বান্ধবী নিয়ে ফূর্তি করতে গিয়ে গণপিটুনি খেলো ছাত্রলীগকর্মী
লিখেছেন লিখেছেন আলোর দিশা ০৯ মে, ২০১৩, ১১:৪৭:১৭ রাত
(নারী-পুরুষের অবৈধ ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ করার দাবী মধ্যযুগীয় ! কারণ, তাহলে আমরা আধুনিক যুগের মহান কাজ বান্ধবী নিয়ে ফূর্তি কিভাবে করব ! )
ইবি: মেয়ে নিয়ে ফূর্তি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এককর্মী। বৃহস্পতিবার ইবি থানাধীন হরিনারায়ণপুর বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিয়ের আশ্বাস দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ইবি ছাত্রলীগকর্মী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের (২০০৫-০৬) ছাত্র মাহফুজ আহমেদ টুকু তার বান্ধবীকে নিয়ে হরিনারায়ণপুর বাজারের পাশে এক বাড়িতে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়।
বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা ওই বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে-নাতে ধরে ফেলে। এ সময় তারা মাহফুজকে গণধোলাই দেয়। পরে এলাকার মুরব্বি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম গোলাম রশিদ, হরিনারায়নপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও ঘটনাস্থলে আসেন।
এলাকাবাসী আটক প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে দাবি করে। কিন্তু অপরাধী মাহফুজ আহমেদ বাংলা বিভাগের শিক্ষক রাশেদুজ্জামানের শ্যালক হওয়ায় রাশেদুজ্জামান পুলিশ ও এলাকার মুরব্বিদের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে ছাড়িয়ে নেন। পরে প্রেমিকা পান্নাকে তার হলে পৌঁছে দেয়া হয়।
লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানায়, মাহফুজ এক সময় লালন শাহ হলে থাকতেন। তখন বিভিন্ন ছাত্রের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতো। তাছাড়া লালন শাহ লুটের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী ছিল ছাত্রলীগের এ কর্মী।
মাহফুজ এর আগেও ক্যাম্পাসে মেয়ে নিয়ে নানা ধরনের অশ্লীল ও অনৈতিক কাজ করতো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষক রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। তারা ভবিষ্যতে বিয়ে করবে।’
এ ব্যাপারে হরিনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শরীফুল বলেন, ‘মাহফুজকে তার বান্ধবীর সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশা করার সময় অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক করে এলাকাবাসী। তাদের বিয়ে ঠিক করা আছে বললে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।’
আরটিএনএন Click this link
বিষয়: বিবিধ
১০৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন