গণভোট দেয়ার সাহস সরকারের নাই
লিখেছেন লিখেছেন ভালোবাসার পচা গন্ধ ১২ মে, ২০১৩, ১১:০৬:৪৩ সকাল
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবল আলী খান শনিবার ঢাকায় এক আলোচনা সবায় বলেছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংখট নিরসনে সবাইকে রাজনীতি বিমূখ না হয়ে বেশি বেশি করে রাজনীতি চর্চা করতে হবে। সাধারন জনগণ রাজনীতি চর্চা কমিয়ে দিলে রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বড়ো দুই দল জনগণকে পিষে মারবে। যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে দুই জোটের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত বাড়ছে তাই দেশের মানুষের মতামত জানার জন্য গণভোটের আয়োজন করা যেতে পারে। জনগণ যদি তত্ত্বাবধায় চায় তাহলে সেটাই করতে হবে। যদি না চায় তাহলে অন্যকোন উপায়ে নির্বাচন হবে।
ড. আকবর আলী খান যা বলেছেন দেশের বেশিরভাগ মানুষ তা’ই চায়।’কোন রাজনৈতিক দলের অধিনে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন যে সম্ভব নয়; সেটা একজন পাগলও জানে। কিন্তু সরকার সেটা বুঝেও না বুঝার ভান করছে। যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য দেশ জ্বালিয়ে ছারখার করেছিল সেই তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে ভয়ে কাঁপছেন শেখ হাসিনা। তবে, দেশের মানুষ সরকারের এই একগুঁয়েমি কিছুতেই মেনে নিতে রাজি নয়। তাই যেকোন মূল্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনেই জাতীয় নির্বাচন চায় দেশবাসী। ড. আকবর আলী খানের কন্ঠে দেশের ১৬ কোটি মানুষের মনের কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। অথচ সরকারের মন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের নেতারা তাঁর এই প্রস্তাব শুধু প্রত্যাখ্যান করেছেন তা নয়; যাচ্ছেতাই মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে, একটি প্রথম সারির দৈনিকের জরিপে দেশের ৯০ ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন। সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধূরি সেই জরিপ নিয়ে ওই পত্রিকার সম্পাদককে ইচ্ছেমত ধোলাই করেছেন। অথচ এই পত্রিকায় জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে কোন জরিপ করা হলে বাহবা দিতে ভুল করেন না মতিয়ারা। কোনকিছূ নিজেদের পক্ষে গেলে ভালো, বিপক্ষে গেলেই জরিপকারীদের ধোলাই! আসলে এমন চরিত্র কেবল মাত্র আওয়ামীলীগের পক্ষেই শোভা পায়। কারন, লোকে বলে- ‘আওয়ামীলীগ আর মানুষের মধ্যে নাকি অনেক বড়ো ফারাক’!!
বিষয়: বিবিধ
১৩০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন