ফিনিক্স পাখির স্মৃতিগুলো আমার…
লিখেছেন লিখেছেন তবুওআশাবা্দী ০২ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৫:০৭:৫১ সকাল
ইউনিভার্সিটি ড্রাইভ থেকে রাইট টার্ন করলেই আলেক্সান্ড্রিয়া পাইক | তারপর আলেক্সান্ড্রিয়া পাইক দিয়ে ফার্স্ট ট্রাফিক লাইটে লেফট টার্ন নিয়ে খানিকটা ড্রাইভ করলে সেকেন্ড এক্সজিটটাই হলো ইন্টার স্টেট টু সেভেন্টিফাইভ | টু সেভেন্টিফাইভ দিয়ে অল্প ড্রাইভ করলেই ওহাইও নদীর উপর ব্রিজটা | দু'ই দিকে সবুজ পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে ওহাইও রিভার - তার মাঝে অনেক নিচে নদীতে চলছে জাহাজ | চোখ জুড়ানো ছবির মত সুন্দর | অনেক নিচে দুরে নদীর বুকে চলা রংবেরঙের জাহাজগুলোকে অনেক ছোটো দেখা যায় | দুরে দিগন্তে ভেসে চলা রংবেরঙের জাহাজগুলোকে মনে হয় যেন নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছে রংবেরঙের বাহারি ফুলের ঝাপি |বেশ লাগে দেখতে | হঠাত হঠাত আমার মনে হয় আহ যদি ওহাইও নদীর নাম যদি হোত আমার শৈশবের স্মৃতি মাখা - কোনো নদীর নামের সাথে মিলিয়ে তাহলে বেশ হোত |
তিনটে নদীর তীর ঘেষে বাংলাদেশে আমার বড় হওয়া | শীতলক্ষার পাড়ে জন্ম আমার| ভরা বর্ষায় নদীর পানি যখন বেড়ে যেত তখন আমাদের বাসা থেকে শোনা যেত নদীর পাড়ে এসে ভেঙ্গে পরা ঢেউয়ের ছলাত ছলাত শব্দ | শীতলক্ষার তীরে থরে থরে সাজানো আমার শৈশবের একটা রঙিন সময় | আমার প্রিয় শীতলক্ষার বুকে এখন পালতোলা নৌকা, হর্ন দিয়ে চলা লঞ্চের পাশাপাশি ভাসে কত লাশ ! জানিনা, শীতলক্ষার পানিতে এখনো কি পাওয়া যাবে কাদা ভেজা সেই স্মৃতির গন্ধ না শুধু তার পানিতে ভেসে বেড়ায় শুধুই লাশের গন্ধ, স্বজন হারাবার হাহাকার ! খুব জানতে ইচ্ছে করে আমার ছোট বেলার কত স্মৃতি ঘিরা ছোট সেই চিলাই নদীটা কি এখনো আছে, নাকি বাংলাদেশের আরো অনেক নদীর মতই পানির অভাবে মরে গেছে অনেক আগেই? আবার কখনো যদি সুযোগ হতো চিলাই নদীর উপর সেই সরু সাকোটা পেরিয়ে ওপারের বালিতে নেমে হাটবার ! খুব ভয় লাগে সত্যি কথাটা জানবার | তাই কারুর কাছেই কখনো কোনদিনই জানতে চাইনি আমার ছেলেবেলার চিলাই নদীর কথা | আমার মনের অনেক গভীরে যত্ন করে জমিয়ে রেখেছি চিলাই নদীর সব স্বাপ্নিক সৃতিগুলো |
এবার বলি রূপকথার রাজকুমারী তিন্তাং এর কানের ফুল ভাসিয়ে নিয়ে যেই নদীর নাম হলো কর্ণফুলী তার কথা | আমার মিডিল স্কুলের প্রায় পুরো সময়টাই কেটেছে (ক্লাস ফাইভের শুরু থেকে সেভেনের শেষ) চিটাগাঙে - আরো বেশী স্পেসিফিকালি পতেঙ্গায় | আমাদের বাসা থেকে আমরা বন্ধুরা তরমুজ ক্ষেতগুলোর মাঝ দিয়ে সরু ইটের হাটা পথ দিয়ে যেতাম সাগর পাড়ে | বাধ পেরিয়ে বাবলা গাছের কাটা এড়িয়ে সীবিচে পৌছে আমদের একটা প্রিয় খেলা ছিল বীচের বালিতে দৌড়াদৌড়ি করা আর বিচ বল খেলা | তারপর ক্লান্ত শরীরে সাগরের লোনা পানিতে ঝাপিয়ে পরা | সাগরের লোনা পানিতে সাতরাতে গিয়ে কত দিন মনে হয়েছে আমি যেন হোয়ে গিয়েছি সেই বিখ্যাত কিশোর ক্লাসিক "কোরাল আইল্যান্ড" বইয়ের এডভেনচারাস পিটার্কিন গে, রাল্ফ রোভার বা জ্যাক মার্টিন ! অল্প দুরেই সাগরে এসে মিশেছে কর্ণফুলী নদী | মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে গিয়েছি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় মাছ ধরতে | পরে আরেকটা রাস্তা হয়েছে পতেঙ্গা সীবিচে যাবার | কিন্তু সেসময় গাড়িতে করে সীবিচে যাবার মূল রাস্তাটাই ছিল কর্ণফুলির নদীর তীর ঘেষে নেভাল বেইস বি এন এস ইশা খানের পাশ দিয়ে | ওপারে আনোয়ারা থানা | গভীর কর্ণফুলী মোহনায় এসে মিশেছে - তার মাঝে নোঙ্গর করা সাগর পাড়ি দেয়া বড় বড় শিপ, শত ব্যস্ততায় ভরা পোর্ট সবমিলিয়ে পরিপাটি কর্ণফুলির একটা অপূর্ব ছবি আমার মনে চিরদিনের মতই আঁকা হয়ে আছে|
এই তিনটা নদীর ভালবাসা ছাড়াও আরেকটি নদীর স্বপ্ন জড়িয়ে আছে আমার জীবনের আরেকটা অধ্যায় জুড়ে | সেটা পদ্মা নদী | রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে ক'বছর শিক্ষকতা করার সুবাদে পদ্মা নদীর সাথে আমার ভালবাসা | তখনও যমুনা ব্রিজ হয়নি | আমরা ঢাকা থেকে রাজশাহী যাই বাসে করে আরিচা- নগরবাড়ি দিয়ে ফেরি পাড় হয়ে | ইউনিভার্সিটি বন্ধ হলে বেশির ভাগ সময়ই ঢাকা ইউনিভার্সিটির বন্ধুরা (যারা একসাথে জয়েন করে ছিলাম আর ঢাকা থাকতাম|তাদের অনেকেই আজ খাতনামা এবং নাম্মী) একসাথে ঢাকা ফিরতাম বা রাজশাহী যেতাম | কত শীত গ্রীষ্ম আর বর্ষায় ভিজে আমদের সেই আসা-যাওয়া | মডার্ন এন্টার প্রাইজের জাপানিজ হিনোর লাক্সারী এসি বাসগুলো তখন মাত্র নতুন চলাচল শুরু করেছে ঢাকা- রাজশাহী | একজন সুবেশী টাই পরিহিত এটেন্ডেন্ট (আমর ধারণা ইউনিভার্সিটির ছাত্র হবে হয়ত) থাকতেন সেই বাসে | বাস বিভিন্ন জেলা বা জায়গাগুলোতে পৌছানোর সাথে সাথে এটেন্ডেন্ট সেগুলোর সাথে সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর বর্ণনা করেন |এই বাসে আরেকটা ব্যপার ছিল অন্য লাইনার গুলোর চেয়ে আলাদা | মডার্ন এন্টার প্রাইজের স্ন্যাক সার্ভ করা হতো বক্সে তখনকার ঢাকার খুবই নামী "আনন্দ বেকারী "থেকে | এক স্লাইস কাকে, একটা প্যাস্ট্রি, একটা মিষ্টি বা এজাতীয় কিছু থাকত সেই বক্সে | খুবই মজার স্ন্যাক হোত সেগুলো | তিন থেকে চার ঘন্টা লাগত ফেরি পাড় হতে | মাঝে মাঝে কুয়াশার জন্য রাতের ফেরি পারাপার হতে দেরী হত | একবারত নগরবাড়ি ফেরি ঘাট থেকে বাস ফেরিতে উঠার পরও কুয়াশার জন্য ছেড়েছিল পরের দিন সকালে | সেদিন ছিল হরতাল | কত ইতিহাস আর কাব্য করে যে সেদিন আমাদের ঢাকা ফেরা হলো ! ফেরির দোতলায় বসে (আমি ভুলে এগেছি সেজন্য আলাদা টিকেট করতে হোত কি না?)চা -কফি খেয়ে গল্প করা কেমন করে আর ভুলি ! কোনো হালকা শীতের দুপুরে ফেরির দোতলার ডেকে দাড়িয়ে থেকেছি আর চোখের সামনে যেন জীবনানন্দের রূপসী বাংলা মেলে দিয়েছে তার সবুজের হলুদের অপার সৌন্দর্য ! মাঠের পর মাঠ সবুজ ধানের ক্ষেত, দিগন্তে গিয়ে মেশা হলুদ সরিষার ক্ষেত, বালুর চর, মেঠো পথ তাতে ছুটে চলা ছোটো ছোটো বাচ্চাদের অনাবিল হাসি খুশির খেলা মুগ্ধ হয়ে থেকেছি আর দেখেছি | নানা কারণেই যেমন হরতাল বা বাস বন্ধ থাকলে অনেক সময়ই প্লেনে যাতায়াত করতে হোত ঢাকা-রাজশাহী কিন্তু মডার্ন এন্টার প্রাইজে আমাদের সেই যাওয়া আসা গুলো ছিল অনেক মজার |রাজশাহীর পদ্মা পাড়ের আর পারাপারের দিনগুলো আজও ভিশন মিস করি(কেউ জানালে খুশি হব যে এখনো মডার্ন এন্টার প্রাইজের বাস গুলো ঢাকা-রাজশাহী যাতায়াত করে কিনা)|
হাজার বছর ধরে আমাদের দেশে কবিরা কবিতা লিখেছেন আমাদের নদী নিয়ে | সবুজ সাগরের মাঝে চনচলা আমাদের নদীর অপরূপ রূপ দেখে আমাদের কবিরা তাতে কতবার দেখেছেন নিজের প্রেয়সীর মুখ ! পদ্মা মেঘনার বয়ে চলার সাথে কত কবি খুঁজে পেলেন প্রেয়সীর চঞ্চল পায়ে হেটে যাবার সাদৃশ্য!আমি মুটামুটি খুব প্রাগমাটিক টাইপের মানুষ| আমি কবিতা লিখতে পারিনা |পূর্নিমা চাঁদ দেখলে আমার কাছে ঝলসানো রুটির মত মনে না হলেও বলের উপমাই বেশি লাগসই মনে হয়েছে সবসময়| আকাবাকা পথে নদীর বয়ে চলা দেখে মুগ্ধ কবি যখন ছন্দের জাদু দিয়ে কবিতা লিখেছেন তখন পাবলিক পলিসির প্রফেশনাল হিসেবে আমি ভেবেছি কি ধরনের সরকারী পলিসি দিয়ে এই প্রবাহ ঠিক রাখা যাবে আর গ্রীষ্মে চাষাবাদের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাবে| ওহাইও নদীর উপর ব্রিজটা যখনই পাড় হই তখন কেন জানি সব সময়ই আমার মনটা খারাপ হয়ে যায় | গাড়ির বন্ধ জানালা ভেদ করে যেন মনটা উড়ে যায় প্রায় বারো হাজার মাইল দুরে রেখে আসা বাংলাদেশের মাটিতে | এই শীতেও ওহাইও নদীতে স্রোতগুলো উঠলে পরছে | যতদুর দেখি শুধুই নদীর নিরবিচ্ছিন্ন বয়ে চলা | দু'ই দিকে সবুজ পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে ওহাইও নদীর এই অপূর্ব সুন্দর দৃশ্যগুলোই কেন জানি মনে কষ্ঠ বাড়িয়ে দেয় অনেকগুণ |সেদিন কোথায় যেন তিস্তা ব্যরাজের একটা ফটো দেখলাম | নদীর চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে সেই ফটোতে ধু ধু বালির চরের উপস্থিতি | সূর্যের আলোয় ঝিকমিক করছে চরের বালিগুলো | কোনো কবিতার কথা মনে হলো না | মনে হলো আমাদের পরাজিত রাজনীতির কথা | পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ নাকি আমাদের প্রতিবেশী ! তাদের প্রতি কি নিঃশর্ত নতজানু আত্নসমর্পণ আমাদের শাসক গোষ্ঠির ! এক নতজানু আর আত্মধংশী পররাষ্ট্র নীতি পিছে ঠেলতে ঠেলতে আমাদের যেন অন্ধকুপে ফেলে দিয়েছে | নদীর দেশ বাংলাদেশের নদীগুলো সব আজ শুকিয়ে মরা | ভারতের অগ্রাসী নীতি যে এই সংকটকে যে আরো দীর্ঘস্হায়ী আর আরো বিদ্ধংশী করে তুলবে আমাদের অর্থ -সামাজিক জীবন ধারাকে তাতে আমার কোনো সন্দেহই নেই | শাসন ক্ষমতা আরো পোক্ত করতে ভারতের নির্লজ্জ সমর্থন আদায়ে এই সরকার এত বেশি নত যে আমাদের নিজের প্রকৃত এবং নায্য দাবিগুলিও আর আমরা জানাতে পারছিনা না দিপাক্ষিক না আন্তর্জাতিক কোনো ফোরামে | আবার কবে দেখা হবে আমার ছেলে বেলার স্মৃতিময় নদীগুলো কে জানে | আবার যেদিন দেশে যাব ততদিন স্রোতস্বিনী হয়ে বইবেতো চিলাই নদী, শীতলক্ষা বা কর্নফুলী? নাকি ফারক্কার মত নদীসংহারী কোনো বাঁধ কেড়ে নেবে আমার শৈশবের স্বাপ্নিক স্মৃতির নদীগুলির গতিধারা ? আমি ভাবতে ভাবতে গাড়ির এক্সসেলেটরে আরো জোরে চাপ দিয়ে তাড়াতাড়ি পেড়িয়ে যাই এই দম বন্ধ করা নৈসর্গিক দৃশ্যের সৌন্দর্য থেকে বাঁচতে!
বছরের প্রথম দিনেই মন খারাপ করা লিখাটার জন্য দুঃখিত|সারা বাংলাদেশ এখন থার্টি ফার্স্ট নাইটের আনন্দ জোয়ারে ভাসছে, আমি জানি| জোহরের নামাজ পরে মসজিদ থেকে ওহাইও নদীর পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে আসতে আসতে কেন যে আমার এত হাবিজাবি পুরনো কথা মনে পড়ে!ইংরেজ কবি ড্রাইডেনের একটা খুবই মন খারাপ করা (কিন্তু বিখ্যাত) কবিতা আছে "প্রিজনার অফ চিলন" নামে|মেট্রিকের সময় আমাদের বইয়ের একটা কবিতার রেফারেন্স হিসেবে পরেছিলাম কবিতাটা| ইংলান্ডের চিলন কারাগারে রাখা হতো রাজ্যের সবচেয়ে দাগী আসামীদের | এক বন্দী প্রায় সারা জীবন সেখানে কাটানোর পর বৃদ্ধ বয়সে যখন চিলন কারাগার থেকে মুক্তি পেল তখন সে তার ছোটো পাথুরে সেলটাকে-যে ছোটো পাথুরে সেলটা থেকে সে কখনো বন্দী জীবনে একবারও বাইরে বেরুতে পারেনি তার জন্যই খুব মন খারাপ করলো |দীর্ঘ বন্দী জীবনে এই কেবিনটার উচু ছোটো জানালা থেকে একচিলতে যে নীল্ আকাশটুকু আর তাতে মুক্ত পাখির ডানা মেলে উড়া সে দেখতে পেত সেটাই ছিল তার বন্দী জীবনের একমাত্র মুক্তির আনন্দ| তাই বন্দী জীবনের শেষ দিন তার খুব মন খারাপ হলো সেই কেবিনটা ছেড়ে যেতে|এদেশ থেকে বাংলাদেশ অনেক ছোটো|সামর্থ, শক্তি আর সম্পদে এদেশ বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে তবুও আমার মন জুড়ে বাংলাদেশ|সেখানে বড় হতে হতেই আমি স্বপ্ন দেখা শিখেছি, আমার যতটুকু যোগ্যতা তার সবটুকু স্বপ্নের শুরুই বাংলাদেশের মাটিতে |চিলন কারাগারের সেই বন্দীর ছোটো কেবিনের মতই আমার চির ভালোবাসা সেই একরত্তি বাংলাদেশের জন্য|নতুন বছর বাংলাদেশের জন্য অনেক ভালো নিয়ে আসুক এই দোআ করি|
বিষয়: বিবিধ
১৫৭০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ নাকি আমাদের প্রতিবেশী ! তাদের প্রতি কি নিঃশর্ত নতজানু আত্নসমর্পণ আমাদের শাসক গোষ্ঠির ! এক নতজানু আর আত্মধংশী পররাষ্ট্র নীতি পিছে ঠেলতে ঠেলতে আমাদের যেন অন্ধকুপে ফেলে দিয়েছে |"
অনেক ধন্যবাদ ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাইয়া ।
বিশেষ করে নদিতিরের সেই আনন্দ এখনকার সবাই বঞ্চিত। হয় ইন্ড্রাষ্ট্রির দখলে নয়তো কোন হোটেল এর!
আমরা তো নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট। আর যে দেশটাকে বলছেন গনতান্ত্রিক সেটাও আসলে আমাদের মতই কিছু লোভির হাতে। তাই আশা এখনও খুব ক্ষিন।
অসাধারন লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন