ইরাকের কারাগারে হাজার হাজার নারী যৌন নির্যাতনসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার,সন্তানের সামনে ধর্ষণ ঃ Human Rights Watch এর প্রতিবেদন

লিখেছেন লিখেছেন আলোর দিশা ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৯:১৮:৩৯ রাত

ইরাকে কুফফার শিয়া মালিকির কারাগারে হাজার হাজার নারী বিনা বিচারে বছরের পর বছর ধরে যৌন নির্যাতনসহ নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে বলে প্রতিবেদন দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা "হিউম্যান রাইটস ওয়াচ" ।

আটক থাকা নারীরা জানিয়েছেন, " লাথি,নির্বিচার থাপ্পর,পা উপরের দিকে বেঁধে শুন্যে ঝুলিয়ে শাস্তি,পায়ের তলায় আঘাত,ইলেকট্রিক শকসহ তাদেরকে ভয়ানক সব পন্থায় নির্যাতন করা হয়। তাদেরকে ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়, এমনকি অনেক সময় এসব নারীদেরকে তাদের সন্তান ও আত্মীয়ের সামনে ধর্ষণ করা হয় ।"

HRW মানবাধিকার লংঘনের নির্মমতা উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

বিনা বিচারে আটক থাকা নারীদের অধিকাংশই হচ্ছে সুন্নী নারী। এর ফলে সুন্নীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

নিম্ন আদালত থেকে মওকুফ পেলেও উচ্চ আদালতের আদেশে মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়া এক নারীর সাথে Human Rights Watch সাক্ষাৎ করে। এসময় ঐ নারী জানান, "তাকে ৯ দিন ধরে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে,ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়েছে এবং নির্যাতনের যত পন্থা আছে তার সবই তার উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। উক্ত নারী তার শরীরে মারাত্মক সব আঘাতের চিহ্ন মানবাধিকার কর্মীদেরকে দেখান। এভাবে নির্মম নির্যাতন করে তাকে চিরতরে পঙ্গু করে দিয়েছে । নিম্ন আদালত তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বাতিল করে দিলেও এর ৭ মাস পর তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় !"

আল-জাজিরা। লিংক.... Click this link

Human Rights Watch এর প্রতিবেদনের লিংক.... Click this link

বিষয়: বিবিধ

২২৮৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

173933
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪১
হতভাগা লিখেছেন : এসব বড় বড় দেশ এরকম মানবাধিকার হরন মূলক কাজ করছে বলেই তো HRW রা তাদের কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে । নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে । যদিও তাতে আমেরিকানদের একটা পিউবিক হেয়ারও খসে কি না যথেষ্ট সন্দেহ আছে ।
এতে কোন সমস্যা হবার কথা নয় HRWদের । কারণ যত বেশী মানবাধিকার তত বেশী তাদের নাক গলানোর সুযোগ এবং টাকা বানানোর সুযোগ ।

এরা একে অন্যের পরিপূরক । একজন মেরে দখল করে আরেকজন এসে মলম লাগায় ।
173934
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪২
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ,এরকম অনেক কারাগারে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে। তবে এই কারাগার বেতিক্রম এখানে মুসলমানের হাতে মুসলমান নির্যাতিত ঠিক বাংলাদেশের মত। আল্লাহ মুসলমানকে হেফাজত করুন আমীন
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:০১
127368
আলোর দিশা লিখেছেন : শিয়ারা মুসলিম ! মুসলিম নামধারী বলতে পারেন, কিন্তু কুর'আন-হাদীস অনুযায়ী কিছুতেই শিয়াদেরকে মুসলিম বলা যায় না।
173947
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:০৮
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : দুঃখজনক। অপরাধীর বিচার হওয়া উচিত কিন্তু এভাবে যৌন নির্যাতন কেন?
173980
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৯
গৃহস্থের কইন্যা লিখেছেন : শত্রুপক্ষের নারী ধর্ষন ইসলামে হালাল।


FROM SAHIH BUKHARI - VOLUME 3, #432:
Narrated Abu Said Al-Khudri that while he was sitting with Allah's messenger we said, "Oh Allah's messenger, we got female captives as our booty, and we are interested in their prices, what is your opinion about coitus interruptus?" The prophet said, "Do you really do that? It is better for you not to do it. No soul that which Allah has destined to exist, but will surely come into existence."


FROM SAHIH MUSLIM, VOLUME 2, #3371
Abu Sirma said to Abu Said al Khudri: "O Abu Said, did you hear Allah's messenger mentioning about al-azl (coitus interruptus)?" He said, "Yes", and added: "We went out with Allah's messenger on the expedition to the Mustaliq and took captive some excellent Arab women; and we desired them for we were suffering from the absence of our wives, (but at the same time) we also desired ransom for them. So we decided to have sexual intercourse with them but by observing azl" (withdrawing the male sexual organ before emission of semen to avoid conception). But we said: "We are doing an act whereas Allah's messenger is amongst us; why not ask him?" So we asked Allah's messenger and he said: "It does not matter if you do not do it, for every soul that is to be born up to the Day of Resurrection will be born".
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪০
127422
আলোর দিশা লিখেছেন : খ্রিস্টান পাদ্রী কর্তৃক লক্ষ লক্ষ শিশুকে যৌন নির্যাতনের তথ্যসমৃদ্ধ কিছু খন্ডচিত্র (বিবিসি)(পর্ব-১)

**** জার্মানিঃ ২০১২ সালে Andreas L নামে এক পাদ্রী স্বীকার করেছে যে, সে ২৮০ জন শিশু ও নারীর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। এছাড়া বিগত এক দশকেরও বেশী সময় ধরে ৩ জন বালকের সাথে যৌনাচার করে আসছে।
**** বেলজিয়ামঃ Roger Vangheluwe নামে এক পাদ্রী ২০১০ সালে পদত্যাগ করার আগে স্বীকার করে যে, সে ৪ বছর ধরে একটি বালককে যৌন নির্যাতন করে আসছিলো।
**** ইতালিঃ ২০১০ সালে ইতালির ক্যাথলিক চার্চ স্বীকার করে যে, গত ১০ বছরে ১০০ শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার বিষয়ে তারা অবগত আছে।
**** আয়ারল্যান্ডঃ ২০০৯ সালের এক রিপোর্টে বলা হয়, পুরো বিংশ শতাব্দী জুড়ে ক্যাথলিক চার্চ পরিচালিত বাণিজ্যিক স্কুল এবং এতিমখানাগুলোতে যৌন নির্যাতনের ঘটনা 'মহামারী' আকার ধারণ করেছে।
তথ্যগুলোর লিংক...... http://www.bbc.co.uk/news/world-europe-26044852
২০১১ ও ২০১২ এই ২ বছরে ক্যাথলিক পোপ ষোড়শ বেনিডিক্ট শিশুদেরকে যৌন নির্যাতনের কারণে কমপক্ষে ৪০০ জন পাদ্রীকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। দেখুন...বিবিসির লিংক...... http://www.bbc.co.uk/news/world-europe-25788864

বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান পাদ্রীদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের সহায়তা করতে ১৯৮৯ সালে পাদ্রীদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার 'Barbara Blaine' প্রেসিডেন্ট হয়ে "Survivors Network of those Abused by Priests" বা SNAP নামে একটি সংগঠন তৈরি করে। এটি বিশ্বব্যাপী তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শিশুদেরকে পাদ্রীদের হাত সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করে। লিংক..... উইকিপিডিয়া..... http://bit.ly/LBMPSx
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:২৭
127447
গৃহস্থের কইন্যা লিখেছেন : তাতো বুঝলাম, ওরা তো নবী/রাসুল না। কিন্তু ইসলাম ধর্মের নবী মোহাম্মদ এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা শত্রু পক্ষের নারী ধর্ষন করেছেন। পার্থক্য এখানেই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File