এটা কি ধরনের নির্মমতা? মুখে লাঠি ঢুকিয়ে ও বুকের ওপর বুটের চাপা দিয়ে দলিত মথিত করা হয় রিমান্ডে নির্মম নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি!
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তি পেতে চাই এই অসহায়ত্ব থেকে ১২ মে, ২০১৩, ১০:৪২:১৮ রাত
রিমান্ডে পুলিশের নির্মম নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলাওয়ার হোসেন। গত বৃহস্পতিবার মিরপুর থানায় রিমান্ডে নেয়ার পথে প্রিজন কারেই তার সারা শরীরে নির্যাতন চালায় পুলিশ। থানায় নিয়েও তার হাঁটু, পায়ের তালু, কোমর, পিঠে, মুখের ভিতর লাঠি ঢুকিয়ে ও বুকের ওপর বুটের চাপদিয়ে দলিত মথিত করে, আঙ্গুল দিয়ে চোখ উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টাসহ বিভিন্নভাবে বর্বর নির্যাতন করা হয়। এখন তিনি হাঁটতে বা বসতে পারছেন না বলে শিবিরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায়ই গতকাল শনিবার হাজারীবাগ থানায় ২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শিবির সভাপতির ওপর নির্মম নির্যাতনের কথা গতকাল আদালতকে পিটিশনের মাধ্যমে তার আইনজীবীরা অবহিত করেছে।
মিরপুর থানার ১৪(৩)১৩ নং মামলায় ১ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল শিবির সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ আবদুল জব্বার গতকাল এক বিবৃতিতে জানান, চার দফায় ৩৬ দিনের রিমান্ডের এক পর্যায়ে গত ৯ মে বৃহস্পতিবার মিরপুর থানায় এক দিনের রিমান্ডে নেয়ার পথে প্রিজন কারে তার ওপর অমানুষিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। তাকে রাস্তায়ই এএসআই দেলোয়ার কাপুরুষের মতো হাত পায়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তার সারা শরীরে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। থানায় নেয়ার পর মামলার তদন্ত কর্মকতা এস আই মাসুদ তার হাটু, পায়ের তালু, কোমড়, পিঠে, মুখের ভিতর লাঠি ঢুকিয়ে ও বুকের ওপর বুটের চাপা দিয়ে দলিত মথিত করে, আঙ্গুল দিয়ে চোখ উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টাসহ বিভিন্নভাবে বর্বর নির্যাতন করেছে। এখন তিনি হাঁটতে বা বসতে পারছেন না। তাকে আবার হাজারীবাগ থানায় নেয়া হয়েছে। তিনি প্রশাসনের প্রতি হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিবেন না। প্রিয় নেতা, নিরপরাধ শিবির সভাপতিকে গ্রেফতার ও নির্যাতনের পরও ছাত্র সমাজ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু তার ওপর এ বর্বর নির্যাতন অব্যাহত রাখলে ছাত্রসমাজকে আর নিবারণ করা যাবে না। শিবির সভাপতির ওপর নির্যাতন মেনে নেয়া হবে না। ছাত্র সমাজ গর্জে উঠবে। কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হব। এ নির্যাতনের প্রতিক্রিয়া সরকারের পতনকে নিশ্চিত করবে। তিনি অবিলম্বে শিবির সভাপতির ওপর নির্যাতন বন্ধ করে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আহ্বান জানান।
নির্যাতনের কথা আদালতকে অবহিতকরণ : শিবির সভাপতিকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের কথা পিটিশনের মাধ্যমে আদালতে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এডভোকেট আবদুর রাজ্জাক। মহানগর হাকিম আতাউল হকের আদালতে এই পিটিশন দেয়া হয়। এ সময় তিনি বলেন, একজন মেধাবী ছাত্রনেতাকে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়ার জন্যই সরকার পরিকল্পিতভাবে শিবির সভাপতির ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। এ সময় জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করে দেয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট শামসুল ইসলাম আকন্দ, এডভোকেট লুৎফুর রহমান আজাদ, এডভোকেট গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, এডভোকেট জিল্লুর রহমান, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, এডভোকেট আশরাফুজ্জামান শাকিল, এডভোকেট আবদুল মালেক ইমন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শিবির সভাপতিকে গত ৩১ মার্চ রাজধানীর শ্যামলী থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় তাকে টানা ৪২ দিন রিমান্ডে রাখা হয়
সংগৃহীত।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন