ইসলাম পন্থিদের ঐক্য সময়ের দাবী
লিখেছেন লিখেছেন আমি আহমেদ মুসা বলছি ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:২৮:১৪ দুপুর
বাংলাদেশ আজ আরো একবার তার রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে । তবে অন্য যে কোন সময়ের চাইতে এবারের বিষয় বা ধরণটা ভিন্ন । ইতোমধ্যে অনেক জ্ঞানী-ইসলামী ব্যাক্তিত্য এই লড়াইকে আস্তিক এবং নাস্তিকের লড়াই হিসেবেও চিন্হিত করেছেন । আবার এই লড়াইকে কেও কেও বাংলাদেশের রাজনৈকি অবয়ব বিন্যাসের লড়াই হিসেবেও মানছেন । আমার মতো একরোখা কম বুঝের মানূষগুলোর কাছে, “এই লড়াই বাংলার জমীনে ইসলাম পন্থিদের অস্তিত্যর লড়াই ।মুসলমানদের ইমান আকীদা বাচানোর লড়াই ।”
আমার লেখার শিরোনাম দেখেই আপনারা বুঝে নিয়েছেন আমি ভেতরে কি বলতে চাইছি । এই বিষয়টির প্রতি ইমানদার মাত্রই এত বেশি পরিচিত ও আকাঙ্খিত যে , এখানে আমার নতুন করে বলারও কিছু নেই । আমি নিজেও এ সর্ম্পেকে পুরোপুরি জ্ঞান রাখিনা । কিন্তু,আজ চারদিকের অবস্থা দেখে এ নিয়ে চুপ থাকাও সমুচিন মনে হচ্ছেনা । তাই , গত কয়েকদিন একটানা বিষয়টির উপর পরালেখার পর আমার মনের কথাগুলো ইসলামী আন্দোলনের রাহবার-জনশক্তিদের জানানোর জন্য এই ক্ষুদ্র চেষ্টা ।
আল্লাহতালার দেখানো পথ :
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এমন এক জরুরী বিষয় যা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির গভীরে প্রোথিত। ঐতিহাসিক এ বাস্তবতার অসীম গুরুত্ব সম্পর্কে পবিত্র কোরআন তথা মহান আল্লাহ ও তাঁর সর্বশেষ রাসূল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বার বার মুসলমানদের সতর্ক করেছেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমরা আল্লাহর রজ্জু শক্ত করে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্নহয়োনা।" তাই আল্লাহ পাকের দেখানো পথেই খুজতে হবে আমাদের তথা ইসলামপন্তিদের ঐক্য ।
এখন আপনাদের সামনে আমি কোরআনের এমন একটি আয়াতেকারীমা উল্লেখ করবো , যেটিতে আল্লাহ লুকিয়ে রেখেছেন আমাদের ঐক্য ।সুরা আলে ইমরানের ৬৪ নং আয়াতে আল্লাহতালা বলেন :
“বলো, ‘হে কিতাবের অনুসারিগণ । এসো সেই কথায় যা তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে একই । প্রথম সাদৃশ্যটা কি? তা হচ্ছে – আমরা আল্রাহ ব্যাতীত আর কারো ইবাদত করি না ।কোন কিছুকেই তার শরিক করি না । আমাদের কেও কাকেও আল্লাহ ব্যাতিত রব হিসেবে গ্রহন করি না । যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় , তাহলে তুমি বল ,তোমরা সাক্ষী থাক , অবশ্যই আমরা মুসলমানরা আল্লাহর কাছে আমাদের ইচ্ছাকে সর্মপন করলাম ।”
পবিত্র কুরানের এই আয়াতে আহলে কিতাব তথা ইহুদী-খ্রিষ্টানদের কতা বলা হয়েছে ; যদি আমরা আরো এক ধাপ এগিয়ে চিন্তা করি তবে তা আমাদের তথা বাংলাদেশ বা সারা বিশ্বের ইসলামপন্থিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । এটাই ইসলাহ দেওযার সবচেয়ে নেরা উপায় । যাতে করে বাংলাদেশের ইসলামপন্থিরা এককাতারে আসতে পারে ।
বর্তমান বাংলাদেশে যে কয় ধারার ইসলামপন্থি রয়েছেন যেমন : কওমী মাদ্রাসা বা ওলামায়ে দেওবন্দ যারা অরাজিনৈতিক ভাবে ইসলামপন্থি বা বর্তমান হেফাজতে ইসলাম ও হক পন্থি পীর ওলামায়েকেরাম । উনাদের মধ্যে যারা রাজনৈতিক ভাবে ইসলাম চর্চা করেন তারা হলেন নেজামে ইসলাম পার্টি, ইসলামী খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, মুসলিম লীগ ,ইসলামী মোর্চা, ইসলামী ঐক্য এছারাও আরো থাকতে পারে যা আমার জানা নেই ।
এছারা ওলামায়ে দেওবন্দ আকিদার বাইরে ইসলামকে গনতান্ত্রিক কাঠামোয় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন এমন ইসলামপন্থিরা হলেন ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিস [কওমী মাদ্রাসাগুলোতেও তাদের অবস্থান রয়েছে] এছারা জামায়াতে ইসলামী ।
আল্লাহর রহমতে এই দলগুলোর সবগুলোই এই বিষযে একমত যে , আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা , হযরত মুহাম্মদ [স:] আমাদের রাসূল , আমাদের ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন যা পৃথিবীর সবচাইতে বিষুদ্ধ্ গ্রন্থ , কুরানের পরে ইসলামের পথনির্দেষ কারী গ্রন্থ হাদীস ।
দেখুন এখানে যে পাচটি বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে এগুলো সম্পর্কে উপরে উল্লেখিত সকল ইসলাম পন্থিদের উত্তর একটাই – আলহাম্দুলিলাহ । সে যে দল বা মতেরই হোকনা কেন । অর্থাৎ এ কথাগুলোর মধ্যে কোন মতবিরোধ নেই – আলহাম্দুলিলাহ ।
তাহলেতো আমরা নির্দিধায় বলতে পারি-
“এসো সেই কথায় যা তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে একই ”
বিষয়: রাজনীতি
১৬৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন