মুমিনের অন্তরে সহমর্মিতা থাকবেই।
লিখেছেন লিখেছেন দাঁড়িপাল্লা ২০ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:০৯:১৬ রাত
আজ থেকে প্রায় শতবছর আগে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ লিখেছিলেন,
“বলকান যুদ্ধে কোন তুর্কি সৈনিকের
পায়ে যদি কাঁটা বিদ্ধ হয় আর সেকাঁটার
ব্যাথা যদি তুমি হৃদয়ে অনুভব নাকর তবে খোদার কসম তুমি মুসলমান নও”,
মুসলমান হওয়ার অর্থই হলো আরেক
মুসলমানের ব্যাথার সাথে একাত্ম
হওয়া এবং সে ব্যাথা হৃদয়ে অনুভব করা।
কে কত বড় ঈমানদার সেটি তার দাড়ি-
টুটি বা লম্বা জুব্বা দেখে বুঝা যায় না।
সেটি বুঝা যায় তার মুসলিম ভাইয়ের ব্যাথায় ব্যাথীত হওয়াদেখে।
মাওলানা আবুল কালাম আযাদ যখন এ কথাটি লিখেছিলেন তখন ইসলামের শত্রুরা খেলাফত ধ্বংসের লক্ষ্যেমুসলমানদের ভূগোলে হাত দিয়েছিল। ইউরোপের বলকান এলাকায় কাফেরদের পক্ষ থেকে পরিচালিত হচ্ছিল
সে বিচ্ছিন্নতার যুদ্ধ। মুসলিম ভূমির ভূগোল বাঁচানোর লড়াই ইসলামে জিহাদ। সে জিহাদ লড়ছিল তুর্কি সৈনিকেরা।
ভারতের মুসলমানগণ তখন উসমানিয়াখেলাফতের পক্ষ নিয়েছিল। কারণ, তাদের সাথে একাত্ম হওয়াটাই ছিল ঈমানদারি।
যেখানে ঈমান আছে সেখানে সে সহমর্মিতা থাকবেই।
একমাত্র কাফেরগণই মুসলমানের ব্যাথা বেদনায় আনন্দ পেতে পারে।
মুসলমানের ব্যাথা-বেদনা তাদের কাছে উৎসবের কারণ হয়।
কাজেই মিশরের গনহত্যায় যারা উল্লাস করছে, সেটা বাংলাদেশে হোকআর অন্য যেকোন দেশে হোক, সেই কুত্তারা যে মুসলমান নয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
মিশরে গনহত্যায় নিহত সকল ভাই বোনদের ও সকল স্বজনহারা পরিবারের ব্যাথায় আমরা ও ব্যাথিত।
আল্লাহ সকল শহীদদেরকে শাহাদাতেরসর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন, আমীন।
CLTD-Abdullah Al Kafi
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন