মুক্তমনাদের(!) মন সংকীর্ণ হয়ে গেলোরে ! হায় হায় রে !
লিখেছেন লিখেছেন আলোর দিশা ২৩ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:৪৮:৪৩ রাত
এতোদিন শুনতাম ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকরা মুক্তমনা, আর মুসলিমরা সংকীর্ণমনা। কারণ, মুসলিমরা তাদের রাসূলের (সা.) বিরুদ্ধে কথা বললে সহ্য করেননা । কিন্তু এখন দেখছি, তাদেরই আদর্শের এক ফেরিয়ালা এক কাল্পনিক গল্প লেখার পর তাতে নাকি তাদের মান-ইজ্জতের বালির বাঁধ ডুবে গেছে!
২১ শে এপ্রিলঃ
‘টিভি ক্যামেরার সামনের মেয়েটি’—গল্পের লেখক হাসনাত আবদুল হাইকে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। এতে তাঁকে গ্রেপ্তার ও তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়ার আরজিও রয়েছে।
কাল সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম অহিদুজ্জামান আজ রোববার আবেদনটি দাখিল করেন।
‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত গল্পটি যুক্ত করে রিটটি করা হয়। এতে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের উপকমিশনার (ধানমন্ডি জোন), ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও লেখক হাসনাত আবদুল হাইকে বিবাদী করা হয়েছে। কেন আবদুল হাইকে গ্রেপ্তার ও তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে না—এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে ।
আবেদনকারী এম অহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ওই গল্প লেখার মাধ্যমে শাহবাগে আসা সব নারীকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। দেশে দাঙ্গা বাধানোর জন্য উসকানি দেওয়া হয়েছে। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে দেশের মানুষের মধ্যে ঘৃণা ছড়িয়ে দিতেই ওই লেখা। লেখায় যে চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার জন্য যেসব মেয়ে শহরে আসে, তাদের হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এটা নারীশিক্ষা ও নারীদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রচারণা। সে কারণে সংক্ষুব্ধ হয়ে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেছি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন