চরমোনাই যে কি পরিমান ভ্রান্ত আকিদায় বিশ্বাসী আসুন সেই সম্পর্কে আজ একটু আলোচনা করি।
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তি পেতে চাই এই অসহায়ত্ব থেকে ১৯ জুন, ২০১৩, ০৪:৩৮:২৫ বিকাল
১: ইমদাদুছ ছুলুক :
লেখক রশিদ আহমেদ গঙ্গোহী ।
মুজাহিদ প্রকাশনি থেকা প্রকাশিত । বইটার শুরুতেই ফজলুল করিম পীর সাহেবের অভিমত দেয়া আছে। পড়তে শুরু করলাম। ২৭ নম্বর পাতায় পেলাম একটা নতুন ধারনা "তাওহীদে মতলব" হচ্ছে মারেফাতের ১ম শর্ত । কি এই "তাওহীদে মতলব" পড়তে লাগলাম। পীর সাহেব লিখেছেন
"যেমনি ভাবে আল্লাহ এক কিবলা এক তেমনি ভাবে পীরও এক ও অদ্বীতিয়" এটা মানার নামই তাওহীদে মতলব। এর চেয়ে বড় শিরক কি এর আগে দুনিয়ায় অন্যকেও করেছিল ?
একটু ভাবলাম আবার পড়তে লাগলাম। এবার লিখেছে "সাহাবীদের মাঝে নবীর মর্যাদা যেমন আপন মুরীদদের মাঝে পীরের মর্যাদা তেমন" এখানেই থামেনি আরেকটু অগ্রসর
হয়ে লিখেছে " নবীর আকার শয়তান যেমনি ভাবে ধারন
করতে পারেনা তেমনি পীরের আকারো ধারন করতে পারেনা ।"
অবাক হয়ে ভাবছি এই কি চরমোনাই ? থামলামনা পড়তেই
থাকলাম । পেয়ে গেলাম মারেফাতের মুল আকিদা "মুরিদ যত
দুরেই থাক পীর তার সাথে রূহানী ভাবে হাজির থাকে ।
মুরিদ যদি কোন ভাবে কখনো বিপদে পরে তবে পীরকে
নাজির জানিয়া তার কাছে সাহায্য চাইলে পীর তাকে বিপদ
থেকে উদ্ধার করবে ।" আরেকটু এগুলাম কয়েক পাতা পরেই
যা পড়লাম তাতে আমার রাগে শরীর কাপতে থাকল । বইটাবন্ধ করলাম । তার আগেই পড়ে ফেললাম পীরের
অমীয় বানী "যে খোদাকে চোখে দেখিনা ত যোগ্য মনে করিনা ।
সর্বশেষ আল্লাহর কাছে সমসাময়িক দুনিয়ার সকল
অলী আল্লাহ গন রাসুল (সাঃ) এর দরবারে হাজির হয়েছেন । রাসুল (সাঃ) কে প্রশ্ন করা হল ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বর্তমান
সময়ে দুনিয়ার সবচাইতে বড় আল্লাহর অলী কে ? রাসুল (সাঃ)
উত্তরে বললেন মেপে দেখা লাগবে । অতপর তিনি দাড়িপাল্লা আনলেন এবং তার এক পাল্লায় দুনিয়ার সকল অলী আওলিয়াদেরকে উঠালেন আরেক পাল্লায় চরমোনাই পীর ফজলুল করিম সাহেবকে উঠালেন । চরমোনাই
পীরের পাল্লা ভারি হইল । (ফজলুল
করিম সাহেবের জীবনী ১৬২
নং পাতা)
বিষয়: বিবিধ
২৪৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন