রাসিক নির্বাচনে দুই প্রার্থীর চমক পাপিয়া ও মমতাজ দুজন দুজনের বিপরীতে। কেউ জনপ্রিয়তায় আর অন্যজন জনগনের তোপের মুখে। জেনে আসি বাস্তবতা।

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তি পেতে চাই এই অসহায়ত্ব থেকে ০৮ জুন, ২০১৩, ০৮:১৭:৫২ রাত



সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতারা রাজশাহীতে। উভয়দলই এই সিটি নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।

নাওয়া-খাওয়া ভুলে তারা নেমে পড়েছেন প্রচারণায়। তারা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজ নিজ প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানাচ্ছেন। আর ভোটারদের কাছে চমক হিসেবে হাজির করা হয়েছে দুই সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফি পাপিয়া ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজকে। জানা গেছে, ১৮ দল সমর্থিত সম্মিলিত নাগরিক ফোরাম মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে মাঠে নেমেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বচন্দ্র রায়, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু ও অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খো‌কন, আশিফা আশরাফি পাপিয়া এমপি, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলু। তারা এখন গোটা নগরী চষে বেড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের নানা দুর্নীতি, লুটপাট, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, শেয়ারবাজার ও পদ্মাসেতু কেলেঙ্কারি, ও বিরোধী দলের ওপর নির্যাতনের কথা বলে তারা ভোটারদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন। এদিকে, এখন রাজশাহীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির মহিলা এমপি পাপিয়া। তিনি নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় পথসভায় বক্তব্য রাখছেন। রাজনীতির মাঠে ঝড় তোলা এই নেত্রীকে স্থানীয় বিএনপি চমক হিসেবেই এনেছেন বলে জানা গেছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন জানান, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের জনপ্রিয়তা ও সম্মান রয়েছে সারাদেশেই। এর ব্যতিক্রম নয় রাজশাহীতেও। কাজেই এই সুযোগটিও কাজে লাগাতে চাই আমরা।’ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করে ভোটকেন্দ্র ঘিরে রাখার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, জনগণের রায় ছিনতাইয়ের চেষ্টা করবে সরকার। কিন্তু তা প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র ঘিরে রাখতে হবে। কারণ এ নির্বাচনে জনরায়ের মাধ্যমেই সরকার পতনের সূচনা ঘটবে। এদিকে পিছিয়ে নেই আওয়ামী লীগও। মহাজোট সমর্থিত নাগরিক কমিটির মেয়রপ্রার্থী সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে জেতাতে কাজ করছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা লিয়াকত আলী শিকদার, কামরুল হাসান খোকন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মাহমুদ। এছাড়া থাকছেন রাজশাহীর পাঁচটি আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপিরা। তারা বিভিন্ন সময়ে রাজশাহী এসে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা। বিভিন্ন পথসভা ও কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নানা দুর্নীতির কথা বলছেন। তুলে ধরছেন, মহাজোট সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি। তারা নানা আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন। নির্বাচনের প্রচারণায় চমক হিসেবে থাকছেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ। রবিবার রাজশাহীতে আসছেন তিনি।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকউদ্দিন আহমেদ আরটিএনএন-কে বলেন, ‘সেন্ট্রাল নেতারা একে একে আসছেন, যাচ্ছেন। তারা লিটনকে বিজয়ী করতেই কাজ করে যাচ্ছে। আর হার্টথ্রুব সিঙ্গার হিসেবে তো মমতাজের জুড়ি নেই। কাজেই ভোটারদের চমক দিতে তিনিও আসছেন।’ মমতাজের যেমন জনপ্রিয়তা আছে ঠিক তেমনি তাকে অপছন্দ করে এমনটাও আছে অনেক বেশি। তবে ধারনা করা যায় সে যদি রাজশাহী অঞ্চলে যায় তবে সে জনগনের তোপের মুখেও পরতে পারে যা ২০১০ এ একটি অনুষ্ঠানে লক্ষ্য করা গেছিলো।

বিষয়: বিবিধ

১৮০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File