আমাদের স্বাধীনতা ও ইসলাম ヅ

লিখেছেন লিখেছেন আমি আহমেদ মুসা বলছি ২৬ মার্চ, ২০১৪, ০৯:১৯:৩৪ সকাল



মানুষ জন্মগত ভাবেই স্বাধীন জাতি স্বত্তার অধিকারী। মানুষ তার নিজের ভাষায় কথা বলা, নিজের চিন্তা-চেতনার আলোকে স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করা, স্বাধীনভাবে চলা ফেরা করা, পানাহার ও পোষাক আসাক, ধর্ম গ্রহণ ও বর্জন করার স্বাধীন অধিকার, স্বাধীন চিন্তা চেতনার অধিকার নিয়েই জন্ম গ্রহণ করে। অনুরূপভাবে বেঁচে থাকার জন্য তার বাসস্থানের অধিকার, চিকিৎসার অধিকার, খাবার-দাবার গ্রহণের সামগ্রিক স্বাধীনতা নিয়েই জন্ম গ্রহণ করে।

এই স্বাধীনতা খর্ব করার অধিকার কারো নেই। কারণ এটা হবে মানবাধিকার পরিপন্থি ও মানুষের স্রষ্টা আল্লাহর আইনের পরিপন্থি। এক কথায় ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে একজন মানুষ সামগ্রীক অর্থে তার স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার রাখে। তবে, স্বাধীনতার অর্থ এও নয় যে, মানুষ স্বেচ্ছাচারি হয়ে তার রীপুর তাড়নাকে প্রধান্য দিয়েই চলবে। কারণ, সে অমনি অমনিতেই পৃথিবীর আলো বাতাস দেখার ও এর অজস্র নেয়ামত ভোগ করার সুযোগ পেয়ে যায়নি। বরং আল্লাহ একটা প্রক্রিয়ায় মানুষকে সৃষ্টি করে একটি আদর্শের ভিত্তির উপর স্বাধীন চিন্তা চেতনার মধ্য দিয়ে আপন স্বত্তা ও স্রষ্টার পরিচয় করে আপন গন্তব্য ঠিক করে নেয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর তাই মহান সৃষ্টি কর্তার দেয়া সকল নিয়ম কানুন বা জীবন ব্যবস্থা মেনে চলাই হলো প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করা।

এই নিয়ম কানুনের মধ্যে জাগতিক সুশৃঙ্খলতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও রাষ্ট্রীয় আইন কানুন যেমন অন্তর্ভুক্ত, তেমনি মানুষের সহায় সম্পদ ও মান সম্ভ্রমের প্রতি যথাযথ আচরণ প্রদর্শনও এর অন্তর্ভূক্ত। এর বিপরিত চললে সেটা হবে স্বেচ্ছাচারিতা অথবা শয়তানের পদাঙ্ক অনুস্মরন তথা উশৃঙ্খলতা। ইসলাম ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও এর সুরক্ষায় অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।



আমাদের কারো অজানা নয় যে বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ (সাHappy মক্কা ছেড়ে মদীনায় হিজরত করে যাওয়ার পর বদর থেকে শুরু করে অনেক যুদ্ধে তিনি নিজে শরীক হয়েছিলেন। এর প্রধান কারণ ছিল- একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে মুসলমানদের একটি স্বাধীন আবাসভুমি প্রতিষ্ঠা করা। কারণ স্বাধীন রাষ্ট্র ছাড়া স্বাধীন জাতি স্বত্বার অস্তিত্ব অর্থহীন। যদিও আজকাল কোন কোন মুসলমানও বলে থাকেন নবী-রাসুল, কুরআন-হাদীস, মসজিদ-মাদ্রাসা, খানকা এসব রাজনীতি থেকে মুক্ত থাকবে। অর্থাৎ আপন ঘরে পরবাসীর মতই মুসলমান পরিচয়ে বেঁচে থাকবে। এ জাতীয় মুসলমানদের জ্ঞানের বিশেষত: নিজ ধর্ম ইসলাম সম্পর্কে তাদের ধারণাটা প্রশ্নাতীত নয়। কারণ রাসুল নিজেই ব্যাক্তি স্বাধীনতার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা অর্জনের গুরুত্ব দিয়ে এবং গুরুত্ব বুঝাতে নিজেই যুদ্ধে শরীক হয়েছেন। স্বাধীনতার গুরুত্ব অনুধাবনের জন্য এই একটি দলীলই যথেষ্ট।

একটি স্বাধীন জাতি সত্ত্বা হিসাবে বেঁচে থাকার এই ধারা অদিকাল থেকেই চলে আসছিল। ইসলামও এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে স্বাধীন জাতি সত্বার একান্ত প্রয়োজনে জেহাদের প্রতি জাতিকে উদ্ভুদ্ধ করেছে। ইসলামের সকল খলিফা ও শাসকগনও এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা ফরজ। তবে আদিকালে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ এই অনৈতিকতা থাকলেও ইসলামে এখানে একটি নিয়মতান্ত্রিকতা ও সুশৃঙ্খলতা আনায়ন করে। ইসলাম বিচ্ছিন্নভাবে ও অনৈতিক উপায়ে আদিপত্য বিস্তারের সমর্থন করেনা আবার কারো স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করাকে জায়েজ মনে করেনা। ইতিহাস প্রমাণ করে মুসলমানরা কোথাও কোন দিন আগে বাগে কারো সাথে কোন যুদ্ধ বাধায়নি বা গায়ে পড়ে কারো সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়নি। তবু বি জাতিরা মুসলমানদের সর্বনাশে সর্বদাই ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কখনো তারা সরাসরি আবার কখনো তাদের নমকখোর মিত্রবাহিনীর মাধ্যমে। যখনই তাদের মিত্র বাহিনী তৎপর হয়েছে তখনই মুসলমানদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ আবার কখনো পরস্পরের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে।এই উপমহাদেশে প্রায় হাজার বছরের মুসলিম শাসন বিনাশে ইংরেজরা মরিয়া হয়ে উঠে এবং কোম্পানী আইনের মাধ্যমে এদেশে তাদের আধিপত্য বিস্তার করে মুসলমানদের সর্বনাশ করে ফেলে। এ কাজে পরবর্তিতে অন্য জাতিরাও সহযোগিতা করায় মুসলমানরা তাদের হৃত ক্ষমতা ফিরে পাওয়া অনিশ্চিত তথা না পাওয়াটাই নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে দেখে পাকিস্তান নামে আরেকটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি করতে বাধ্য হন।



এই রাষ্ট্রের বদৌলতেই আমরা এক সময় আমাদের বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বাধীনতা লাভ করে আমাদের নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হই।

পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্ম ইসলামের নামে হলেও পরবর্তিতে তারাই রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে দেয়। এরমধ্যে এই দেশেরই একটি অংশ পুর্ব পাকিস্তানের উপর চলে অমানবিক নানা ষড়যন্ত্র। এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে পশ্চিমাংশকে উন্নত করা, এই অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা-দীক্ষা, অন্ন-বস্ত্র ও বাসস্থানের মৌলিক অধিকার হরন করা, মাতৃভাষার মত আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত নিয়ে টানাটানি করার মত ঘটনা একই জাতিভূক্ত মানুষকে বিষিয়ে তুলে। তাই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার অগ্রভাগে থাকা মুসলিম লীগেরই একটি পরবর্তিত অংশ আওয়ামী মুসলিম লীগ হয়ে আওয়ামীলীগ নাম ধারণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ দফা আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলনের জের ধরেই পূর্বপাকিস্তান অংশকে স্বাধীন বাংলাদেশ নামে আবারো স্বাধীন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কারণ পাকিস্তানের জনগণই যেখানে শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বাধিন আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন সেখানে পাকিস্তানী শাসকগোষ্টি ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নানা টালবাহানা একপর্যায়ে ২৫ মার্চ রাতে ঘুমন্ত মানুষের উপর হায়ানার মত সর্বাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। তখন বাঁচার তাগীদেই মরনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের অস্ত্র ধারণ করতে হয়। বললে অত্যুক্তি হবেনা যে পাকিস্তানী শাসক গোষ্টির ক্ষমতা হস্তান্তর না করাটাও ছিল আমাদের জন্য কঠিন পরীক্ষা। তা না হলে হয়তঃ আমরা বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করতে পারতাম না, পারলেও অনেক দেরি হয়ে যেত। স্বাধীনতার মূল চেতনাও ছিল ‘ইনশাআল্লাহ’ অর্থাৎ ‘আল্লাহর ইচ্ছ শক্তি’। কারণ শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণের শেষ বাক্যটিতে বলেছিলেন ‘মুক্ত করেই ছাড়ব ইনশাআল্লাহ’। সুতরাং এই ইনশা আল্লাহ বা আল্লাহর ইচ্ছা শক্তির উপর অগাদ বিশ্বাসটাই ছিল আসল চেতনা। যদিও আজ অনেকে ইসলামের নাম শুনলেই এটাকে সাম্প্রদায়িকতা বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা যোগ করে ফেলেন। অথচ ছয় দফায় যেমন সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ছিলনা, তেমনি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের কথা ছিলনা। কোথাও ইসলামকে সাম্প্রদায়িক শক্তিও বলা হয়নি, অন্য কোন ধর্মকে অবহেলা বা তুচ্ছতাচ্ছিল্যের কথাও বলা হয়নি। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য স্বাধীনতাত্তোরকালে প্রণিত সংবিধানে অতি সুবিধাভোগী কিছু লোক সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা সংজোযন করেন। তাদের অনেকেই কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না। এরাই এখন ইসলাম ও মুসলমানদেরই এই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সাজিয়ে বিশেষতঃ আলেম সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি সাজিয়ে এখানে কথিত ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতির সাথে একাকার করে দিতে চাইছেন।



আবার অনেকে দীর্ঘদিন পরও নানা ইস্য্যুতে জাতিকে বিভক্ত করতে চাইছেন। যদিও এটা কোন সভ্য সমাজের কাম্য নয় এবং ইসলামী আদর্শেরও পরিপন্থি। কারণ একটি রাষ্ট্র, দেশ ও জাতিকে পূনর্গঠনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই। নেই দেশপ্রেম ও জাতিপ্রেমের কোন বিকল্প। তবু চলছে নানা উপদ্রব। যদিও এ সময়ে স্বাধীন জাতি সত্বা, দেশের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার সমূহ প্রক্রিয়াই অত্যাবশ্যকীয় কাজ। এটাই দেশ প্রেমের অন্তর্ভুক্ত। দেশের প্রচলিত আইন কানুন মেনে চলা, রাষ্ট্রীয় ভাষাকে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে এর ব্যাপক প্রচলন এবং একাডেমিকভাবে এর সমন্বয় সাধন, দেশীয় পণ্যকে প্রধান্য দেয়া, জাতীয় সম্পদের সুরক্ষা ও অপচয় রোধ, দুর্নিতী ও স্বজনপ্রীতি থেকে শাসক গোষ্ঠি এবং নাগরিকদের বেঁচে থাকা, আইনের শাসন এবং সচেতন জনগনের মতামতের বাস্তব প্রতিফলন যেমন দেশপ্রেমের অন্তর্ভুক্ত তেমনি দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, সংবিধানের যথাযথ ধারাবাহিকতা সুরক্ষাও দেশ প্রেমের গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়।

নাগরিকদের যেমন এ ব্যাপারে সজাগ থাকা অপরিহার্য, তেমনি শাসকদেরও এর প্রতি যত্নশীল হওয়া অপরিহার্য।



ইসলাম এর কতটা গুরুত্ব দেয় মহা নবীর(সাHappy একটি হাদীস থেকেই এর প্রমাণ পাওয়া যায়। বিশ্ব নবী(সাHappy বলেছেন- ‘হুব্বুল ওয়াতানে মিনাল ঈমান’। অর্থাৎ ‘দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ’।

দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ, আত্মীয়করণ, লুটপাট, ক্ষমতার অপব্যবহার আইনের অপপ্রয়োগ অথবা আইনের প্রয়োগ না করা, জবর দখল, সুদ-ঘোষ, সুদের মহামারী কারবার, ঋনখেলাফি এসবই অপশাসন বা দু:শাসনের পর্যায়ের দেশদ্রোহীতা। এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো সকলেরই ঈমানী দায়িত্ব। পাশাপাশি এসবকে কেন্দ্র করে যাতে কোন বাইরের লুটেরা, হানাদার সম্রাজ্যবাদী আমাদের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে না পারে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্টতদের এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যে, তারা যে দল আর ধর্মেরই হোন না কেন, কোন নাগরিকের ধর্মীয় অুনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোন কথা, প্রচারনা, কর্মকান্ড যেন না ঘটে অথবা প্রশ্রয় না দেয়া হয়। অথবা সংখ্যাধিক্যতার বিবেচনায় যেন দেশে এমন কোন আইন কারো প্রতি চাপিয়ে দেয়া না হয় যা তার মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করে। সুদুর অুীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটও কিন্তু তৈরী হয়েছিল জুলুম আর নির্যাতন এবং লুটপাট ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে। এখানে পূর্বপাকিস্তানীদের ভাবা হয়েছিল দু নম্বার নাগরিক হিসাবে। বর্তমান বাংলাদেশেও ঈদানীং আমরা লক্ষ্য করছি দেশের ধর্মপ্রাণজনগোষ্টিকে বিশেষ অভিধায়ে বিশেষায়িত করে তাদের দু নম্বার নাগরিকের বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। কোন দলের শাসকগোষ্টির জন্যই এট যেমনা কল্যাণকর নয় রাষ্ট্রের জন্যও এটা কল্যাণকর নয়। অনুরূপ ভাষা ও ধর্মের ভিত্তিতেও রাষ্ট্রের আনুগত্যপ্রদর্শনকারী কোন জাতিগোষ্টিকে দু’নম্বর নাগরিকের বিবেচনায় দেখা রাষ্ট্রের সার্বভেমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই আমাদের এখনই সাবধান হতে হবে ইসলাম স্বাধীনতা ও এর সার্বভৌমত্ম রক্ষায় যে শিক্ষা দিয়েছে, সে আলোকেই আমাদের রাষ্ট্রের অনুগত থেকে কাজ করতে হবে। তাতেই কল্যাণ হবে। নাগরিক সমাজ বা শাসক গোষ্ঠি- কারো জন্যই এর বাইরে বিচরণ করা ঠিক হবে না।



বিষয়: রাজনীতি

২১৫২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

198127
২৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জাজাকাল্লাহুল খাইরান, অনেক সুন্দর পোস্ট
২৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:১৯
148435
আমি আহমেদ মুসা বলছি লিখেছেন : জাজাকাল্লাহুল খাইরান

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File