“আমরা আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ কে রাসুল হিসেবে গ্রহণ করেই সন্তুষ্ট”*
লিখেছেন লিখেছেন তবুওআশাবা্দী ০৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৯:৪৯:২২ সকাল
বিদেশে থাকতে গিয়ে মুসলমান হিসেবে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি কখনোই | নাইন ইলেভেনের পরের দিনও ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছি ওয়াশিংটন ডিসির ১০/১২ মাইল দুরে নর্দার্ন ভির্জিনিয়ার জর্জ মেসন ইউনিভার্সিটির কাম্পাসে | গালফ ওয়ার শুরু হবার পর থেকে অনেকদিনই এম্ বি এ আর পিএইচডি স্টুডেন্ট হিসেবে কাটালাম আমেরিকার কয়েকটা ইউনিভার্সিটিতে | কখনই ধর্মের কারণে খুব বেশি প্রতিকুলতার মধে পড়তে হয়নি | আমার পুরোপুরি মনে নেই, তবে খুবই সম্ভবত নাইন ইলেভেনের সপ্তাহের মধ্যেই আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছিলাম ভার্জিনিয়া ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপরটেশনস থেকে- কোনো ঝামেলা ছাড়াই | পিএইচডির এডমিশন, আই-টোয়েন্টি ইসু বা রিনিউ করা এ'জাতীয় কোনো বিষয়েই কোনো ঝামেলা হয়নি | কিছু ক্ষেত্রে কিছু প্রফেসরদের থেকে পাওয়া ডিফারেন্ট ট্রিটমেন্টগুলো আমার ধর্মের কারণে না আমার এশিয়ান অরিজিনের কারণে সেটা এখনো আমি নিশ্চিত নই | কিন্তু পড়া শেষ করে এখন যখন চাকুরী করছি তখন আমার নিজের ধর্ম, ধর্মীয় অনুশাসন অনুশীলন, পাশ্চাত্যধর্মী উত্সব, এগুলোর মধ্যে আকীদাগত সংঘর্ষ আর এগুলোর মধ্যে থেকে আমার নিজস্ব প্রায়রিটি বেছে নেয়া নিয়ে বেশ সমস্যা হয়ে যাচ্ছে |
এইতো সবে মাত্র পার হলো নিউইয়ার্স ইভ | এছাড়াও আর কিছুদিন আগে সেলিব্রেট করা হলোউইনও হয়ে উঠেছে আমেরিকার অন্যতম উত্সব | হলোউইন এখন বিলিয়ন ডলার ব্যবসার উত্সব | এই হলোউইনের সময় যে কেনা কাটা হয় সেটা আমেরিকার প্রধান ধর্মীয় উত্সব ক্রিস্ট মাসের চেয়েও ডলারের অঙ্কের দিক থেকেঅনেক বেশী | পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে এখন নিউ ইয়ার্স ইভ উদযাপন শুধু আর যে কোনো একটা পার্টি নাইটই নয়| নিউ ইয়ার্স ইভ এখন পাশ্চাত্য সংস্কৃতির একটা আইকনিক সিগনেচার ফেস্টিভাল | আমেরিকানদের এই উত্সবগুলো নিয়ে আমার ভালো মন্দ কোনো মন্তব্য নেই | একটা ভিন্ন ধর্ম সংস্কৃতির অনুসারী হিসেবে তাদের উত্সব তারা করবে এভাবেই আমি দেখি পুরো বিষয়টা | বেশ অনেক বছর আমি এদেশে | নানা কারণে এই উত্সবগুলো নিয়ে আমার বেশী আগ্রহ কখনই খুব বেশী ছিলনা | কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো অনেক বাংলাদেশীও (সব ধর্মেরই)এই উত্সবগুলো আমেরিকানদের মত করেই সেলিব্রেট করেন|এই বাংলাদেশীরা বেশির ভাগ সময়ই এই বিশেষ দিনগুলোতে অন্য বাংলাদেশীদের নিজেদের বাসায় ইনভাইট করেন অথবা সবাই মিলে পটলাক (এখানে একজন সব রান্না না করে সবাই মিলে আগেই ঠিক করা একএকটা আইটেম তৈরির দায়িত্ব নেন) পার্টি করে এই দিনগুলো বা ফেসটিভালগুলো সেলিব্রেট করেন|পার্টি মানে খাওয়া দাওয়া, রাতভর গল্প-গুজব, গান এসব|
এই উত্সবগুলো উতযাপন না করেই আমি দিব্বি কাটিয়ে দিচ্ছিলাম আমেরিকার দিনগুলো | যখন প্রথম এসেছিলাম এদেশে, তখন ছাত্র থাকায় আমার শহরে থাকা বাংলাদেশী প্রফেশনালদের সাথে ঘনিষ্ঠতার খুব বেশী সুযোগ ছিল না | নিজের পড়াশুনা নিয়েই বেশী ব্যস্ত থাকতে হত তাই খুব বেশী অন্যদের বাসায় যাওয় আসা করতে পারতামনা | তাছাড়া আমেরিকার প্রথম দু'বছর ছাত্র থাকা অবস্থায় আমার গাড়িও ছিল না | অনেক সময় বাংলাদেশী কারো বাসায় কোনো দাওয়াতের অনুষ্ঠান থাকলে তারা নিজেরাই বা আমার বাসার বাংলাদেশী কাছাকাছি যারা থাকতেন তারাই তাদের গাড়িতে নিয়ে যেতেন আবার ড্রপ করে দিতেন ফেরার সময় | সব দিক দিয়েই সীমাবদ্ধতার কারণে যোগাযোগ গুলো সবসময় করে উঠতে পারতাম না | আরেকটা বিষয় আমি খেয়াল করেছি আমেরিকার ছাত্র থাকার সময়ই তা হলো এখানে অনেক বাংলাদেশীই -যারা ভালো চাকুরী করেন বা ব্যবসা করেন তারা ছাত্রদের, এমনকি কারো ফ্যামিলি থাকলেও তাদের সাথে খুব বেশী সখ্যতা করতে চান না | বাংলাদেশী যারা এখানে ভালো অবস্তায় আছেন তারা তাদের সোশ্যাল স্টাটাস সম্পর্কে বেশিরভাগ সময়ই খুবই সচেতন| ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে এমন ছাত্রদের তাদের বাসায় পার্টিতে সবসময় ইনভাইট করা স্টাটাসের সাথে তারা হয়ত খুব মানানসই মনে করেন না(বাংলাদেশে তাদের স্টেটাস যাই থাকুক না কেন|আমেরিকার ইউনিভার্সিটিগুলোতে বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের ডেমোগ্রাফি কিন্তু বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটিগুলো থেকে অনেক ভিন্ন, এজন্যই কথাটা বলা)| আমার নিজেরও এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বেশ কবারই|আমার নিজের এজন্য কখনই খারাপ লাগেনি কারণ নিজের পড়াশোনা, ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত থাকতে হত যে অত নিয়ে মনখারাপ করার সময় পেতাম না|
পিএইচডি শুরু করে আমেরিকার যে শহরে আমি প্রায় দীর্ঘ পাঁচ বছর ছিলাম সেখানে সাতটা বাংলাদেশী ফ্যামিলি ছিল| সবাই প্রফেশনাল | ইউনিভার্সিটি টিচার, ইঞ্জিনিয়ার, ফিজিসিয়ান-সার্জন| খুবই হাইলি কোয়ালিফায়েড এন্ড সাকসেসফুল বাংলাদেশী একটি গ্রুপ | বাংলাদেশী হিসেবে আমার খুবই ভালো লাগত এদের সবার পরিচয় দিতে | কত দুরে, কত ছোটো এক দেশ-স্বাধীনতার এত বছর পরও কত আমেরিকান এদেশের নামও এখনো জানে না|সেই দেশের মানুষগুলো এত কোয়ালিফায়েড ! গর্ব করার মতই |এদের মধ্যে অনেকেই মসজিদে নামাজের জন্য মাঝে মাঝে আসতেন|এই পরিবার গুলির কর্তা বাক্তিরা সবাই প্রায় হ্বজ করে এসেছেন| শুক্রবারে জুম্মায় আসতেন প্রায় সবাই নিয়মিত |এই শহরে আসার পর আমার বাংলাদেশীদের সাথে পরিচয় হয়ে গেল খুব দ্রুতই| ছোটো এই শহরে সাত বাংলাদেশী ফ্যামিলির সাথে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলো|আসলে বড় সিটি গুলোর চেয়ে ছোটো শহরগুলোতে সবার যোগাযোগ সবসময়ই বেশী আর সম্পর্কও বেশী আন্তরিক হয়|আমাদেরও হলো|আমাদের শহর থেকে পঞ্চাশ মাইল দুরের আরেকটা শহরে সেখানে আরো বিশ-পঁচিশটা বাংলাদেশী ফ্যামিলি থাকত|আমাদের শহরের সবার সাথেই তাদের খুবই ভালো সম্পর্ক|সবার বাসাতেই সবার যাতায়াত|আমিও কেমন করে যেন তাদের সবার সাথেই পরিচিত হয়ে গেলাম|
আমাদের পাশের শহরের বাংলাদেশীরা আর পশ্চিম বাংলার বাঙালিরা একসাথে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করত এখানে| বিশেষ করে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানগুলো একসাথেই হতে দেখেছি আমি এখানে |আমি আসার পর এক বার পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম|ডিনারের পর দীর্ঘক্ষণের গান, ফ্যাশন প্যারেড এগুলো একদমই ভালো লাগেনি |তাই প্রথম বছরের পর আর কখনই যাইনি এধরনের অনুষ্ঠানগুলোতে|এছাড়াও ইয়ারলি পিকনিক হতো দুই শহরের বাংলাদেশীদের নিয়ে| তাছাড়া নিউ ইয়ার্স ইভের অনুষ্ঠান হত কারো না কারো বাসায় |অনুষ্ঠান মানেতো ওই গান, রাতভর আড্ডা, গল্প গুজব|আমার আর যাওয়া হয়ে উঠত না|প্রতিবারই কেউ না কেউ আমদের বলত প্রোগ্রামগুলোতে যেতে কিন্তু অনেকটা ধর্মীয় কারণেই আমি পুরোপুরি ছেড়ে দিলাম এসব প্রোগ্রামে যাওয়া| কারো বাসার সাধাহরণ দাওয়াতগুলো ছাড়া আর অন্য কোনো দাওয়াতেই বিশেষ করে পহেলা বৈশাখের, নিউ ইয়ার্স ইভের প্রোগ্রামগুলোতে কখনই আর আমি যাইনি শেষ দিকে|
আরেকটা ইনভাইটেশন আমাকে বদার করত সবসবময় তাহলো ক্রিস্টমাসের সেলিব্রেশন| আমাদের পাশের শহরে এক বাংলাদশী ক্রিশ্চান ডাক্তার থাকতেন|প্রেম করে ভদ্রলোককে বিয়ে করার জন্য তার ওয়াইফ ইসলাম ধর্ম ছেড়ে এখন নিজের পরিচয় দেন ক্রিশ্চান হিসেবে| আমার কেন যেন একটু রিজারভেশন ছিল এই ভদ্রলোকের বাসায় বেড়াতে যেতে|উনার রাজপ্রাসাদের মত নুতন বাসায় ক্রিসমাস ইভের সেলিব্রেসনগুলোতে আমাদের শহরের সবাইতো বটেই আমাদের আশেপাশের আরো দুতিনটা শহর থেকেও অন্যরা যেত|আমার বিস্ময়ের শেষ থাকতনা দেখে যে আমাদের শহরের আর পাশের শহরের বাংলাদেশীদের মধ্যে হ্বজ করা অনেকেই(মহিলা-পুরুষ সবার কথায় বলছি) আনন্দের সাথে সেই ক্রিসমাস পার্টিগুলোতে উপস্থিত হত| তার বাসার নিউ ইয়ার্স ইভের পার্টিগুলোও হত জাকজমকের সাথে| তাদের উদ্দাম আনন্দের পার্টি ফটোগুলো আবার ফেসবুকে যথারীতি পোস্ট করা হত(এখানে একটা এক্সপ্লেনেশন দেয়া জরুরি, আমি ফেসবুক ইউজার নই|এর ইউজারদের থেকে শুনে লিখছি)|
এই ইনভাইটেশনগুলোতে না যাওয়া নিয়ে খানিকটা মন কষাকষি হয়ে গেল্প আমাদের সাথে অন্যদের |বাংলাদেশীদের সাথে|আমি বাংলাদেশের গেও মোল্লাদের মত হয়ে গেলাম অনেকের কাছে|খানিকটা গোড়াও|বাদ পরে গেলাম সাধাহরণ গ্যাদারিংগুলো থেকেও যেখানে লাঞ্চ বা দিনারের পর গানের আয়োজন থাকত|পিএইচডি শেষ করে নুতন সিটিত়ে এসেছি কিছুদিন হলো |এখানেও একই অবস্থা | নিউ ইয়ার্স সেলিব্রেশন হবে বাংলাদেশীদের নাচে গানে উদ্দামতায়|রাতের নামাজ ইবাদত বাদ দিয়ে এই নিউ ইয়ার্স সেলিব্রেশন করব না বলে সবগুলোতেই না বলেছি |এ’বছর আমার নুতন শহরে থাকা এক স্কুল বন্ধুর বাসায় নিউ ইয়ার্স সেলিব্রেশন করতে যাবনা বলে সেতো ভীষণই মাইন্ড করেছে বলেই মনে হচ্ছে|আমার অনেকদিনের বন্ধুরাও হয়ত এই ইসলামী অনুশাসনগুলো সিরিয়াসলি পালন করা নিয়ে ইদনিং একটু বিরক্ত আমার উপর|যাদের সাথে আগে প্রতি সপ্তাহেই কথা হত এখন তাদের সাথে মাসে দু'মাসেও হয়ত আর কথা হয়না |আমার ওয়াইফের অবস্থা আমার চেয়েও করুন| তার ফেসবুক ফ্রেন্ড আশংকাজনকরকম ভাবে কমেছে গত ক'বছরে|তার ঢাকা ইউনিভার্সিটি, হলিক্রস কলেজ, আর অগ্রণী স্কুলের বন্ধুরাই বেশী তাকে আনফ্রেন্ড করেছে | আশ্চর্যের ব্যপার হলো এদের অনেই কিন্তু আমেরিকায় থাকে| তার নিজের ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথেও তার মন কষাকষি হিজাব পড়া, ইসলামী অনুশাসনগুলো বেশী করে ফলো করার জন্য|
আমার ফেসবুক সমস্যা নেই|তাই আমর যন্ত্রণা ওর চেয়ে কম| বন্ধুদের সাথে আমার যোগাযোগ কমে যাচ্ছে,তারা দ্বীনের প্রশ্নে মতপার্থক্কের কারণে দুরে সরে যাচ্ছে বলে আমার কোনো যন্ত্রণা নেই| পরিচিত জনেরা আমাকে তাদের গ্যাদারিঙে ইনভাইট করলো কিনা সেটা নিয়েও খুববেশী যন্ত্রণা নেই হয়নি কখনো |কিন্তু আমার যন্ত্রণা আমার সব বন্ধুদের জন্য, বাংলাদেশী সব পরিচিতদের জন্য -যাদের আমি এখানে দেখি নামাজ-রোজা, হ্ব্জের গুরত্ব ভুলে ক্রিসমাস বা নিউইয়ার্স ইভের উদ্দাম সেলিব্রাসনে কত সহজেই রাত কাটিয়ে দেয়!আমার যন্ত্রণা হয় ইসলামী অনুশাসনগুলোকে আমাদের বাংলাদেশী এই মুসলিমরা পাশ্চাত্যের মাপ কাঠিতে মেপে কত সহজেই অচল বা আজকের জামানায় বাতিল বলে মনে করে!আমি শুধু এদের সবার জন্য আল্লহর কাছে হেদায়েতের জন্য দুয়া করি| আর নিজের জন্য দুয়া করি যেন আল্লাহ আমাকে দ্বীনকে দুনিয়ার উপর প্রাধান্য দেবার ক্ষমতা দেন সবসময় |নিজের আর নিজের ফ্যামিলির পক্ষ থেকে যেন সব সময় বলতে পাড়ি হাজার বছর আগে হজরত উমর আলাইহিস সালাম যা বলেছিলেন: “আমরা আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ কে রাসুল হিসেবে গ্রহণ করেই সন্তুষ্ট” |
* আমার লিখার শিরোনামটা সহি বুখারীর একটি দীর্ঘ হাদিসের অংশ|এই হাদিসটা সহিহ বুখারীত়ে (ইফা)হাফস ইবনু উমর (রহঃ)থেকে আনাস(রাঃ)সুত্রে বর্নিত হয়েছে|হাদিস নং ৫৯২২|
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৯ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : তবে এমেরিকার কোন কিছুই আল্লার জন্য নিবেদিত নয়। মুসলিমদেশর কি আকাল পরে গেছে যে সব ছেড়ে সেচ্ছায় এই কাফের মুল্লুকে মাথা গুজে থাকতে হবে?? আমি বুঝি না।জাহেলিয়াত যুগে তারা আল্লাহকে রব মানলেও ইলাহ হিসাবে মানেনি । যে আল্লাহকে রব মানি আর সেই আল্লাহর আইন মানব না এটা কি করে হয়? তাই এই হাদিসটির গুরুত্ব বুঝতে হবে।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সুরা আল এমরানের ৮৫ নং আয়াতে বলেছেন,"
৮৫.) এ আনুগত্য (ইসলাম) ছাড়া যে ব্যক্তি অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে চায় তার সে পদ্ধতি কখনোই গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ব্যর্থ, আশাহত ও বঞ্চিত।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : না ভাইয়া, আপনার ইসলাম নিবেদিত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনের অবস্থা আমি কিছুটা হলেও বুঝি। আপনি হেলোইন, ক্রীসমাস, নিউ ইয়ার...... এসব অনৈসলামিক জিনস থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন জেনে খুশি হলাম।কিন্তু ভায়া, আপনি আমেরিকায় থেকে বেশ রমরমা ডলার কামাচ্ছেন। আবার সেই ডলার থেকে সরকারকে ট্যাক্সও দিচ্ছেন। আর আপনার এই ট্যাক্সে ডলার দিয়েই আমেরিকা গাজায় আপনার মুসলিম ভাই'দের হত্যা করে, নিউ ইয়ারে আতসবাজী পোড়ায়। এই সহজ জিনিসটা বুঝেন্না ক্যান? তাই বলছি, আমেরিকা ছেড়ে সোমালিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান, গাজায়....... মুসলিম উম্মার দেশে চলে যান। নাকি আমেরিকান ডলারের মায়াজাল ছিন্ন করতে ইছ্ছে করে না।
২। ইউরোপ আমেরিকায় বসবাসকারী মুসলিমরা ইসলামী কালচারে অতটা অভ্যস্ত হবে না, এর চেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, দওয়াহ ও জিহাদ ছাড়া সেইসব দেশে বসবাস করা নিয়ে অতীত ওলামাদের মধ্যে কোন বিভেদ নেই (বসবাস করা যাবে না)আধুনীক ওলামারা অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করছেন।
৩। এটা সত্য, বর্তমানে ইসলাম পালন মুসলিম দেশগুলিতে কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
৪। তারপরও এখানে একটা পরিবেশ আছে, ইসলাম পালন করা অনেক সাথি পাবেন যারা আপনাকে দ্বীন পালন করতে সাহায্য করবে।
৫। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, যেসব দেশে ইসলামী আন্দোলন জোরালো হচ্ছে সেইসব দেশে হিজরত করা যদি সামর্থ থাকে। নচেৎ দুয়া এবং অর্থনৈতিক সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
=============================================
বিঃদ্রঃ- হিজরত, (যাদের সামর্থ আছে) জিহাদ (ক্বিতাল অর্থে), এবং দাওয়াত ক্বিয়ামত পর্যন্ত অব্যহত থাকবে।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : এখন আর মুসলমানদের সেই অবস্থা নেই। আমেরিকান পাসপোর্ট ছিড়ে অনেকেই আইসিস, বোকোহারাম, তালেবান যোদ্ধাদের সাথে যোগ দিছ্ছে। এটাই মুসলিমদের শক্ত ঈমানের পরিচয়। নাকি??মন্তব্য করতে লগইন করুন