জাওয়াহিরিকে প্রত্যাখ্যান, বাংলাদেশে আল কায়েদা নেই ヅ
লিখেছেন লিখেছেন আমি আহমেদ মুসা বলছি ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:১৩:৫৫ সকাল
বাংলাদেশ নিয়ে আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বিষিষ্ট মহল জানিয়েছে বাংলাদেশে আল কায়েদা নেই।
আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্রের বরাতেও একথা জানাযায়।
স্থানীয় সময় রোববার আমেরিকার মুখপাত্র বলেন, “জাওয়াহিরি বাংলাদেশ সম্পর্কে যা বলেছেন, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি। বাংলাদেশ একটি উদার, সহনশীল মুসলিম দেশ, যেখানে আল কায়েদার মতো উগ্রবাদীদের জায়গা নেই।”
আল কায়েদা বাংলাদেশে ‘ইন্তিফাদা’ বা প্রতিরোধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বলে জাওয়াহিরির বরাতে যে বার্তা গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্র অবগত আছে বলেও জানান এই মুখপাত্র।
আল কায়েদার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধেও আমাদের অবস্থান রয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত শনিবার ‘বাংলাদেশ: ম্যাসাকার বিহাইন্ড এ ওয়াল অব সাইলেন্স’ শিরোনামের ২৯ মিনিটের বার্তায় বাংলাদেশে ‘ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে জাওয়াহিরির ইন্তিফাদার হুমকির কথা প্রচার করে ঢাকার অনলাইন গণমাধ্যমগুলো।
এতে গেল ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের চিত্র দেখানো হয়। আর মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতাদের বিচার হচ্ছে যে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে তার কাজ নিয়ে জাওয়াহিরি ক্ষোভ জানান। তবে তার বক্তব্যে সরাসরি হেফাজত বা জামায়াতের কথা নেই।
আল কায়েদার প্রোপাগান্ডায় জড়িত আস্-সাহাব মিডিয়া ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বার্তাটি না থাকলেও এটি তারা গত নভেম্বরে তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকার গণমাধ্যম।
আমেরিকার ওয়াশিংটনের গবেষণা সংস্থা জেমসটাউন ফাউন্ডেশনের ‘টেররিজম মনিটর’ এর ২৪ জানুয়ারির সংখ্যায় জাওয়াহিরির এই বার্তার কথা উল্লেখ থাকলেও এটি কবে, কোথায় প্রচারিত হয়েছে তা বলা হয়নি।
তথ্য সূত্র বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে আল কায়েদার নামে প্রচার করা বার্তা স্থানীয় উগ্রপন্থী কোনো সংগঠনের ‘মতলববাজি’ কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী বাংলাদেশিরা।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অঙ্গনে ইসলামের নামে যে কোনো প্রকারের স্বশস্ত্রতাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়ায় স্থানীয় সংগঠন জেএমবির নেতাদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে ফাঁসি ও দীর্ঘ মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। হরকাতুল জিহাদ ও বাংলা টিমসহ একই অভিযোগে অভিযুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদেরও কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের বন্দি করে রাখা সব রাজনৈতিক পক্ষ ও সর্বস্তরের নাগরিকরা সমর্থন করে।
বিষয়: রাজনীতি
১২১৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশ বাল কায়দা আছে।
(BAL) কি জানেন, বাংলাদেশ আমামী লীগ!
মন্তব্য করতে লগইন করুন