বেশি কিছু আশা করা ভুল ....
লিখেছেন লিখেছেন মোস্তফা মোঘল ২৩ মে, ২০১৩, ০৪:৩৮:৩০ বিকাল
পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “তোমরা হতাশ হইওনা। তোমরা ভয় পেওনা। তোমরাই বিজয়ী হবে। যদি তোমরা ঈমানদার হও।” একজন সত্যিকারের মুসলমান কখনো কোন অবস্থাতেই মনোবল হারাতে পারেনা। হতাশ হতে পারেনা। এটা তার জন্য মানানসই নয়। তাই শতপ্রতিকুলতার মাঝেও হতাশার কালো ছায়া মনের মধ্যে প্রবেশ করতে না দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আজ কেন জানি হতাশার কালো মেঘটা বারবার মনের আকাশে আনাগোনা করছে।
বুধবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে। বিএনপি এবং ১৮ দলীয় জোটের জন্য এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেক। সরকারকে খালেদা জিয়ার ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটামের পর সরকারের প্রত্যাখ্যান এবং ৫ মে গভীর রাতে হেফাজতে ইসলামের ঘুমন্ত কর্মিদের উপর সরকারি বাহিনীর নির্মম পৈশাচিকতার পর দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সরকার সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এমতাবস্থায় বিএনপি এবং ১৮ দল কোন পথে এগুবে সেটা নির্ধারিত হওয়ার কথা এই বৈঠকে। রাজনীতি নিয়ে যারা নাড়াচাড়া করেন তাদের ধারনা বর্তমানে সারাদেশে একধরনের গুমট আবহাওয়া বিরাজ করছে। বিরোধীদলসহ দেশের মানুষ সবাই নিস্তব্ধ। সীমাহীন ব্যর্থতার পরেও সরকার লাঠির জোরে সবকিছূতেই যেভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে তাতে সবার মাঝেই একধরনের ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। ওয়ান ইলেভেনের পর একমাত্র মিডিয়া সাহসীকতার সাথে জনগণের কথা প্রচার করলেও এখন পারছেনা। একের পর এক সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে সরকার অন্য সব মিডিয়ার মুখ বন্ধ করে রেখেছে। কেউ ভয়ে আবার কেউ দালালীর কারনে সরকারের সমালোচনার সাহস হারিয়েছে। ফলে সরকার যাচ্ছেতাই করে যাচ্ছে। অনেকেই এটাকে একদলীয় ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠার আলামত বলে মনে করছেন।
যাহোক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষনার আশা করা হলেও বাস্তবে তা হচ্ছেনা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানাগেছে, কঠোর কোন কর্মসূচি এবারও দিতে পারছেনা ১৮ দল। সরকারের আগ্রাসী মনোভাবের মোকাবেলায় যেধরনের কর্মি বাহিনী দরকার বিএনপির হাতে তা নেই। একজমাত্র জামায়াত-শিবির রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করলেও বিএনপি, যুবদল বা ছাত্রদলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই বাধ্য হয়ে কঠোর কর্মসূচি থেকে পিছুটান দিতে হচ্ছে বেগম জিয়াকে। তাছাড়া বিএনপির একটা বড় অংশ মনে করে আন্দোলনের কোন প্রয়োজন নাই। জনমত তাদের পক্ষে। এই মুহুর্তে নির্বাচন হলে দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে বিজয়ী হবে তারা। এমনকি জামায়াতসহ অন্য শরীকদের বাদ দিয়েও বিএনপি সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। খালেদা জিয়ার চারপাশে থাকা মালিশ পার্টির সদস্যরা বেগম জিয়াকে এসব বুঝিয়ে কঠোর আন্দোলনের পথ থেকে সরিয়ে আনছেন। গুঞ্জন উঠেছে- বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা নাকি আন্দোলনের চিন্তা বাদ দিয়ে মন্ত্রী পরিষদ গঠনের কাজে মনোযোগি হতে বেগম জিয়াকে পরামর্শ দিচ্ছেন। কারন, বিএনপির জন্য ক্ষমতার চেয়ার নাকি তৈরি হয়েই আছে। এখন শুধু ঘোষনার অপেক্ষা!
বিষয়: বিবিধ
১২১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন