আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা! পরিবর্তন আবশ্যক!
লিখেছেন লিখেছেন সত্য প্রিয় বাঙালী ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৩:০৩:১৬ দুপুর
‘যেই জাতি যত বেশী শিক্ষিত, সেই জাতি তত বেশী উন্নত’-এই প্রবাদ প্রবচনটি বোধহয় এখন আর ধোপে টিকে না। বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞানের ধারক কারা?? উত্তরঃ ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা। আমেরিকায় প্রতি বছর গড়ে ৯০০০০ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে (এটা প্রকাশিত তথ্য, বাস্তবে আল্লাহই ভালো জানেন)। U. S. Department of Justice, Bureau of Justice Statistics এর তথ্য মতে, শুধু ২০০৮ সালেই সেক্সুয়াল হ্যারেসম্যান্ট এর শিকার দুই লক্ষ তিন হাজার আটশত ত্রিশ জন। হ্যাঁ ভাই, এটা ইউএসএ। আমাদের দেশে এক শ্রেণীর লোক মনে করে, শুধু মাত্র সচেতনতা (সচেতনতার নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই, এটি শিক্ষাকেই নির্দেশ করে), কিংবা শিক্ষাই (রিমেভবার, এটা ধর্মীয় শিক্ষা নয়, কারণ এই পক্ষ ধর্মকে দু’চোখেও দেখতে পারেনা।) পারে ইভটেজিং জাতীয় সকল প্রকার সেক্সুয়াল সমস্যা গুলো সমাধান করতে। তারা কি এই সব তথ্য দেখেনা?? এদের কে ঘাড় ধরে দেখানো দরকার, দ্যাখ বেটা!! তোদের শিক্ষার সবচেয়ে বড় মাথা আমেরিকায় প্রতি চার জন স্কুল ছাত্রীর এক জন তার চৌদ্দতম বছরে পদার্পণের আগেই ধর্ষনের স্বীকার হয় (তথ্যঃ Click this link
তাই প্রথম প্রবাদটি যদি সত্যি হয়, তবে আমি বলব, “যেই জাতি যত বেশী শিক্ষিত, সেই জাতির নারীরা তত বেশী ধর্ষিত”। ইউরোপের কী খবর?? যাক, ঐ দিকে নাই গেলাম। অবস্থা খুবই সিরিয়াস। তাহলে কী শিক্ষা দিক্ষা বন্ধ করে দিব??
১ম বাক্যটি চেঞ্জ করতে হবে, “যেই জাতি যত বেশী ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত, সেই জাতি তত বেশী উন্নত”। ধর্ম ব্যাপারটাকে আমাদের দেশের শুধু মাত্র মসজিদ-মাদ্রাসার কার্যকলাপ ধরা হয়। অথচ ইসলাম হল ‘পূর্ণাংগ’ ধর্ম (দেখুন সূরা মায়েদা আয়াত ৩)। ধর্মীয় শিক্ষা বলতে শুধু ধর্মীয় মৌলিক বই পড়তে হবে, অন্য কিছু পড়া যাবেনা, এমনটি নয়। দূর্ভাগ্য জনক ভাবে আমাদের দেশে শিক্ষার দু’টি দিক, এক-স্কুল কলেজ ভিত্তিক শিক্ষা (যেখানে কোরয়ান হাদীস শিক্ষা নেই বললেই চলে। কিছু ধর্মীয় বই অবশ্য আছে, যেগুলোতে সকল জাল হাদীস লিপিবদ্ধ আছে, যেমন, চীনে দেশে নাকি বিদ্যা শিক্ষার জন্য যেতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি, এসব বইয়ের এখন নতুন নাম দেয়া হয়েছে, “ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা”, কারণ ইসলাম ধর্মে নৈতিক শিক্ষার খুবই অভাব!! ; ; তাই আলাদা করে নৈতিক শিক্ষা!!), দুই-মাদ্রাস ভিত্তিক শিক্ষা (যেখানে শুধুই কোরয়ান হাদীস মুখস্ত করানো হয়। হ্যাঁ কিছু বিজ্ঞান শিক্ষাও থাকে, তবে তা অপর্যাপ্ত।)।
এর ফলে যেটা হচ্ছে, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া স্টুডেন্ট রা এক সময় নাস্তিকতার দিকে পা বাড়ায়, ধর্ম থেকে অনেক দূরে সরে যায়, তারা ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে যাছাই করতে চায়, ধর্ম না পড়েই, না জেনেই, আবার বলি, “না জেনেই”। আর মাদ্রাসা পড়ুয়া স্টুডেন্ট রা বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাবে কলেজ পড়ুয়া স্টুডেন্ট দের বুঝাতে ব্যর্থ হয়। আর সমাজ তখন আমাদের ‘বর্তমান অবস্থা’র মতো হয়।
একজন মাদ্রাসার স্টুডেন্ট কখনোই জানবে না যে বিগ ব্যাং থিউরির মূল বক্তব্য আছে সূরা আম্বিয়ার ৩০ নম্বর আয়াতে (কিছু স্টুডেন্ট জানে, নিজের আগ্রহে, মাদ্রাসা থেকে নয়)। অথচ সে এই আয়াত টি মুখস্ত জানে। সে কখনোই জানবেনা কোরআন কীভাবে আলোর গতি সম্পর্কে বলছে, দেখুন http://www.speed-light.info/angels_speed_of_light.htm)" target="_blank" target="_blank" rel="nofollow">Click this link।
আমাদের সমাজ সংস্কার শুরু করতে হবে, শিক্ষা থেকে। আল্লাহ বলেছেন, “পড়”। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করা দরকার, একটা নির্দিষ্ট লেভেল পর্যন্ত যেখানে সবাইকে কোরয়ান হাদীস পড়তে হবে, ইসলামকে জানতে হবে। আমি বিবিএ তে পড়ে, বিবিএ’র মোট ৪০ টা কোর্স। বিবিএ’র এতগুলো কোর্সের কোন দরকার নাই, ২০-২৫ টা কোর্স হলেই চলে, বাকী গুলো হওয়া দরকার ইসলামিক কোর্স, ইসলাম এন্ড সাইন্স। তখনই, ডাঃ মুরিস বুকাইলি, ডাঃ জাকির নায়েক কিংবা ডাঃ বিলাল পিলিপস এর মতো স্কলার বের হবে আমাদের দেশ থেকে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা চেঞ্জ হওয়া দরকার, এটি না হবে বর্তমান, স্কুল কলেজ বেসড না হবে বর্তমান মাদ্রাসা বেসড। আমাদের দেশের দায়িত্ব শীলরা কী এসব বিষয় নিয়ে ভাবেন??
বিষয়: বিবিধ
১১৬৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসলামি শিক্ষা বা ধর্মশিক্ষাকে প্রাথমিক স্তরে আলাদা দেখলে হবেনা। মুলত প্রত্যেকটি বিষয়কই সাজাতে হবে ইসলামি ও নৈতিক দিক থেকে। আমাদের এসএসসি এর কমার্স বিভাগের বইতে লিখা আছে ব্যবসার উপর সমাজ এর প্রভাব এর উদাহরনের যে ইসলাম ধর্মে সুদ নিষিদ্ধ হওয়ায় নাকি মুসলিম দেশে ব্যাংকিং কঠিন হয়! অথচ সুদ বিষয়ক কয়েকটি অধ্যায় থাকলেও সুদ এর ক্ষতিকর দিকটি পড়ান হয়না।
আপনার সাথে একমত।
Speed of Light
USA Statistics
মন্তব্য করতে লগইন করুন