বিস্‌মিল্লাহির রহমানির রাহীম

লিখেছেন লিখেছেন ফয়সাল বিন লোকমান ১০ মে, ২০১৩, ০২:০৪:৪৫ দুপুর

টুডে ব্লগে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে, যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও মেহেরবান।

আব্বু এবং সম্মানীত শিক্ষকদের নিকট থেকে জেনেছি, আল্লাহর নাম নিয়ে কোন কাজ শুরু করলে তাতে আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়। ভাল নিয়্যাতে শুর করা কাজটির মধ্যে খারাপ কিছু ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে আল্লাহর ভয় তা থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে। যেমন; আমি আল্লাহর নাম নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে পরীক্ষা দেয়ার সময় অসদুপায় অবলম্বন করতে চাইলে তা আমার মুখে উচ্চারিত ‘আল্লাহর নামে শুরু করা’র সাথে সাংঘর্ষিক হবে বিধায় তা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবো। ঠিক তেমনি চাকুরী ক্ষেত্রে আল্লাহর নাম নিয়ে প্রবেশ করে সততার পরিপন্থী কোন কাজ করতে মনের দিক থেকে বাধা আসতে বাধ্য।

বিসমিল্লাহ বলে শুরু করাতে আমার সাথে ভিন্ন মত পোষণকারী ব্লগার বন্ধুগণও আমার পক্ষ থেকে কোন অশ্লীল গালাগাল ও কটুক্তি থেকে নিরাপদ হয়ে গেলেন কিন্তু!

ধন্যবাদ সকলকে। Happy

মানুষের দৃষ্টিতে কোন জিনিস খুব বেশী বলে প্রতীয়মান হলে সেজন্য সে এমন শব্দ ব্যবহার করে যার মাধ্যমে আধিক্যের প্রকাশ ঘটে । আর একটি আধিক্যবোধক শব্দ বলার পর যখন সে অনুভব করে যে ঐ শব্দটির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জিনিসটির আধিক্যের প্রকাশ করা সন্ভব হয়নি তখন সে সেই একই অর্থে আর একটি শব্দ ব্যবহার করে । এভাবে শব্দটির অন্তরনিহিত গুণের আধিক্য প্রকাশের ব্যাপারে যে কমতি রয়েছে বলে সে মনে করছে তা পূরণ করে। আল্লাহর প্রশংসায় 'রহমান' শব্দের পরে আবার 'রহীম' বলার মধ্যেও এই একই নিগূঢ় তত্ত্ব নিহিত রয়েছে । আরবী ভাষায় 'রহমান' একটি বিপুল আধিক্যবোধক শব্দ । কিন্তু সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর রহমত ও মেহেরবানী এত বেশী ও ব্যাপক এবং এত সীমাসংখ্যাহীন যে, তা বয়ান করার জন্য সবচেয়ে বেশী ও বড় আধিক্যবোধক শব্দ ব্যবহার করার পরও মন ভরে না । তাই তার আধিক্য প্রকাশের হক আদায় করার জন্য আবার 'রহীম' শব্দটিও বলা হয়েছে । এর দৃষ্টান্ত এভাবে দেয়া যেতে পারে, যেমন আমরা কোন ব্যক্তির দানশীলতার গুণ বর্ণনা করার জন্য 'দাতা' বলার পরও যখন অতৃপ্তি অনুভব করি তখন এর সাথে 'দানবীর' শব্দটিও লাগিয়ে দেই। রঙের প্রশংসায় 'সাদা' শব্দটি বলার পর আবার 'দুধের মতো সাদা' বলে থাকি ।

বিষয়: বিবিধ

১৪৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File