এবার যদি হুশ হয়!!
লিখেছেন লিখেছেন ভালোবাসার পচা গন্ধ ০৮ মে, ২০১৩, ০৩:৪৫:২৭ দুপুর
দেশের কওমি মাদ্রাসায় ভর্তির পরপরই নাকি ছাত্রদের হাতে কুরআন তুলে দিয়ে শপথ করানো হয় জীবনে কখনো জামায়াত-শিবির করবোনা! প্রথমে বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও পরবর্তীতে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নিকটাত্মীয়ের ছেলে দেশের অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদুদি’র লেখা কিছু বইয়ের ব্যাপারে চরম আপত্তি কওমি হুজুরদের। নিজেরা ইসলাম সম্পর্কে কোনকিছু লিখতে না পারলেও অন্যের লেখা নিয়ে বিতর্কে জড়াতে জুড়ি নেই তাদের। অসংখ্যবার এসব কওমি মাওলানা সাহেবরা জামায়াতের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছেন। জামায়াত সমর্থক ইমামের পিছনে নামাজ না পড়ার জন্যও বলেছেন অনেকে। এছাড়া ছাত্রশিবির রাজপথে পুলিশের সাথে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রসংগঠনের সাথে মারামারি করলে সমালোচনা মুখর হয়ে ওঠেন তাঁরা। সেই কওমি মাওলানা সাহেবরা যখন ঈমান রক্ষার আন্দোলনের ডাক দিলেন তখন বুঝতে পারলেন জায়নামাজ আর তসবি নিয়ে আল্লাহর ইবাদত করা গেলেও পুলিশের টিয়ারসেল কিম্বা গুলির মোকাবেলা করা যায় না। তাই হাতে ককটেল তুলে নিতে তারাও বাধ্য হলেন। লাখ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটিয়েও কেবলমাত্র প্রস্তুতির অভাবে পরাজিত হয়ে এখন কওমি মাওলানা সাহেবরা বুঝতে পেরেছেন খাল হাতে লড়াই হয় না। জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া যত সহজ, ময়দানে নাস্তিকদের সহযোগি পুলিশ-র্যাবের মোকাবেলা করা যতো সহজ নয়। তাই বাধ্য হয়ে জামায়াতের সাথে ঐক্য গড়ে শক্তিশালী ইসলামী ফ্রন্ট গঠনের কথা ভাবছেন তাঁরা। হেফাজতে ইসলামের প্রভাবশালী এক নেতা জানালেন, এতোদিন ভুল করেছি। ভুল বুঝেছি। ইসলামী সমাজ কায়েম করতে হলে শুধুমাত্র ফতোয়া দিয়ে সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন জিহাদী প্রস্তুতি। যতদিন এই প্রস্তুতি গ্রহন সম্ভব না হবে ততদিন আন্দোলন সফল হতে পারেনা। মাওলানা সাহেবদের এই উপলব্ধি সত্যিই যদি হয় থাকে তাহলে ভালো। অন্যথায় তাঁদের পাশাপাশি জাতির সামনেও মহাদূর্যোগ নেমে আসবে!
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন