হেফাজত ভাঙ্গার মিশন শুরু!
লিখেছেন লিখেছেন ভালোবাসার পচা গন্ধ ২০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:০৬:৩৩ দুপুর
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের কেয়ারটেকার আন্দোলন থামাতে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের দিয়ে হেফাজতে ইসলামের জন্ম দেয় সরকার। তরিকত ফেডারেশন, মাওলানা নামধারী ধান্দাবাজ মিছবাহুর রহমান চৌধূরি এবং আওয়ামী ওলামা লীগকে দিয়ে ইসলামের বারোটা বাজাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। চরমোনাই পীর সাহেবকে দিয়েও ট্রাই করে সুফল মেলেনি। শেষ মেষ ছূটে যায় কওমি হুজুরদের দরজায়। দেশের ধর্মপ্রান মানুষের ধর্মীয় আবেগ কাজে লাগিয়ে নতুন আরেকটি ইসলামী জোট গঠনই ছিল মূল টার্গেট। এজন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা তদবির চলছিল। দুইভাবে বিভক্ত কওমি শিক্ষক-ছাত্রদের দিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা সহজ ছিলনা মোটেও। অবশেষে গণজাগরন মঞ্চের ওছিলায় সে সুযোগ পেয়ে যায় সরকার। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সহযোগিতায় টনিকের মত কাজ দেয় গণজাগরন মঞ্চ ইস্যু। কিন্তু বিধিবাম! অজানা এক ইশারায় কওমি হুজুরদের সাথে সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়। ৬ এপ্রিলের লংমার্চ এবং ঢাকার মহাসমাবেশকে ঘিরে সে দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। ১৩ দফা দাবিতে লাখ লাখ আলেমের রাজধানীতে অবস্থান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃত্বকে বুঝানো হয় কওমি মাদ্রাসার অপর গ্র“পকে বাইরে রেখে আন্দোলন সফল হবেনা। যেকোন মূল্যে তাদেরকেও মহাসমাবেশে আনতে হবে। রাতারাতি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন হেফাজত নেতারা। মহাসামবেশে যোগ দেন কওমি মাদরাসার বোর্ডের আরেক অংশের সভাপতি মুফতি আব্দুর রহমান ও তাঁর অনুসারীরা। আগামী ৫ মে’র ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চলমান প্রস্তুতিপর্বে মুফতি আব্দুর রহমানপন্থীদের কদর বেড়েছে অস্বাভাকিভাবে। প্রচন্ড জামায়াতবিদ্বেষী এসব আলেম ক্রমেই হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। এদেরকে দিয়েই হেফাজত ভাঙ্গার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার! হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি বুঝতে ব্যর্থ হলে তাঁদের আন্দোলনের মূল চেতনা একসময় হারিয়ে যেতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন