সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসের যৌক্তিকতা!
লিখেছেন লিখেছেন সত্য প্রিয় বাঙালী ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:২০:৪৭ সকাল
স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস কতটুকু যৌক্তিক? এই বিশ্ব জগতের স্রষ্টা কি কেউ আছে??
কেউ যদি কোন এক অজানা দ্বীপে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং মানুষের পায়ের চিহ্ন দেখে তবে সে অবশ্যই চিন্তা করবে এই দ্বীপে আমার আগে কেউ এসেছিল। সমুদ্রের ঢেউ এসে 'বাই চান্স' মানুষের 'পায়ের চিহ্ন' তৈরী করার চিন্তাটা অবশ্যই অদ্ভূদ হবে। গ্রীক দার্শনিক প্লেটো এই যুক্তিই দাঁড় করাচ্ছে।
মানব সৃষ্টির শুরু থেকেই পৃথিবীর মানুষ স্রষ্টায় বিশ্বাসী ছিল, এটাই যৌক্তিক যেহেতু পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষই আজও স্রষ্টায় বিশ্বাসী। বরং নাস্তিকতার শুরু মূলত এই আধুনিক যুগে। বাস্তব অভিজ্ঞতা অন্তত এটাই বলে যে, স্রষ্টার বিশ্বাস মানুষের মধ্যে হঠাত করে আসেনি বরং 'স্রষ্টা নেই' এই বিশ্বাস টাই এসেছে এই শতাব্দীতে। আধুনিক কিছু গবেষণাও এই ফলাফল দেখায় যে মানুষের মস্তিষ্কের একটি অংশ মানুষকে স্রষ্টায় বিশ্বাসী করে তোলে। এই বিষয়ে পত্রিকা ডেইলিমেইল এবং দ্যা ইন্ডিপিন্ডেটএর নিউজ গুলো দেখতে পারেন। এছাড়া এই লিখাটিও পড়তে পারেন।
কোরআন নাস্তিকদের এই ব্যাপারে যেই চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে তা হলো সূরা তূরের ৩৫ নং আয়াত।
"তারা কি কোন স্রষ্টা ছাড়া এমনি এমনিই সৃষ্টি হয়ে গেছে, না তারা (বলে যে, তারা) নিজেরাই (নিজেদের) স্রষ্টা। না তারা নিজেরা এই আকাশমন্ডলী ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছে" (সূরা তূর ৫২:৩৫-৩৬)
এই আয়াতে 'লজিক' এবং যৌক্তিক 'কারণ' সহকারে কোন কিছু 'সৃষ্ট' হওয়ার সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। মূলত এর বাইরে কোন যৌক্তিক কারণ নেই।
সম্ভাবনা-১ঃ মানুষ 'শূন্য' থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। এটা যুক্তিতে টিকেনা। কারণ, NOTHING CAN NOT CREATE ANYTHING! মূলত নাস্তিকেরা এই দাবীই করে থাকে।
সম্ভাবনা-২ঃ মানুষ নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছে। এটাও যুক্তি হীণ। কারণ, কেউ নিজেকে সৃষ্টি করতে হলে, আগে নিজেকে অস্তিত্বে আনতে হবে। তাই এটা যুক্তি বিহীন। শুধুমাত্র অন্যকেউ অলরেডী অস্তিত্বে আসলে সে দ্বিতীয়জনকে সৃষ্টির যৌক্তিকতা আসবে।
সম্ভাবনা-৩ঃ অনেক পর্ব কিংবা ধাপ পার হয়ে মানুষের আজকের এই অবস্থান। মানে অনেক 'CAUSE' & 'EFFECT' এর ফল মানুষ। মানে, C1 এসেছে C2 থেকে, C2 এসেছে C3 থেকে, এরুপ C3 এসেছে C4 থেকে। এভাবে C4 এসেছে CN থেকে। কিন্তু, এই ভাবে চেইন (chain) চলতে থাকলে, বস্তুত CN হবে অপরিসীম এবং অনির্দিষ্ট। অথবা বলা যায়, CN নিজেই কখনো অস্তিত্বে আসেনি, তাই C1 এর অস্তিত্বও অস্বীকার করা হয়, মানে মানুষের নিজের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা হয়। এরিস্টটল তাই এরুপ INFINITE CAUSE & EFFECT থেকে মানব সৃষ্টি অসম্ভব বলেই সাভ্যস্ত করেছেন।
তাই যুক্তি বলে, শুধুমাত্র মানুষ কিংবা এই বিশ্বের অস্তিত্বে তখনই আসা সম্ভব যখন মানুষকে কিংবা এই বিশ্বকে এমন কেউ সৃষ্টি করেছে যে নিজে 'সৃষ্ট' নয়। এটাই যুক্তিযুক্ত। তাই স্রষ্টায় বিশ্বাস কোন অন্ধ বিশ্বাস নয় যেই রকম আমাদের দেশের মানুষ মনে করে থাকে।
বিষয়: বিবিধ
১৭৩৮ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 8870
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 8870
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> লিটুয়ারা লিখেছেন : @ জনাব ডট কম,আপনার আল্লা যদি বিশাল হবেন তো- পৃথিবীতে এত এত উন্মক্ত স্থান থাকার পরও চোরের মত মরুভূমির শিয়ালের গর্তে ওহী নাজিল করবেন কেন???
নাস্তিকতা মূলত কিছু ভিত্তিহীন উদ্ভট বিশ্বাসের সমাহার।
পড়লাম, জাযাকাল্লাহ.. দোয়া করি
--------------------------------
নাস্তিক হচ্ছে তারা যারা বিশ্বাস করে সৃষ্টিকর্তা নেই , আর আস্তিক হচ্ছে তারা যারা বিশ্বাস করে সৃষ্টিকর্তা আছে।
--------------------------------
মানুষের ব্রেনকে বলা হয় মহাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জটিল বস্তু।ব্রেন আল্লাহ্ তাআলার এক অসাধারণ সৃষ্টি যার রহস্য এখনো মানুষ সমাধান করতে পারেনি। এই ব্রেন দিয়েই একদল মানুষ আল্লাহ্ তাআলার আনুগত্য করতে শিখে আরেকদল শিখে আল্লাহ্ তাআলার অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে এবং তাঁর নাফরমানী করতে।
আমাদের ব্রেন পৃথিবীটাকে দেখে True/False এক্সাম হিসেবে।এই জন্য সাইকোলজিস্ট Daniel Gilbert বলেছেন কোন তথ্যকে প্রসেস করতে হলে আমাদের ব্রেনকে অবশ্যই সেই তথ্যটাকে প্রথমে বিশ্বাস করতে হবে। ১ সেকেন্ডের অর্ধেক হলেও সে তথ্যটা ব্রেন বিশ্বাস করবে। যেমন ধরুন আমি আপনাদের 'গোলাপি' রংয়ের হাতিদের সম্পর্কে চিন্তা করতে বললাম।আপনারা সবাই জানেন যে 'গোলাপি হাতি' বলতে কিছু নেই। কিন্তু যখন আপনি 'গোলাপি রংয়ের হাতি' শব্দগুলো পড়লেন তখন অল্প সময়ের জন্য আপনার ব্রেনে গোলাপি রংয়ের হাতির একটা ছবির সৃষ্টি হয়েছিল।অর্থাৎ কোন বিষয়কে অস্তিত্বহীন প্রমাণ করার জন্য আপনার ব্রেনকে প্রথমে সেই বিষয়টার অস্তিত্ব আছে বলে বিশ্বাস করতে হয়।
বেশীরভাগ নাস্তিকরা যখন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা করে তখন তার ব্রেন স্বাভাবিকভাবেই সৃষ্টিকর্তার একটা ইমেজ তৈরী করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার ব্রেন 'Error' সাইন দেখায় ।কারণ সৃষ্টিকর্তার সঠিক ইমেজ মানুষের দ্বারা সৃষ্টি করা সম্ভব না। এই জন্য নাস্তিকরা প্রশ্ন করে ' আমরা সৃষ্টিকর্তাকে কেন দেখি না?' ।.এমনকি একজন আস্তিকও যখন সৃষ্টিকর্তার সম্পর্কে চিন্তা করে , আরশকে ধরে রাখা ফেরেশতাদের সম্পর্কে চিন্তা করে কিংবা জান্নাতের প্রাসাদ সম্পর্কে চিন্তা করে তখন তার ব্রেনে একধরনের ইমেজ তৈরী করে,কিন্তু যারা ভাল প্রাক্টিসিং মুসলিম তারা জানে যে এইসব কল্পনা করা সম্ভব না।
ব্রেনের ডাটা প্রসেসিং এর এই পদ্ধতি হল ধ্রুবক , সব মানুষের ব্রেনেই এই বৈশিষ্ট্য ছিল , থাকবে। এটাকে নিউরোলজিক্যাল কন্সট্যান্টও বলা যায়। আর তাই আমরা দেখি ব্রেনের দ্বারা ধোঁকা খেয়ে যুগে যুগে ভ্রান্তরা ' আমরা সৃষ্টিকর্তাকে কেন দেখি না?' এই প্রশ্নটা করেছে। বনী ঈসরাইলরাও এই প্রশ্নটা করেছিল। পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন--
" আর যখন তোমরা বলেছিলে , 'হে মুসা! আমরা আল্লাহকে প্রত্যক্ষভাবে না দেখা পর্যন্ত তোমাকে কখনো বিশ্বাস করব না ।' তখন তোমরা বজ্রাহত হয়েছিলে এবং নিজেরা তা প্রত্যক্ষ করেছিলে।" [সূরা বাক্বারাহ, আয়াত-৫৫]
মূর্তিপূজারীদের ভ্রান্ত হবার অন্যতম কারণও হল এটা।
এখন প্রশ্ন হল , তাহলে আমরা কিভাবে স্রষ্টার অস্তিত্বকে বিশ্বাস করছি? এর উত্তর হল যে, ব্রেন শুধু উপরিউক্ত সিস্টেমেই ডাটা এনালাইজ করে না। ডাটা যত জটিল হবে এনালাইসিসের পদ্ধতিও জটিল হবে। যেমন ধরুন আমি বললাম 'ধসূর 'রংয়ের হাতি আছে। তখন আপনার ব্রেন 'গোলাপি রংয়ের হাতি' ডাটাকে এনালাইজ করতে যতটুকু সময় নিয়েছিল তার থেকে অল্প সময়ের মধ্যে 'ধসূর রংয়ের হাতি' ডাটাকে এনালাইজ করতে পারবে কারণ আপনি ধসূর রংয়ের হাতি দেখেছেন। কিন্তু আমি যদি বলি আর্কিমিডিসের গণিতের সমস্যা Problema Bovinum এর সমাধান করতে গেলে যে ফার্মার সমীরকরণ , V^2 - du^2 = 1 পাওয়া যায় সেখানে d=410286423278424 হবে , এটা কি সত্য নাকি মিথ্যা যাচাই করুন । তাহলে কিন্তু ব্রেনকে খুব সময় নিতে হবে এবং খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে ডাটাটাকে প্রসেস করতে।
নাস্তিকদের সমস্যাই হল এটা যে এদের ব্রেন প্রথম পদ্ধতিতে ডাটা এনালাইজ করে ,অর্থাৎ এরা অলস মস্তিষ্কের অধিকারী। এরা অনেক তথ্য-প্রমাণকে ইগনোর করে, ইসলাম সম্পর্কে জানতে চায় না ,সীরাহ্ পড়তে চায় না পড়লেও বিধর্মীদের লেখা সীরাহ্ পড়ে। আর সুরা লাইক থেকে সুরা আমদানি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে , যাহা জনৈক খ্রিষ্টান দ্বারা কোরআনের কিছু সুরা থেকে তৈরি করা ,
কিন্তু বিশ্বাসীরা ধৈর্য ধরে আল্লাহ্ তাআলার নিদর্শনগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে। ক্বুরআন ও সীরাহ্ থেকে জ্ঞান অর্জন করে ঈমানকে মজবুত করে।
m/ m/ m/
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 8870
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> লিটুয়ারা লিখেছেন : @ লোকমান সাহেব,আপনি বলেছেন- নাস্তিক হচ্ছে তারা যারা বিশ্বাস করে সৃষ্টিকর্তা নেই , আর আস্তিক হচ্ছে তারা যারা বিশ্বাস করে সৃষ্টিকর্তা আছে।
বাজারে নানান কিসিমের পরস্পর বিরোধী সৃষ্টিকর্তা আছেন- কোরাণের আল্লা, বাইবেলের গড, ত্রিপিটকের মহাপ্রভু, বেদগ্রন্থের ভগবান, মহাভারতের দূর্গাদেবী.......... এমন অনেক।
কোরাণের আল্লা বলেন "আমিই সব"। বাইবেলের ট্রিপল এন্টেটি গড বলেন আমিই সব। বেদগ্রন্থের ভগবান বলেন আমিই সব। দূর্গাদেবী, মহাপ্রভু......... সবার একই দম্ভ। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন।
তো, আপনার আস্তিকি ব্রেনের এন্টেনায় কোন সৃষ্টিকর্তা ধরা খেয়েছে সেটা সবার আগে ক্লিয়ার হওয়া জরুরী। এখন আপনি যদি কোরান বিশ্বাসী আস্তিক হয়ে থাকেন তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি- সাইকোলজিস্ট Daniel Gilbert কিন্তু আপনার কোরাণে বিশ্বাস করেন্না।
সুতরাং কম্পিউটার প্রযুক্তির ডেটাবেজ ফর্মুলা কপচা কপচি না করে আপনাকে প্রমান করতে হবে কোন যুক্তিতে আপনার কোরাণের আল্লা পাহাড়ের গর্তে চোরের মত মোহাম্মদের কাছে ওহী নিয়ে হাজির হলেন? আমরা আস্তিক/নাস্তিক যেটাই হই না কেন আপনার কোরাণের কিচ্ছা-কাহিনী অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করবো কেন??? উত্তর দিন।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 8870
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> লিটুয়ারা লিখেছেন : আমি এই উত্তরের অপেক্ষায় ছিলাম, সুরসুর করে ফাঁদে ধরা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।আপনি কোরাণের বাণী কোট করেছেন- "আর যখন তোমরা বলেছিলে , 'হে মুসা! আমরা আল্লাহকে প্রত্যক্ষভাবে না দেখা পর্যন্ত তোমাকে কখনো বিশ্বাস করব না ।' তখন তোমরা বজ্রাহত হয়েছিলে এবং নিজেরা তা প্রত্যক্ষ করেছিলে।" [সূরা বাক্বারাহ, আয়াত-৫৫]
চমৎকার, শুধু তাই না ; পুরো কুরান জুড়ে রয়েছে বহু অতিপ্রাকৃত গাল-গল্পের ছড়াছড়ি ! এগুলো যদি শুধু মুহম্মদের কথা শুনেই বিশ্বাস আনতে হয় তবে ‘আলাদিনের চেরাগ’ কিংবা ‘হ্যারিপটারের জাদুর ছড়ি’ -তে বিশ্বাস করতে নিশ্চই কোন সমস্যা নেই আপনার ?
১। মুহম্মদ কতৃক চাঁদ দ্বিখণ্ডি করন - (Quran 54:1) এবং হাদিস (Sahih Bukhari 4:56:830-32, 5:58:208-211)
২। মাছের পেটে নবী ইউনুস- (Quran 37:142)
৩। লাঠি নিক্ষেপে সাপ হয়ে যাওয়া (Quran 7:107)
৪। পাখা যুক্ত গাধার পিঠে মুহম্মদের মহাশুন্য ভ্রমন বিলাস (Quran 17:1)
৫। মানুষের সাথে পিপড়ার কথপতন (Quran 27:18)
তো ভায়া, আপনার 'ছু মন্তর ছু' জাদুর ভেলকিবাজী দিয়ে কোরাণের আল্লা বিক্রি হবে না। এটা বুঝেন তো??
------------------------------
আপনি দেহী কোরআনে ইয়া বড় হাফেজ , তো দাদা নাস্তিক বাবু কোরআন কোন দিক থেকে পড়া শুরু করে জানতে পারি ? ) )
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 8870
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> লিটুয়ারা লিখেছেন : আপনার ইসলামী নাটবোল্টু ইতি মধ্যেই টাইট করে দেয়া হয়েছেন। এরপর আল্যাবিল্লা নিয়ে পিছলামী করার কোন সুযোগ আপনার আছে বলে আমি মনে করি না। ধন্যবাদ।১। চাঁদ দিখন্ডিত করণ অস্মভব কিনা?? ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগে আমেরিকা তো চাঁদ ধ্বংস করার প্লান করেছিল।
২। মাছের পেটে ইউনুস ছিলনা এটা আপনি প্রমাণ করতে পারবেন? গ্রিনিস বুকে রেকর্ড গুলো দেখুন, মানুষ কি কয়েক সপ্তাহ সাগর থেকে ডুবে যাওয়ার পর জীবিত উদ্ধার হয়নি?? তাহলে ইউনুস আঃ পারবেন না কেন?? যদি স্রষ্টা চায়।
৩। লাঠিকে সাপ বানাতে তো নবী রাসূলও লাগেনা। যাদুকর ই যথেষ্ট। এটা অবিশ্বাসের কোন কারণ নাই। আর ফেরাউন যে ছিল তা তো ইতিহাস প্রমাণিত আর মূসাও যে ফেরাউনের সময় ছিল তাও ইতিহাস প্রমাণিত। মুসলিমদের ইতিহাস পড়া লাগবেনা। মিশরের ইতিহাস পড়ুন।
৫। মহাশূন্যে ভ্রমণ কি অসম্ভব?
৬। পিঁপড়ার সাথে কথোপকথন কি অসম্ভব কিনা?? স্রষ্টা চাইলে তা কি সম্ভব নয়??
এইবার আসি মূল কথায়, এগুলো হচ্ছে ইতিহাসের কথা। যেহেতু আপনি কিংবা আমি কেউই ইতিহাসের পেছনে ফিরে যেতে পারবোনা। কোরআন কিন্তু বলছেনা এগুলো ঘটে, বলছে এগুলো ঘটেছে। তাই আমরা কোরানের সেসব বিষয় দেখব, যা আমরা সত্য কিংবা মিথ্যা প্রমাণ করতে পারব।
এখানে আপনাকে দু'টা প্রশ্নঃ
১। স্রষ্টা ছাড়াই আমাদের অস্তিত্ব সম্ভব তা প্রমাণ করুন??
২। একটা উদাহরণ দিয়েই শুরু করা যাকঃ
"Blessed is He who has placed in the sky great stars and placed therein a [burning] lamp and luminous moon. And it is He who has made the night and the day in succession for whoever desires to remember or desires gratitude." (আল কোরআন ২৫ঃ ৬১-৬২)
এই বার দেখি, ১৫০০ বছর আগে কোরানের করা উপরের সাইন্টিফিক নিদর্শন ভূল হয়েছে কিনা??
০১। ১৫০০ বছর আগে কারো পক্ষে জানা সম্ভব ছিল কিনা যে চন্দ্রের আলো নিজস্ব আলো নয়?
০২। পৃথিবীর বাইরেও অনেক গ্রহ-উপগ্রহ আছে??
০৩। সৃর্যের আলো নিজস্ব কিন্তু চাঁদ এর টা নয়??
০৪। রাত্রিকে ও দিনকে পরস্পরের অনুগামী যেটা ৬২ আয়াতে বলা হয়েছে, তা কেবল পৃথিবী গোলাকার হলেই সম্ভব। এখন মোহাম্মদ সাঃ এর সময়কার পৃথিবী গোল এই ধারণা ছিল কিনা??
একটু ভালোভাবে চিন্তা করুন। আর অন্ধ নাস্তিকতার মতো চিন্তা করলে শুধু চাঁদ দিখন্ডিতই দেখবেন। আর আপনি যদি শুরু থেকেই ধরে নিন স্রষ্টা নাই, তা প্রমাণ করতে হবে, তবে আপনার সাথে আমার কথা এখানেই শেষ। সত্য জানার ইচ্ছা থাকলে, আছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন