ইসলামী আন্দোলন : আগামীর চ্যালেঞ্জ, আজকের ভাবনা

লিখেছেন লিখেছেন আমি আহমেদ মুসা বলছি ১৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:১২:৫৮ রাত

১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াত ১৮ টি সংসদিয় আসনে জয় লাভ করার পর, অনেকেই প্রশ্ন করে ছিলেন বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলন বিজয় লাভ করতে (সরকার গঠন করতে) কত সময় লাগবে?

তখনকার ইসলামী আন্দোলনের নেতারা নাকি জবাব দিয়েছিলেন: আগামী ২০ বছর পর জামায়াত সরকার গঠন করতে পারে ! (এই কথা গুলো লোক মুখে শোনা, প্রমাণ বা সাক্ষ্য দেওয়া সম্ভব নয়)।



আজ ২০ বা ২৪ বছর পর আমরা কি দেখছি ? ইসলামী আন্দোলন আজ অস্তিত্ত রক্ষার সঙ্কার সম্মুখিন!

ঐ সময় ইসলামী আন্দোলনের যে নেতৃবৃন্দ ছিলেন, নিশ্চয় তারা বাংলার জমীনে যে কোন সময়ের চাইতে সেরা নেতৃত্ত। মুহতারাম আব্বাস আলী খান, শহীদ অধ্যাপক গোলম আযমের মত নেতৃত্ত ঐ সময়ের প্রেক্ষিতে স্বপ্ন দেখেছিলেন ঠিক এই সময়টাতে বাংলার জমীনে ইসলামী আন্দোলন জয়ী হবে।

উপরের কথা গুলো আমি কাওকে কাঠগড়ায় দাঁর করাবার জন্য লিখিনি, সেই যোগ্যতা-উদ্দেশ্য কোনটাই আমার নেই। শুধু বিগত দিন থেকে শিক্ষা নিতে চাই। মূলত, কোন টাইম ফ্রেম ধরে বেঁধে বিপ্লব হয়না। বিপ্লবের জন্য, জনগনকে শাসনের জন্য চাই যোগ্যতা। কখনোই কোন অযোগ্যকে আল্লাহতায়ালা শাসনবার দেননা। হোক সে খালেস নিয়তের। উপরন্তু, বাতিলেরা তাদের যোগ্যতার কারনেই দুনিয়ার শাসনভার পেয়ে যান।

আজ থেকে ২৪ বছর আগে যারা আজকের দিনে এই জমীনে ইসলামী আন্দোলন বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, জানিনা তারা নিশ্চয় তারাও একটা রোডম্যাপ এঁকেছিলেন। যাই হোক তা আজ সম্ভব হয়নি।

তাই আজ যারা আগামীতে এই জমীনে ইসলামী আন্দোলনকে বিজয়ী করার স্বপ্ন দেখছেন, তাদেরও একটি সুদুর কিন্তু বাস্তব নির্ভর পরিকল্পনা নিতে হবে। এবং তা হবে অবস্যই পরিবর্তিত পৃথিবীর সাথে সংগতি পুর্ণ। আগামী ৫০-১০০ বছরকে সামনে রেখে, এই সময়ে পৃথিবীর পরিবর্ত পরিবর্তন, পরিবর্তিত সময়ে ইসলামী আন্দোলনের পরিবর্ত চ্যালেঞ্জ গুলোকে সামনে রেখে। সর্বপরি, সময়ের সবচেয়ে যোগ্য গোষ্টি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার লক্ষ নিয়ে।

See More ......

বিষয়: রাজনীতি

১৭৭৩ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

284218
১৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৮
হতভাগা লিখেছেন : জামায়াত ইসলামীর সেই পোটেনশিয়ালিটিটা ছিল । কারণ বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম লোকই মুসলমান এবং তারা চায়ও ইসলামী আইন কায়েম হোক দেশে । কিন্তু......

৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাদের ভূমিকা দেশবাসী ঘৃনার সাথেই স্মরণ করে । তবুও দেশের কিছু কিছু মানুষ যে তাদেরকে ফেবার করা শুরু করেছিল তা জাতীয় নির্বাচনেই প্রতিফলিত হয়েছে ।

কিন্তু জামায়াতের প্রতি মানুষের এই ফেবারকে জামায়াতই কাজে লাগায় নি বা লাগাতে চায় নি ।

৭১ এ কৃত অপরাধের জন্য তারা একটিবারের জন্যও দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চায় নি ।

যার ফলে জামায়াত একবার ১৮ টা আসন পায় তো আরেকবার ৩ টা পায় ।

বেশী পেলে মনে করে যে ইসলামী শাসন খুব কাছে , আবার যখন আসন ২-৩ টাতে চলে আসে তখন ইসলামী শাসন পিছিয়ে যায় ?

জামায়াত যদি ক্ষমা চাইতো তাহলে তারা এখন এককভাবে ক্ষমতা না হোক , অন্তত বেশ ৪০+ আসন পেত যা দিয়ে ক্ষমতার অংশীদারিত্বে আসা যেত ।
১৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৬
227416
আমি আহমেদ মুসা বলছি লিখেছেন : হুম, ঠিঁক ওটাই ! বাংলার জমীনে ইসলামী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা নি:সন্দেহে থাকবে তা হলো ১৯৭১ এ ইসলামী আন্দোলনের ভূমিকা। তাই যারা আগামীতে এই জমীনে ইসলামী আন্দোলনকে বিজয়ী করার স্বপ্ন দেখছেন, তাদেরকে এই বিষয়টিকে এখানেই কবর দিতে হবে। র্অথাত ঐ বিষয়টি যাতে বাতিলরা আর আমাদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করতে না পারে তার জন্য যা প্রয়োজন তাই করতে হবে। আবারো বলছি যা প্রযোজন তাই ! কেও যদি শুধু ‘জামায়াত’ করতে চান, তবে করতে পারেন। কিন্তু যারা ইসলামী আন্দোলন করতে চান, ইসলামী আন্দোলনকে বিজয়ী করার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের সামনে অবশ্যই এই বিষয়টাকে অস্বিকার করার কোন সুযোগ নেই!

অবশ্যই ৭১ এ জামাতের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পুর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ও যৌক্তিক ছিলো। তবে যে বিষয়টি জামায়াত গত ৪০ বছরে ক্লিয়ার করেনি, আপনার কি মনে হয় আজ তা ক্লিয়ার করবে ? ক্লিয়ার করতে পারবে ? আজকের প্রজন্ম তা মেনে নিবে ?
১৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৪৫
227422
হতভাগা লিখেছেন : ''অবশ্যই ৭১ এ জামাতের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পুর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ও যৌক্তিক ছিলো।''

০ সেটা কি বাংলাদেশের জন্য বিজ্ঞানসন্মত ও যৌক্তিক ছিল ?

বিজ্ঞানসন্মত ও যৌক্তিক যদি মনে করে তাহলে তো তাদের বাংলাদেশেই থাকা উচিত না । যার জন্য বিজ্ঞানসন্মত ও যৌক্তিক কাজ করে গেছে সে দেশ তো এখনও দুনিয়াতে নিশ্চিন্হ হয়ে যায় নি , সেখানে চলে যেতে পারে । এখনও সময় আছে।

জামায়াত ও জামায়াত মনষ্করা এখনও বাংলাদেশে থেকেও ৭১ এর কৃতকর্মকে যে বিজ্ঞানসন্মত ও যৌক্তিক মনে করে - এটাই তাদেরকে কামিয়াব হতে দেবে না ।

২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
240473
মাজহার১৩ লিখেছেন : ক্ষমা চাওয়া না চাওয়ার সাথে জয় পরাজয়ের কিছু নেই। ৭০ এর নির্বাচনে পাকিস্তান জামায়াত ৪টি আসন পেলেও বাংলাদেশ জামায়াত কোন আসন পাইনি বরং সবকটি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার অবস্থা। সেই পরিসংখ্যানে বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে জামায়াতের অবস্থা ভাল। জামায়াতের পদ্ধতিগত ভুল ও সামগ্রিক পরিস্থাতি পরিমাপের অজ্ঞতার পাশাপাশি ইসলামী বিপ্লবের চিরায়ত পথে না চলার কারনে এই অবস্থা। আমি শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারি জামায়াত যদি আল্লাহর উপর ভরসা করা ও নবীর বিপ্লবী তরিকা অনুসারে না চলে অদূর ভবিষ্যতে বামদলগুলোর অবস্থা হবে।
284222
১৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
284231
১৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫৩
সত্যলিখন লিখেছেন : উবাদা ইবনে সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাত লাভ করাকে ভালবাসে,আল্লাহও তার সাক্ষাতকে ভালবাসেন।আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাত লাভ করাকে অপছন্দ করে,আল্লাহ ও তার সাক্ষাতকে অপছন্দ করেন।এ কথা শুনে আয়েশা (রাঃ) বললেন-'আমরা তো মৃত্যুকে অপছন্দ করি !'এ কথার জবাবে তিনি বললেন -না,ব্যাপার তা নয়।বরং মুমিনের যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়,তখন তাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং তাঁর অনুগ্রহ লাভের সুসংবাদ দেয়া হয়।তখন তার সম্মুখে জিনিসটির চাইতে অধিকতর প্রিয় আর কোন জিনিস থাকে না।তখন সে আল্লাহর সাক্ষাত লাভের আকাঙ্ক্ষায় উদ্বেলিত হয়ে উঠে।তখন আল্লাহও তার সাক্ষাতকে ভালবাসেন। কিন্তু কাফিরের অবস্থা ভিন্ন রকম।তার যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়,তখন তাকে আল্লাহর আযাবের সুসংবাদ দেওয়া হয়।
হাদীসে কুদসী



284249
১৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫৯
ফেরারী মন লিখেছেন : আমারও মনে হয় নতুন করে ভাবার, নতুন করে চিন্তার সময় এসেছে। এইভাবে সহিংসতা দিয়ে জালিমের বিরুদ্ধে টিকে থাকা যাবে না।
284307
১৫ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০২:১৫
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আপনার সাথে কিছু বিষয়ে একমত হয়ে বলতে চাই, মিশরে কি মুক্তিযুদ্ধ কিংবা ৭১ রিলেটেড কিছু ছিল ? মিশরের ৭০% এর উপরে মানুষ সেদেশে ইসলামী শাসন চায়। ৬ মাস ধরে তারা রাজপথে জীবন দিয়ে গেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে ইয়াহুদি সিসি বাহিনী। ২ জন পুলিশ হত্যা মামলায়, ইসলামী আন্দোলনের ৫৩৬ জন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। হাজার হাজার নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, হাজার হাজার কারাবন্ধী ।আবার ও জিজ্ঞাস করছি, সেখানে কি ৭১ সাল সম্পর্কিত কিছু ছিল? জানি উত্তরে বলবেন না, তবে তাদের টেকনিক্যাল ভুল ছিল। এটা ইসরাইলের কাজ।
আর আমি বলবো , বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা, এদেশীয় ইন্ডিয়ান দালাল, তাদের হলুদ মিডিয়া, এবং র’ । যারা সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যা কে সত্যে রূপান্তরিত করে।
গত পরশু একটা পত্রিকায় দেখলাম ভারতীয় সাবেক হাই কমিশনার বিনি শিক্রির সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। সেখানে সে বলেছে “বাংলাদেশে জঙ্গি গ্রুপের উত্থানের কথা খালেদা বিশ্বাসই করেনি , আর হাসিনা এসে জঙ্গিদের উৎখাত করেছে” । অথচ দেখেন সারাদেশ নিরব এমন কি বিএনপি নামক দলটি ও নীরব , যেন এটাই সত্য। আসলে কি তাই?? বাংলাদেশে জঙ্গির উত্থান ১৯৯৯ সালের দিকে, ব্যাপক ভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০২-০৩ সালের দিকে, আর এই জঙ্গিবাদ কে প্রথমে টেকনিক্যালি অস্বীকার করলেও ২০০৫-২০০৬ সালের দিকে খালেদা জিয়ার সরকারই সমূলে নির্মূল করে। বাংলাভাই, যুবলীগ সভাপতির দুলাভাই আব্দুর রহমান দের ফাঁসির দণ্ড দেয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
321476
২১ মে ২০১৫ রাত ০১:৫৮
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ভালো লাগলো, ধন্যবাদ..

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File