জামা’আত-শিবিরের নেতাকর্মীদের প্রতি একটি উদাত্ত আহবান ও দ্বীনি পরামর্শ। (তাদের কল্যাণকামী হিসেবে)
লিখেছেন লিখেছেন আলোর দিশা ২৩ নভেম্বর, ২০১৫, ০৭:৫৫:৫৮ সন্ধ্যা
জামা’আত-শিবিরের নেতাকর্মীদের যদি তাদের কারারুদ্ধ ও ফাঁসি হওয়া নেতাদের প্রতি ন্যুনতম কোনো দরদ থাকে এবং তাদের নেতাদের মৃত্যু দেখে শিয়ালের মতো উল্লাস করা শাহবাগীদের প্রতি ন্যুনতম কোনো ক্রোধ জন্মে থাকে,তাহলে তাহলে উচিৎ অনতিবলম্বে আল-কায়েদায় যোগ দেয়া।
তাদের উচিৎ আল-কায়েদার ভারত উপমহাদেশের শাখা AQIS(আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট) যার বাংলাদেশ শাখা আনসার আল-ইসলাম নামে কাজ করছে,তাদের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের নেতাদের প্রতি তাদের দরদ ও শাহবাগীদের প্রতি ক্রোধের ব্যাপারে ইনসাফ করা।
কারণ একমাত্র আল-কায়েদার এদেশীয় শাখাই এই নাস্তিক্যবাদী শাহবাগীদেরকে মৃত্যুর এমন স্বাদ আস্বাদন করিয়েছে এবং নিয়মিতভাবে করাচ্ছে,যার প্রভাবে তারা স্বপ্নের মধ্যেও রক্ত দেখে চিৎকার করছে। রক্তের রং তাদেরকে নির্ঘুম রাত কাটাতে বাধ্য করছে। মৃত্যুভয় তাদেরকে এমনভাবে তাড়া করছে যে, তারা আনন্দ-উল্লাস ভুলে গিয়েছিলো। এমনকি তারা যে বেঁচে আছে এটাও ভুলে যাচ্ছিলো। মৃত্যুভয়ে তারা জবাই হওয়া ভেড়ার মতো বিক্ষিপ্তভাবে ছোটাছুটি শুরু করছে।
তাদের গুরুদের মৃত্যুর পরও তারা শাহবাগে এসে আন্দোলন করার সাহস পায়নি। এমনকি শাহবাগীদের সংখ্যা রীতিমত দুই অংকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছিলো।
তারা তাদের আপনজনদের হত্যার বিচার পর্যন্ত চাইছে না ! তারা সবাইকে বিভক্তি পরিহার করে ঐক্যের ডাক দিচ্ছে !
কিন্তু জামা’আত-শিবির কর্তৃক কুফুরী গণতন্ত্রের হরতালীয় আন্দোলন তাদেরকে উল্লসিত করেছে। তাদের সংখ্যাকে বৃদ্ধি করেছে। তারা মোটা-তাজা হয়ে আবারো লাফালাফি শুরু করে দিয়েছে।
যদি সত্যিকার অর্থেই তারা তাদের নেতাদের হত্যার বদলা নিতে চায়, অপমান ও লাঞ্চিত হওয়ার বদলে ইসলামের দুশমন এই নাস্তিক্যবাদী শাহবাগীদেরকে যথাযথ পুরষ্কার প্রদান করতে চায় এবং সর্বোপরি আল্লাহর জমীনে আল্লাহর শারী’আহ বাস্তবায়ন করতে চায়,তাহলে এক মুহূর্তও বিলম্ব না করে অতি দ্রুত আল-কায়েদার মুজাহিদদের সাথে যোগ দেয়া তাদের জন্য নৈতিক দায়িত্ব হয়ে পড়েছে।
পক্ষান্তরে তারা যদি তাদের এই অনিবার্য নৈতিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট না হয় অথবা তড়িৎ সিদ্ধান্ত না নেয় অথবা “আল-কায়েদাকে আমেরিকার তৈরি” টাইপের বুদ্ধি প্রতিবন্ধিত্বমূলক তত্ত্বে এখনো বিশ্বাসী হয়ে থাকে,তাহলে আর কিছু বলার নেই ! তাদের জন্য আফসোসেরও কোনো কারণ নেই !
তাদের এই অবস্থান এবং তাদের আগামী পরিণতির ব্যাপারে ক্বুরআনুল কারীমের আয়াতাংশটির আলোকে আমার বক্তব্য হচ্ছে........
“ফাংতাযিরু- ইন্নী মা’আকুম মিনাল মুংতাযিরী-ন” তোমরা অপেক্ষা করো,আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় আছি। (সূরাহ ইউনুছ-১০২)
বিষয়: বিবিধ
১৫৩২ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উত্তম পরামর্শ বটে!!
তবে AQIS-এর স্থলে ISIS হলে আরো ভালো হতো, নয় কি!!!
জাযাকাল্লাহ
হাজার হাজার নয়, লাক লাক আওয়ামিলিগ সমর্থক বাংলা দেশে আছে। তাদেরকে দরদ মাখা অন্তর দিয়ে দাওয়াতি সিমানাই নিয়ে আসতে হবে। আর সেই কাজটাই জামায়াত-শিবির করতেছে। মারপিটের সময় এটা নয়। এখন ছবরের পরিক্ষায় পাশ হওয়ার সময়। ধন্যবাদ
ভাই ১৫/২০ বছর আগে জিহাদের স্লোগান দিতাম,আর এখন আপনি বলছেন, দাওয়াত ও সবরের সময় !! ২০০১ সালের পরতো নির্বাচনে বিজয়কে কেউ মক্কা বিজয়,কেউ হুদাইবিয়ার সন্ধি বলে প্রচার করা হতো। হুদাইবিয়া ও মক্কা বিজয়ের পর দাওয়াত ও সবরের সময় !!! পুরোই এলোমেলো ! কুফুরী গণতন্ত্রে কোনোদিনও গণতান্ত্রিক সবর(!) শেষ হবে না।
আর হরতালের মাধ্যমে একদম নিরীহ মানুষদেরকে জালিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা,সাধারণ মানুষের সম্পদ বিনষ্ট করা এসব মাক্কী জীবনের কোথাও আছে কী ?? আর মাক্কী জীবনে কিন্তু যাকাত,সাওম,হাজ্জ,পর্দা এসব কিছুই ছিলো না। এসবও কী এখন বন্ধ থাকবে !!!
একটু জিরাতে দেন , তারপর না হয় আপনার উপদেশ সম্বন্ধে ভাববে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন