বেতন দ্বিগুণ করার সুপারিশ : অন্তরালে কি ?
লিখেছেন লিখেছেন আমি আহমেদ মুসা বলছি ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫৪:৩৭ সন্ধ্যা
‘আগামী দিনের অর্থনীতি হবে আলাদা ধরনের অর্থনীতি। সেই অর্থনীতির জন্য একটি সেটিসফাইড (সন্তুষ্ট) প্রশাসন দরকার। আমরা সেভাবেই এগুচ্ছি।’- আবুল মাল ( অবৈধ সরকারের অর্থমন্ত্রী )।
ভদ্র লেখক মাত্রই উপরের উক্তিটি লেখার একদম শেষে উপস্থাপন করতেন। তবে আমি ভাই উল্টো পথের মানুষ। তাই লেখাটাও উল্টো পথে শুরু করলাম। আপনাদের দেখাতে চাই অবৈধ সরকারের প্রস্তাবিত পে-কমিশনের রিপোর্টের উল্টো পিঠ ! (সল্প পরিষরে)
আবার আসি ঐ আবুল মালের উক্তিতে, “তাদের দরকার একটি সেটিসফাইড (সন্তুষ্ট) প্রশাসন’! এই যে পে কমিশন নিয়ে এত কথা, এত বুলি, এত আশার ফানুশ তার সবই ঐ সেটিসফাইড (আজ্ঞাবহ) প্রশাসনের জন্যই, সেই দিক দিয়ে আবুল মাল সত্য বলেছেন বৈকি ! আবুল মাল স্বীকার করেছেন যে, প্রশাসনে অসন্তুষ্টি আছে !
যদি প্রশ্ন করি বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত ? উত্তর সবার জানা ১৭ কোটি + ।
কিন্তু সরকারি চাকরিজীবী ? উত্তরটা আমিই দেই , মাত্র সাড়ে ১২ লাখ। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগের ও অনেক কম। কিন্তু ঐ ৫/৬ ভাগ মানুষের জন্য ভুগতে হবে পুরো জাতিকে! নিশ্চয় ভাবছেন সেটা কিভাবে ?
প্রস্তাবিত পে কমিশন কার্যকর হবে ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে, আপনাদের কি মনে হয় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ দ্বিগুণ বেতন পাবে আর ব্যাবসায়ী আর ধন্দাবাজরা বসে থাকবে ? না তার এই ছ মাসে কিভাবে খরচ বাড়ার মিথ্যে তথ্য বাজারে ছেড়ে তাদের পন্যর দাম বাড়ানো যায় তা নিয়ে গবেষনায় নামবে।
তাহলে কি দাড়াবে ছ-মাস পরে বাজারের অবস্তা ? গাড়ি ভাড়ার অবস্তা কি হবে ? কি দাঁড়াবে বাড়ী ভাড়ার অবস্তা ? ঐ অধিক অর্থ বাজারে মুদ্রাস্ফিতিকে কোথায় নিয়ে যাবে ? এই যে অধিক বেতনের জন্য অধিক অর্থ (প্রায় ৬৪%) আসবে কোথা থেকে ? আপনার-আমার করের টাকা থেকেই তো ! ঐ সাড়ে ১২ লাখ সরকারি চাকরিজীবী আর তাদের পরিবার না হয় দ্বিগুণ বেতন দিয়ে মোজে বাজার করবে-খাবে-ফুর্তি করবে । এর বাইরে আমরা যারা সাধারন তাদের অবস্তাটা কি দাড়াবে ? কি দেখতে পাচ্ছেন ভবিষ্যতের সেই ত্রাহি-ত্রাহি অবস্তা ?
সরকার আর তার মিডিয়া বেশ ঢোল পিটাচ্ছে, বেতন দ্বিগুণ হলে দুর্নিতি থাকবে না ! কি ঐ কথা কি আপনি বিশ্বাষ করেন ? না ঐ আবুল মাল বিশ্বাষ করে ? সবই ভাওতাবাজি । সরকারি চাকরিজীবীরা আগে যে পাসেন্টোজ খোর ছিলো, সেই থাকবে। মাঝে পরে আপনার-আমার বারোটা ! এই পে স্কেল ধনী দরিদ্রে বৈষম্য আরো বাড়াবে।
৮৬-৮৭ সালে বিশ্বব্যাংক তাদের এক রিপোর্টে উল্রেখ করে, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ালে দুর্নিতি কমে। কিন্তু সেই বিশ্বব্যাংক নাকে খত দিয়ে ঠিক পরের বছর স্বীকার করে যে, “বেতন বাড়ালে দুর্নিতি কমে না”!!! আপনিই বলুন না ...“ যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বেতন কম অযুহাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেন, তারা কি আগামী জুলাই থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়া বন্ধ করে দেবেন ? কেননা যে তাদের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে ? আপনি কি বিশ্বাষ করেন যে আগামী জুলাই থেকে সরকারি অপিস গুলোতে টেবিলের নিচের কারবার (ঘুষ) বন্ধ হয়ে যাবে।
আবারো বলছি সবই ভাওতাবাজি । হাসিনার প্রয়োজন কতক গোর্মূখো-আজ্ঞাবহ প্রশাসনিক কর্মচারি । যারা বেতনের দোহাইয়ে হয়তো তার অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে না । তবে মনে হচ্ছে না এই থেরাপি কাজ করবে ....
www.facebook.com
বিষয়: রাজনীতি
১৫৯৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দেশের চিন্তা কে করে??
মন্তব্য করতে লগইন করুন