ইসলামপন্থিদের চিন্তার বিকাশ কবে ?
লিখেছেন লিখেছেন আমি আহমেদ মুসা বলছি ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:১৫:৫০ রাত
সকালে পিসিতে বসেই মাথা খারাপ হবার জোগার । অতি আবেগের কোন এক বলদা আরেক জনের কার্টেসি দিয়ে স্টেটাস দিছে “জামায়োতে ইসলামীর মালিকানায় আসছে নতুন দশটি টিভি চ্যানেল, এফএম রেডিও”। টিভি আর রেডিওর যেসব সম্ভাব্য নাম দেওয়া হল তা দেখে তো চান্দি আরো গড়ম । ‘সংগ্রাম টিভি’ ? - ‘সোনার বাংলা রেডিও’ ? ।
কমেন্টে লিখলাম : বেয়াদবি না নিলে একটা কথা বলি ? যদি জামায়াত নেতারা গান্জা খেয়ে থাকেন তব্বেই এমন সব নামে, এমন ঘোষণা দিয়ে মিডিয়া সৃষ্টি করবেন । অনেকে প্রশ্ন করলো কেন? আমি বললাম : তাদের প্রশ্নের জবাব এই পাবলিক প্লেসে দেয়া সম্ভব নয় ।
ব্যাস এরপর থেকেই শুরু হইয়া গেছে ইনবক্সে গুতাগুতি । আর মেজাজ আরো খারাপ হলো যখন বিকেলে পিসিতে বসে দেখি ঐ গাধা মার্কা পোষ্টটা শেয়ার হইছে 60 বার আর লাইক দিছে 55+ ভাই । আবার অনেকে বুদ্ধিমান ভাইরাও দেখছি পোষ্টটা স্টেটাসে দিছে .!!!
খুব খুব কষ্ট পাইলাম । হায় আমরা কাদের নিয়ে আন্দোলন করি ? একটা স্টেটাসের মেরিট বুঝার ক্ষমতাটাও আমাদের নাই । কোনটা ঠিক-কোনটা ভুল ? যাচাই করার ক্ষমতা ও আমাদের ভাইদের নাই ? এমন চিন্তার বন্ধত্ব নিয়ে কি আসলে সামনে এগোনো যাবে ? নিজের কোন চিন্তা নাই - ভাবনা নাই - যাচাই নাই !!!
কে একজন স্টেটাস দিল , আর আমি কোন যাচাই ছাড়াই শেয়ার - লাইক দিতে শুরু করলাম! একবারো ভাবলাম না এর দ্বারা সংঘটন আসলে কি উপকৃত হচ্ছে ? না আপনি সংঘটনের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন ???
আবেগের বসে আপনার কোন ভুল কাজ সংঘটন কে, সংঘটনের অন্য ভাইদের কোন পরিস্থিতির মুখমুখি করছে তা বুঝতে হবে না ? তাই বলি আমাদের চিন্তার বিকাশ কবে ?
এবার আসি ইনবক্সে গুতাইন্না ভা্ইদের জবাবে ...: ভাই আপনারা যারা ঐ স্টেটাস শেয়ার বা লাইক করছেন তাদের চিন্তায় কি একবারও আসে নাই এক দিগন্ত টিভি আপনে চালাইতে পাড়েন না আর দশটা টিভি কিভাবে চালাবেন ? একটা দিগন্ত টিভি চালাইতে লোক পান না দশটা রেডিও টিভি চালাইতে লোক কোথায় পাবেন ??? আপনারা কি ভাবছেন দিগন্ত টিভিতে যারা কাজ করে তারা সবাই জামায়াতের ? একবারও খেয়াল করেন না দিগন্ত টিভিতে হিজাব পাঠ করা মেয়েটা কেন বাংলা ভিশনে গিয়ে নেংটা হয়ে খবর পরে ?
কারন সে শুধু চাকরির জন্য দিগন্ত টিভিতে হিজাব পড়তো , সে আপনার বোন নয় .!!!
এবার আসেন ধরেই নিলাম জামায়াত দশটা টিভি রেডিও নিয়ে আসতেছে । তাই বলে কি আমাদের ঢোল নিয়ে নাচতে হবে ? যারা একটা দিগন্ত টিভি -ইসলামিক টিভি-ইনকিলাব চালাইতে দেয়না তারা কি আপনার দশটা টিভি রেডিও খবর জেনে বসে থাকবে ?? .!!! ধরলাম কোন কৌশলের আস্রয় নিচ্ছি ; আর তার আগ থেকে যদি ঢোল পিটাই তবে কি আমি সেই কৌশল মাঠে খাটাইতে পারবো ??? ঐ ময়দানে থাকা আমাদের ভাইরা হয়রানি হবে না ???
এবার বুঝছেন আপনি কিভাবে আন্দোলনের ক্ষতি করছেন ???
তাই বলি সবকিছু আবেগ দিয়ে নয় ,বিবেক দিয়ে চিন্তা করুন-চিন্তা করতে শিখুন । তারপর লাইক বা শেয়ার দিন । এবং সকল কাজে বিষয়টির প্রতি লক্ষ রাখুন ।
_______________________________________বিদ্র : ইসলামপন্থিরা যদি মিডিয়া সৃষ্টি করতেই চায় ; তবে আরো একটি সংগ্রাম বা দিগন্ত নয় । চাই একটি প্রথম আলো বা আল জাজিরা ।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৫ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পারবে নারে ভাই পারবেনা।
'নেংটা' শব্দটা মুছে দিয়ে 'দিগন্ত টিভিতে হিজাব পাঠ করা মেয়েটা কেন বাংলা ভিশনে গিয়ে হিজাব খুলে খবর পরে ? লিখলে ভাল হয় ।
আমরা যারা ইসলামী আন্দোলনে জড়িত বা সমর্থক তাদেরকে আরও ধর্য্য সহনশীলতা রুচিশিলতার পরিচয় দিতে হবে। ধন্যবাদ ।
যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের
আল জাজিরার স্বপ্ন দেখেন কিভাবে ??
মিডিয়া রিস্কি বিজনেস , কিন্তু ল্যান্ড বিজনেস নো লস। আসুন সারাদিন প্রথম আলোকে গালি দেই আর প্রচুর ল্যান্ড ব্যবসা করি
ভাই , ঠিক ই বলেছেন। খাটি কথাটি বলার জন্য আপনাকে আজীবন সমর্থন।
তার আগে আপনাকে মওদুদী মতবাদ আর নিকাব পরিত্যাগ করার তালিম নিতে হবে । যদি না নেন তাতেও আমার আপত্তি নেই । এক বার মিডিয়ার লাইনে ঢুকলে নিকাব এমনিতেই বাদ হয়ে যাবে এবং মওদুদী মতবাদ হৃদয় হতে মুছে যাবে ।
আমি মনে করি হৃদয়ে ইসলাম সঠিকভাবে থাকলে মওদুদী মতবাদ হৃদয়ে স্হান করে নিতে পারে না ।
আপনি বলেছেন : হিজাব হলো আবশ্যিক বিষয় । নেকাব অতিরীক্ত বিষয়।
আমিও তা-ই বলছি । সমস্যা হলো : মওদুদী মতবাদের অনুসারীরা নিকাব-কে আবশ্যিক বিষয় বানিয়ে ছেড়েছে ।
যাক । আপনার মতো সমজদার পাঠকের জন্যই আমি একটা নতুন সিরিজ লেখা শুরু করছি । যার নাম হবে : "পরিবারের সকলের সামনে খুলা যায় এমন পত্রিকা বানাতে চাই এবং পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে দেখা যায় এমন টিভি চ্যানেল বানাতে চাই । কেহ কি আমাদের সাহায্য করবেন ? "
শিরোনামটা অনেক বড় হয়ে গেলো । কয়েক পর্বের লেখা হবে এটা ।
আশা করি মন্তব্য করবেন ।
আর আমি অনেককে ব্লক করেছি । কিন্তু তাদের ব্লক উঠাতে পারছি না । আপনি আমাকে সাহায্য করুন । এব্যাপারে মডারেটরদের কিছু বলুন । কারণ আপনি তো চেয়ারম্যান ।
কথাটা এমন আর কি !!
জামায়াতের ধর্মব্যবসায়ীরা ৫ টা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় চালায় । সেগুলোতে বাংলা সাহিত্য এবং ইসলামিক স্টাডিজ পড়ানো হলেও মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন স্টাডিজ, ফ্লিম এন্ড মিডিয়া এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা পড়ানো হয় না । কারণ তাদের মতে এসব পড়ানো কুফরী । যেমন : কামালুদ্দীন জাফরীর পরিচালনাধীন অথবা আংশিক শেয়ার দ্বারা পরিচালিত গ্রীন ইউনিভার্সিটি । অবশ্য তার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞাপনটাই কুফরীতে পরিপূর্ণ ।
আন্তজার্তিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম আর বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটি-র ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য ।
নাদান (নর্দান )বিশ্ববিদ্যালয় আর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া কিছু নয় ।
আপনি যে বলেছেন টিভি খুলবে । চালাবে কি প্রথম আলো আর জনকন্ঠের লোকরা । দিগন্তের প্রায় সব লোকই তো জনকন্ঠ হতে এসেছে ।
আমার মতো লোকেরও তো নয়া দিগন্তে জায়গা হয়নি । কারণ আমি ইনকিলাবে লিখলেও জামায়াতের নেতাদের পুজা করি না এবং জামায়াতী নিকাবী মেয়েদের মধ্য হতে একজনকে বিয়ে করিনি ।
এসব মিডিয়া চালু হলেও রাখা কষ্টকর হবে । কারণ ভিন্ন আদর্শের লোক মওদুদী মতবাদ প্রচার করতে পারবে না । আর ইসলামী আদর্শের লোক দিয়েও যদি ইসলামী মিডিয়া পরিচালনা করতে হয়, তাহলে ইসলামী লোকদের মিডিয়া সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে । আর এজন্য ইসলামী লোকদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন স্টাডিজ, ফ্লিম এন্ড মিডিয়া এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা চালু করতে হবে এবং এগুলোতে ইসলামী ছাত্রদের পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে । তারপর নতুন ইসলামী চ্যানেল বানালে তা টিকে থাকবে । আর নিকাবকে বাদ দিতে হবে । কারণ নিকাবের ব্যবহার করে মিডিয়ায় কাজ করা যায় না ।
ভাল কাজ করলে ঘোষনা দিয়ে করতে হয় । বড় কোন উদ্যোগ চালু করলে ঘোষনা দিয়েই করতে হয় ।
যেমন : বাংলালিংক । প্রথম প্রথম বাংলালিংক কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের মোবাইল নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করেছিলো তা মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন ।
জামায়াতের লোকরা এই ঘোষনা দিয়েছেন - তাকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখছি । কারণ এতে তারা তাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী লোকদের সহজে খুজে পাবেন এবং তাদের কি কি কমতি আছে তা সহজে বুঝতে পারবেন ।
একটা কথা মনে রাখবেন : ছাই চাপা আগুন কখনোই চাপা দিয়ে রাখা যায় না ।
জামায়াতের লোকরা যদি ছাই চাপা আগুন যদি নাও হোন, যদি তারা কোন না কোনভাবে এক দল ছাই চাপা আগুন বা বারুদের মতো লোক খুজে বের করতে পারেন - তাহলে তাদের পিছন ফিরে তাকাতে হবে না । অন্তত এই লাইনের ক্ষেত্রে ।
পরিশেষে বলছি : মওদুদী মতবাদ বলে কিছু একটা আছে বলেই জামায়াতের বিরোদ্ধে আলেমরা এত কিছু বলার সাহস পান ।
আপনি যদি আমার সাথে মওদুদী মতবাদ নিয়ে বাহাস করতে চান - তাহলে ১০০ টাকার স্ট্যাম আর একজন উকিল এবং ৫-৬ জন আলেম নিয়ে আমার কাছে এক দিন হাজির হোন । আর আমিও ২-৩ জন আলেম নিয়ে হাজির হবো ।
যদি আমি বা আমরা প্রমাণ করতে পারি, মওদুদী মতবাদ বলে কিছু একটা আছে, তাহলে আপনি তওবা করবেন লোকদের সামনে । আর আমরা যদি প্রমাণ করতে না পারি, তাহলে আমরা তওবা করবো লোকদের সামনেই ।
তারা দেখাতে পারবে জামাতে ইসলাম কোনদিন মৌদুদীর জন্ম বা মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেছে কিনা ? জামাতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রে বা ম্যানুফেষ্টায় মৌদুদীর নাম আছে কিনা ? জামাতে ইসলামির কোন সভা-সমাবেশ-সেমিনারে কোনদিন মৌদুদীর উপর আলোচনা হয়েছে কিনা ? সোজা কথায় জামাতে ইসলাম কি দেশে মৌদুদীর কিছু ইখতিলাফি বিষয় কায়েম করতে চায় নাকি কুরআনের আইন দেশে প্রতিষ্ঠা করতে চায় ?
জামায়াত-শিবিরের সিলেবাসভুক্ত বইগুলোর তিনভাগের দুই ভাগ মওদুদীর বই কেন ? - এই ব্যাপারে কিছু বলুন ।
আপনি কুরআনের আইনের কথা বলেন । দয়া করে আমাকে এই তিনটা ভিডিও দেখে তারপর বলুন : এই নাটকে উল্লেখিত কুরআনের আইন কি কুরআনের আয়াত "ইন্নাল্লাহা ইয়া,মুরু বিল আদলি ওয়াল ইহসান" - এর সাথে সম্পর্কিত কি ?
১ম অংশ
http://www.youtube.com/watch?v=j2JarymL4Yw
২য় অংশ
http://www.youtube.com/watch?v=l2ZXlEkDOw8
৩য় অংশ
http://www.youtube.com/watch?v=7ai0G5rH2bQ
আশা করি এই তিনটা ভিডিও পর্যায়ক্রমে ভালভাবে দেখে আমার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন ।
এই ভিডিও-র শেষ পর্যায়ে বলা আছে ইসলামী আইন মানুষের জন্য ক্ষতিকর ।
আপনি তো সঠিক ইসলাম । আশা করি সঠিক ইসলামের আলোকে প্রশ্নের জবাব দিবেন ।
১. দেশের সার্বভৌমত্বের মালিক আল্লাহ। ২. দেশের আইন আলকুরআন ও আস্সুন্নাহর ভিত্তিতে রচিত হবে। ৩. রাষ্ট্র ইসলামী আদর্শ ও নীতিমালার উপর সংস্থাপিত হবে। ৪. রাষ্ট্র মা‘রুফ প্রতিষ্ঠা করবে এবং মুনকার উচ্ছেদ করবে। ৫. রাষ্ট্র মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য সম্পর্ক মজবুত করবে। ৬. রাষ্ট্র সকল নাগরিকের মৌলিক প্রয়োজন পূরণের গ্যারান্টি দেবে। ৭. রাষ্ট্র শারীয়াহর নিরিখে নাগরিকদের সকল অধিকার নিশ্চিত করবে। ৮. আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। ৯. স্বীকৃত মাযহাবগুলো আইনের আওতায় পরিপূর্ণ দীনী স্বাধীনতা ভোগ করবে। ১০. অমুসলিম নাগরিকগণ আইনের আওতায় পার্সোনাল ল’ সংরক্ষণ ও পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। ১১. রাষ্ট্র শারীয়াহ কর্তৃক নির্ধারিত অমুসলিমদের অধিকারগুলো নিশ্চিত করবে। ১২. রাষ্ট্রপ্রধান হবেন একজন মুসলিম পুরুষ। ১৩. রাষ্ট্রপ্রধানের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হবে। ১৪. রাষ্ট্রপ্রধানকে পরামর্শ প্রদানের জন্য একটি মাজলিসে শূরা থাকবে। ১৫. রাষ্ট্রপ্রধান দেশের শাসনতন্ত্র সাসপেন্ড করতে পারবেন না। ১৬. সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে রাষ্ট্রপ্রধানকে পদচ্যুত করা যাবে। ১৭. রাষ্ট্রপ্রধান তাঁর কাজের জন্য মাজলিসে শূরার নিকট দায়ী থাকবেন এবং তিনি আইনের ঊর্ধ্বে হবেন না। ১৮. বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে স্বাধীন হবে। ১৯. সরকারী ও প্রাইভেট সকল নাগরিক একই আইনের অধীন হবে। ২০. ইসলামবিরোধী মতবাদের প্রচারণা নিষিদ্ধ হবে। ২১. দেশের বিভিন্ন অঞ্চল একই দেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক ইউনিট বলে গণ্য হবে। ২২. আলকুরআন ও আস্সুন্নাহর পরিপন্থী শাসনতন্ত্রের যেই কোন ব্যাখ্যা বাতিল বলে গণ্য হবে।
নিজের ব্যপারে মাওলানা মওদুদীর অবস্থানঃ
" পরিশেষে একটি কথা পরিষ্কার করে দিতে চাই,
ফিকাহ ও ইলমে কালামের বিষয়ে, আমার নিজস্ব একটি তরিকা রয়েছে।
আমার ব্যক্তিগত অনুসন্ধান, গবেষণার ভিত্তিতে আমি এটি নির্ণয় করেছি।
গত আট বছর যারা "তারজামানুল কুরআন পাঠ করেছেন তারা একথা ভালোভাবেই জানেন।
বর্তমানে এই সংগঠনের আমীরের পদে আমাকে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। কাজেই একথা পরিষ্কার ভাবে বলে দিতে হচ্ছে যে- ফিকাহ ও ইলমে কালামের ব্যপারে, ইতিপূর্বে আমি যা লিখেছি এবং ভবিষ্যতে যা লিখবো অথবা বলবো তা জামায়াতে ইসলামীর আমীরের ফয়সালা হিসেবে গন্য হবে না।
বরং তা হবে আমার ব্যক্তিগত মত।
এইসব বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত রায়কে,
জামায়াত এর অন্যান্য আলেম বা গবেষক দের উপর চাপিয়ে দিতে আমি চাইনা!
এবং আমি এও চাই না যে,
জামায়াত এর পক্ষ থেকে,
আমার উপর এমন সব
বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে যে,
যার ফলে ইলমের ক্ষেত্রে,
আমার গবেষণা করার এবং মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া হবে।
জামায়াতের সদস্যদের কে আমি আল্লাহর দোহাই দিয়ে অনুরোধ করছি যে,
ফিকাহ ও কালাম শাস্ত্র সম্পর্কিত আমার কথাকে, আপনারা কেউ অন্যের সম্মুখে প্রমান স্বরুপ পেশ করবেন না।
অনুরুপ ভাবে আমার ব্যক্তিগত কার্যাবলীকেও, যেগুলোকে আমি নিজের অনুসন্ধান ও গবেষণার পর জায়েয মনে করেছি,
অন্য কেউ যেন প্রমান স্বরুপ গ্রহন না করে,
এবং নিছক আমি করেছি বলেই যেন বিনা অনুসন্ধান এ তার অনুসারী না হন।
এ ব্যপারে প্রত্যেকের পুর্ন স্বাধীনতা রয়েছে।
উপরন্তু এ ব্যপারে আমার বিপরীত মত পোষন করার এবং নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রত্যেকের রয়েছে" -
(জামায়াতে ইসলামীর কার্যবিবরনী-১মখন্ড, ২৮ পৃষ্টা
চোখ রাখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/38461
আমার এই লেখাটা পড়ুন ।
আমার লেখাতে মওদুদী মতবাদ অগ্রহণযোগ্য তা উপস্হাপন করা হয়েছে । আশা করি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত পড়বেন ।
এখন এড ডিলিট সব করতে পারবেন ।
বাগ ফিক্সিং ডান।
ট্রাই করেন আনব্লক করতে পারবেন এখন।
আপনার সাথে একমত হলাম০
ধন্যবাদ স্বাগতম
মন্তব্য করতে লগইন করুন