হেফাজত আসছে নতুন রূপে নতুন শক্তিতে!
লিখেছেন লিখেছেন মোস্তফা মোঘল ১৮ মে, ২০১৩, ১১:৩০:২৯ সকাল
দেশের বেশিরভাগ মানুষ যে চেতনায় বিশ্বাসী সেই ঈমানী চেতনার কথাই বলেছিল হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতের ১৩ দফা দাবির মধ্যে এমন কোন দফা ছিল না যার বিরোধীতা কোন মুসলমান করতে পারে। কিন্তু ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থের কারনে সরকার এবং মুসলমান নামধারী একটা অংশ নারীদের ঘরে বন্দি রাখার ধুয়া তুলে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলো। তারা হেফাজতের শান্তিপূর্ন আন্দোলনে অবশেষে বন্দুকের নল নিয়ে প্রতিহত করলো। শত শত আলেমের রক্ত ঝরলো ঢাকার রাজপথে। নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলেও কয়েকজ হাজার আলেম সেদিন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আহত হয়েছেন এতে কোন সন্দেহ নাই। ৫ মে’র ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের মহাসচিবসহ অনেকে নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। কেন্দ্রিয় নেতারা প্রায় সবাই গ্রেফতার আতঙ্কে লুকিয়ে আছেন। ফলে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে হেফাজতের কার্যক্রম। হেফাজতে ইসলাম কোন রাজনৈতিক সংগঠন না হওয়ায় এর ভিত্তি এবং স্থায়িত্ব নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী ছিলোনা কেউ। এছাড়া সরকার এমন নির্মমভাবে হেফাজতকে মোকাবেলা করবে সেটাও কল্পনায় ছিলনা। হেফাজতের নেতারাও কখনো ভাবেননি আলেমদের ওপর এভাবে নিষ্ঠুর আচরণ করবে সরকার। এধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার আগাম কোন প্রস্তুতিও ছিলনা। যার ফলশ্র“তিতে কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়েছেন হেফাজেতর নেতাকর্মিরা। এই পরিস্থিতিতে কি করনীয় তা বুঝতেও সময় লাগছে। যারা জীবনে কখনোই পুলিশের মুখোমুখি হননি সেইসব আলেমরা এখন পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দিনরাত মাদ্রাসায় ছাত্রদের পড়ানো যাদের কাজ তারা আজ পুলিশের মিথ্যা মামলার ফেরারি আসামী।
প্রায় দুই সপ্তাহ পর আবারও জাতির উদ্দেশ্যে কিছু বলেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি। শুক্রবার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি বলেছেন, মৃত্যুর আগমুহুর্ত পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন করে যাবে। একই দিন চট্রগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তারা। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী খুব শিঘ্রই আবারও মাঠে নামছে হেফাজতে ইসলাম। ৫ মে’র ধাক্কা সামলে নতুন রূপে নতুন শক্তি নিয়ে এবার মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে আগের চেয়ে আরও বেশি পরিকল্পিত আরও বেশি গোছানো আন্দোলনের কথা ভাবছেন তারা। আবেগের পরিবর্তে বাস্তবতার আলোকে কর্মসূচি দেবেন তারা। এক্ষেত্রে সরকার এবং নাস্তিকদের পক্ষ থেকে কি ধথরনের বাধা আসতে পারে সেটাও মাথায় রাখছেন হেফাজত নেতারা। ইতোমধেই সংগঠনের মধ্যে যারা মুনাফেকি করেছেন বা যারা সংগঠনের ভেতরে থেকে প্রতিপক্ষের সাথে গোপনে যোগাযোগ রেখেছেন তাদের চিহ্নিত করে সংগঠন থেকে বহিস্কারের চিন্তাও করছেন তারা। ৫ মে’র নির্মমতার পর এক হেফাজত নেতা আফসোস করে বলেছিলেন, “ভাই! খালি হাতে যুদ্ধ হয়না এটা আজ বুঝলাম।” তাঁরই এই মন্তব্য প্রমান করে হেফাজতে ইসলাম এবার খালি হাতে মাঠে নামবেনা। যে ধরনের আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে সে ধরনের প্রস্তুতিও তাদেরথাকবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন