হরতালের দিনে গার্মেন্টস খুললেন কেন?
লিখেছেন লিখেছেন ভালোবাসার পচা গন্ধ ২৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:০৫:৪৭ বিকাল
সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসের খবর এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। শুধু দেশে নয়; সারাবিশ্বে এ খবর ছড়িয়ে পড়েছে। শতাধিক মানুষের মৃত্যু আর শত শত আহত মানুষের গগণবিদারী চিৎকার সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে।
সারাদেশে বিরোধী জোটের হরতাল চলছে। হরতালে যান চলাচলসহ সবকিছু বন্ধ। হরতালের কারনে গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এমন জিগির তুলে রাজপথে নামার হুঙ্কার দিচ্ছেন বিজিএমইএ নেতারা। অথচ হরতালের দিনে সাভারের অধিকাংশ গার্মেন্টস খোলা রয়েছে। মালিকরা জোর করে চাকুরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে শ্রমিকদের হরতালের দিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছে। যে ভবনটি ধ্বসেছে সেটিতে গতকালই ফাটল দেখা দিয়েছে। সতর্কতার কারনে ওই ভবনের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা আজ অফিস করেননি। অনেকেই জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছেন। অথচ গার্মেন্টস মালিকরা ঠিকই গরীব শ্রমিকদের জোর করে মৃত্যুর ফাঁদে ফেলেছেন। এইসব ঘাতক মালিকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্তা কি নেয়া হবে? অতীত ইতিহাস তা বলেনা। বরং আমাদের বাকপটু স্বারাস্ট্রমন্ত্রী হয়তো হরতালের দিনে গার্মেন্টস খূলে রাখার জন্য মালিকদের পুরস্কৃত করবেন!
আর একটা কথা না বলে পারছিনা- এই ভবনটির মালিক ছাত্রলীগ নেতা রানা। দূর্ঘটনার আগে তিনি হরতালবিরোধী মিছিল করার জন্য কয়েক’শ নেতাকর্মিকে ওই ভবনে জড়ো করেছিলেন। অনেকে বলছেন, ঝুঁকিপূর্ন ভবনে অতিরিক্ত মানুষের চাপে সেটি ধ্বসে পড়েছে। এবার কি ভবনের মালিক ছাত্রলীগ নেতা রানাকে গ্রেফতার করা হবে? পাগলেও সেটা বিশ্বাস করেনা। উল্টো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিরোধী জোটের হরতাল প্রতিহতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বাহবা পাবেন!
এতোগুলো মানুষের মর্মান্তিক মুত্যুর জন্য শোক প্রকাশ ছাড়া আর কি বা করার আছে আমাদের।
বিষয়: বিবিধ
১০২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন