২৫ই মার্চ কালো রাতের পর ২০১৩ ৬ই মে কালো রাতে আরেকটি গণহত্যার ইতিহাস সৃষ্টি

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তি পেতে চাই এই অসহায়ত্ব থেকে ০৮ মে, ২০১৩, ০৪:০৪:৩৪ বিকাল

আমি জানতে চাই ঐ রাতে কত লক্ষ লোক শাহাদাত বরন করেছেন ? জুতা সংগ্রহের নামে বোল্ডজার দিয়ে কত হাজার লাশকে তুরাগ নদী ও বুড়িগঙ্গা নদীতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল ? হেফাজত নেতৃবৃন্দ রাতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা রাতে অবস্থান ও জিকির করে ভোরে ফজর নামাজ পড়ে চলে যাবে । কিন্তু পুলিশ-বিজিবি তা প্রত্যাখ্যান করে রাত সাড়ে ১২টা থেকে দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা যৌথ কমান্ডো অভিযান শেষ করে প্রায় ৯০ হাজার তৌহিদী জনতাকে হত্যা করেছিল কেন ? কিভাবে ১০মিনিটে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ লোককে সরানো হয়েছিল ? কেন রোড লাইট বন্ধ রাখা হয়েছিল ? '৭১ সালের ২৫ই মার্চ কালো রাতের পর ৬ই মে কালো রাতে আরেকটি গনহত্যার ইতিহাস সৃষ্টি করল হাসিনা । ধন্যবাদ হাসিনা কে (!) প্রনাম জানাই এই হাসিনা কে (কারন হাসিনা সালাম পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না) । রাতে ট্রাক ও কাভার ভ্যানে ৯০ হাজার লাশ কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ? লাশগুলো এখন কোথায় ? শাপলা চত্বরে ভোরে এত রক্ত দেখল কিভাবে ? পিলখানার ভিতরে এখনো এতলাশ কবে দাফন সম্পন্ন হবে ? কেন রাতের আঁধারে দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দিয়েছিল নিকৃষ্ট ফোর্স ও বিটিআরসি ? কেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী কে গ্রেফতার ও ৯দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত ? কেন আল্লামা শফী কে বিমানে করে চট্রগ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল ? কেন তাঁকে সংবাদ সম্মেলন করতে দেয়া হয় নি ? এই গনহত্যার দায় কে নেবে ? বাংলার জমিন কি নাস্তিকদের ? ভুলে গেলে চলবে না এই দেশ শাহজালাল শাহপরানের দেশ । জানুক পৃথিবী হাসিনা নাস্তিক ।

অপরদিকে,

গত রোববার রাতে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরিয়ে দিতে মতিঝিলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কতজন নিহত হয়েছে সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।

বুধবার সকালে হরতাল চলাকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার‌্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু এ দাবি জানান।

দুদু অভিযোগ করে বলেন, “সরকারের নানাভাবে সহযোগিতা নিয়ে শাহবাগে গণজাগরণ নামক একটি সংগঠন নানা দাবিতে টানা তিন মাস ধরে সমাবেশ করতে পারলেও হেফাজতকে তিন চার ঘণ্টা থাকতে দেয়া হয়নি। কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই রাতের আঁধারে বাতি বন্ধ করে নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে দুদু বলেন, “আপনারা বলছেন, কৌশলের কারণে রাতে অভিযান চালানো হয়েছে। তাহলে সকালে কেন এ কৌশল নেয়া হয়নি। সে সময় কেন গণমাধ্যমকে সেখানে রাখা হয়নি।”

তিনি সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, “আমরা জানতে চাই, সেদিন রাতের অভিযানে হেফাজতের কতজন নিহত হয়েছে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া সেদিন অভিযানে কারা নেতৃত্বে ছিল? দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে কিনা? সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ কিনা? সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ না সফল?”

এ ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রেস নোট না দেয়ার সমালোচনা করে দুদু বলেন, “সংসদ চলছে। প্রধানমন্ত্রী যেকোনো বিষয়ে কখনো কখনো সংসদের বাইরে ভেতরে প্রতিক্রিয়া জানান। কিন্তু এ ঘটনার পর তিনি কিছুই বললেন না।”

এসময় তিনি হরতালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হরতাল সমর্থকদের ওপর পুলিশের হামলার চিত্র তুলে ধরেন।

৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ম্যাডাম বলেছেন, যখন প্রয়োজন হবে তখন সবাইকে ডাকা হবে। তখন সুযোগ না দিলে আর অনুমতির অপেক্ষা করা হবে না।”

হেফাজতের নেতাকর্মীদের হতাহতের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে বিএনপি তদন্ত কমিটি গঠন করবে বলেও জানান দুদু।

যারা মৃতের সংখা নিয়ে প্রশ্ন করেন আর আওযামী লীগের সাথে সুর মিলিয়ে হেসে বলেন মারা গিয়েছে মাত্র কয়েক জন - তাদের আমি বলি.....ভাষা আন্দোলন আর ১৯৬৯ এর দামামায় মারা গয়েছিল হাতে গোনা কয়েক জন । ১৯৯০ এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আমরা জেহাদ আর মিলন ছাড়া কয়টি লাশ পেয়েছিলাম? ৪ ই মে ১৮৮৬ তে সেই শিকাগো শহরে শ্রমিক আন্দোলনে কয়জন মারা গিয়েছিল জানেন ? কিন্তু বিজয়টা কিন্তু আমরা পেয়েছিলাম। আজও বিজয় আমাদের ই হবে। শুধু অপেক্ষা। মনে রেখো তুমি আজ যে লাশের বুকের উপর নেচে রক্তের স্বাদ গ্রহণ করছ সে তোমার মতই বাংলায় কথা বলত, হয়ত প্রতিবেশী, নয়তো খোজ নিয়ে দেখো তোমার কারো আত্তিয়ের আত্তিয়, সে তোমার দেশের নাগরিক৷ তবুও কি কারনে তাদের সাথে এমন বেইমানি করলে? কি দোষ ছিল তাদের?

জানি এই সকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না । তবুও বিবেকে প্রশ্ন জাগে আমরা কি এখনো পরাধীনতার শৃঙ্খলার মধ্যে আছি !

বিষয়: বিবিধ

১৫৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File