খালেদা জিয়ার ঐতিহাসিক ভাষণ: হাঁকডাকেই আশার অপমৃত্যু
লিখেছেন লিখেছেন আবদুস সামাদ রাজু ০৪ মে, ২০১৩, ১১:৫৬:১৬ রাত
অনেক হাঁকডাক ছিল। খালেদা জিয়া এই ঘোষণা দিবেন ঐ ঘোষণা দিবেন, জাতির মুক্তি আনবেন। কিন্তু আসলে কি পেল জাতি? হাসিনাকে চায়ের দাওয়াত আর ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার নামক প্যঁচাল পাইড়াই শেষ করলেন তাঁর ঘন্টাকালীন ভাষণ। খালেদা জিয়া আজ ভালো কাজ করেছেন একটি, তাহলো- হাসিনাকে আলোচনার জন্য মতিঝিলেই ডেকে বসেননি। মওদূদ অবশ্য এগিয়েছিলেন বেশ।
ছবি'র ক্রেডিট:- http://www.bdbreaking24.com/index.php
এই খালেদা জিয়া দেশবাসীকে এইবার নিয়ে তিনবার বড় ধোঁকা দিলেন। প্রথমবার ২০১২ সালের একেবারে গোড়ার দিকে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে, মহাসমাবেশে কত হাঁকডাক ছিল, এই ঘোষণা দিবেন ঐ ঘোষণা দিবেন। শেষে গণমিছিল টাইপের কি একটা ঘোষণা দিয়া পালাইলেন।
দ্বিতীয়বার ধোঁকা দেন তাও ২০১২ সালের মাঝামাঝি এক সময়ে ঢাকায় মহাসমাবেশে। রংচকচকে শাড়ি পরে তিনি বারবারই ফ্যশন শো করে চলে যান কিন্তু ঘোষণা দেন না।
এবার যা ঘোষণা দিলেন তাও আবার অলীকের সাথে পাগলামী আর ভন্ডামীর ব্লেন্ডিং বৈ আর কিছু নয়। কেমনে কার যুক্তিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জণ্য আল্টিমেটাম দেন? একবার চিন্তা করলেই বুঝা যায় কত অদূরদর্শী এ কর্মসূচি!
১। আদালতে যাবেন? শুক্রবার শনিবার বন্ধ, তো ৪৮ ঘন্টা শেষ
২। সংসদে বিল পাশ করাবেন? অধিবেশন নাই।
এইযে সুযোগ না রেখে আল্টিমেটাম এতে সরকার সাথে সাথেই বুঝে ফেলেছে এই কর্মসূচি শুধু দেয়ার জন্যই দেয়া। সেজন্যই তো নাসিম সাহেবরা বলে ফেলেছেন এ দাবি ৪৮ মাসেও মানা হবে না।
খালেদা জিয়া সবচেয়ে বড় যে পাগলামীটা করলেন তাহলো সেন্টিমেন্ট না বুঝার পাগলামী। আপনার মনে সেক্যুলারিজম থাকতে পারে, কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে- আপনি অনেকটা ধর্মপ্রাণদের নেতৃত্ত্ব দিচ্ছেন। কি করে আপনি বলতে পারলেন- ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার?
খালেদা জিয়া বললেন- লগি বৈঠার খুনিদের মুখে মানবতা মানায় না, কিন্তু সেই হাসিনাকেই আবার চা'র দাওয়াত করেন খালেদা, তার মানে দাঁড়ালো- মানবতা ফানবতা এগুলোতো রাজনৈতিক জিনিস, বু আয় আমরা চা খাই।
যতসব ভন্ডের দল। আসলে বাংলাদেশে ইসলাম দূরে থাক সাধারণ রাজনৈতিক হেফাজতের জন্য এই দুই গন্ড অনুপোযুক্ত
বিষয়: রাজনীতি
১৮৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন