। এখন তা হয়না। হাজারো বিপদেও কেউ পুলিশের কাছে যেতে চায় না। কেন যায়না? কারন একটাই- পুলিশ এখন জনগণের বন্ধু নয়। পুলিশ এখন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেঁচে থাকা সরকারি দলের লাইসেন্সধারী গুন্ডা! তাই সর্বত্র নতুন স্লোগান শোনা যাচ্ছে “পুলিশই সন্ত্রাসী, সন্ত্রাসীই পুলিশ”। এভাবে চলতে থাকলে দেশের কি হবে আল্লাই জানে!!!
বিষয়: বিবিধ
১০৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন