কংকাল কাব্য

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের জন্য মরতে পারি ২৯ মার্চ, ২০১৫, ১২:৪৬:৩৮ দুপুর

[১]

ক্ষণে কিয়ৎ ঊষরতা

ক্ষণে কিছুটা অসাড়তা

ক্ষণে গভীর অধীরতা

ক্ষণে বিদায়ের বারতা

তেমনি একটি বসত ভিটা

যার অনুর্বরতা খরাকেও হার মানায়

বিহংগরাও ঠাঁয় না লয়

কেবলি অথৈ বিরান ক্ষয়:

অত:পর ক্ষণে চেতনে কেতন দ্যোতন

ক্ষণে পুরাতনে ফেরে নোতন

ক্ষণে নোতনে খোঁজে পুরাতন

যেম: মৃতপ্রায় যাঁচে প্রান্তিক পৌঢ়াবলম্বন

এ এমনি একটি জীবন।

[২]

সে কী অস্পৃশ্য, না অচলায়তন ?

কায়িক শ্রমিক কী পায় না বেতন ?

হারানো স্বপনে ক্ষণে খোঁজা রঙৃ

হয়ত পড়শীর আলোকে সঙ! কিংবা

আচানক কিংকর্তব্যবিমূঢ় এবং

পতনে অবগাহন !

[৩]

যেন হতবাক বধির পথিক

যে সয়ম্ভরা থেকে সর্বাংশেহারা ?

রঙ অরণ্যেই কী রংহারা

অর্থহীন দাড়ি কমা ছাড়া !

জনারণ্যের শৈবালে লোকান্তর।

[৪]

অজপাড়া গাঁয়ের পথিক

গ্রামীন অচেনা নাজানা বন্ধুর পথ ধরে-ধরে

কখনো পাহাড় দেয়াল ডিঙ্গিয়ে-ডিঙ্গিয়ে

কখনো পিছলে আহত হয়ে

কখনো কখনোবা একাকীত্বের অপাংক্তেয়ে

হিমাংশুর হীরক খোঁজে !

[৫]

খোঁজে মাহেন্দ্রক্ষণ; আর দিকে -

গগণ বলাকারা গতির বিহঙ্গে

সঙ্গম করে-করে

নিত্যকার নবারূণ সৃজনে সাজিয়ে গুছিয়ে

আগত অনাগতদের তরে

পথে পদে বাকে শাখে এঁকে

প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির ভাবনা ছাড়াই রেখে যায়

দীপ্তিময় দিগন্ত রেখা।

[৬]

জীবন পথিক

তৃষিত তারায় তাঁকিয়ে-তাঁকিয়ে

সলিল সরলে আশীষ ঢেলে

ঢলে পড়ে ক্ষয়িষ্ণু কোলে ?

[৭]

কমল কমল রাখাল

ফেরারীতে বলে যায়

হায় পথিক

ব্যর্থ পথিক

কেবলি দূর্ভিক্ষের ছবি আঁকিস !

সরল সমাধান সবে কেন খুঁজিস ?

[৮]

জ্ঞানীরা বলে-

পাগল কী আর বোঝে তার পাগলামীর রোগ ?

পশ্চিম ছেড়ে পূবে গেলেই যত দুর্ভোগ !

গগণের নিদাঘে শ্রান্তি খোঁজে

নিরাশে,

তব ছায়া কুঠুরীর

চারপাশে।

[৯]

ভাতি কী বোঝে জ্যোতিহীনতার মতি ?

চিত মতিই জানে তার নিখাঁদ মূরতি।

[১০]

সকাল কী একটাই ?

সন্ধা কী একটাই ?

জীবনও কী একটাই?

হয়ত, হয়তবা না।

[১১]

প্রভাত দ্বারে-দ্বারে করাঘাত দিয়ে হেকে যায়

গোপন সংগোপনে ।

সাঁঝের মোহ মারে বন্ধায়।

সাঁঝ এসে দেয়াল তুলে কী ?

হয়তবা, আবার হয়ত না।

[১২]

জানি অনল যদিবা আগুনের মতো হয়

মুদে দেবে ? সাধ্য আছে কার ?

কালো পাহাড় চাতুর্যে পাহারা বসায়

স্রোতের বহ্নি বেয়ে সঙ্কি নির্দ্ধিধায়, আর

পশ্চাতী নদীরা কতেক ডেকে গৃহপালিত হয় !

[১৩] ফেরারীরা সত্যি কী আর ফেরার নয়

আসলে নিখাঁদ হিয়া থাকা চাই

তাগিদে খুঁজে নিতে হয়

গুলিস্তানে কিম্বা গুলবাগিচায়।

[১৪] জলোদ পাথারে আধার মানে কী ?

অবোজ্ঞা ! না আজ্ঞা দিয়ে যায় ?

কে বুঝতে চায় কার বারতা।

[১৫] দিব্য চোখে দেখি

জীবন জীবনের

পুরোনোরা মেটায় নতুনরে।

নতুনরা আর কতটুকুইবা দেবার পারে ?

কেবলি অস্বীকার করতে পারে, তারপরও

কৈফিয়েতহীন বন্ধায় আড়াল করে

ভালোবাসার মোহনা মাড়িয়ে

নীল সে নীলাভ সলিল পার হয়ে

আসরে বাসর সাজায়।

[১৬] সালসাবিল নয়কো অধরা ;

অতৃপ্ত অস্থিত্ব ছন্নছাড়া।

[১৭] গুরু সবেই তো মাত্র শুরু

চলবে কেমনে কুচকানো ভ্রু,

হয়নি তো কিচ্ছু এখনো, ঢেঁর আছে বাকি

প্রতীক্ষিত যে কাঙ্খিত সে সাঁকি ,

অপভ্রংশময় ভ্রষ্টতা কেন দেখি?

[১৮] সাজানো সকাল গুছানো বিকেল

কমলে কমনীয় সাঁঝের কোল

কোন সে ভুলে হলো মাশুল?

আগুন্তক, নিয়েছে দখল

ভেতর বাইর সকল ! তাই কী হেরি

অন্ধকারে মৃয়মান শশীর মাসি?

বাসি ফুল কে দেখবার চায়

গন্ধহীন প্রসূন কা’রা কুড়ায় ?

[১৯] জীবন কী আজিকে দিবাস্বপ্নে তপন খোঁজে

পিপড়াবিদ্যায়, না হিংস্রতায় ?

দিকে দিকে অপচয়

সঞ্চয় সামনে দিয়ে হেঁটে যায়

কিচ্ছুই কী করবার নাই ?

কিম্ভুতকিমাকার জীবস্মৃতপ্রায় জীবন

কতক্ষণ আর কতক্ষণ ?

[২০] মেঘ না চাইতেই জল,

জল না পাইতেই কালবোশেখ !

অযাচিত জগদ্দল পাথর

অন্দরে দৃঢ়করে পিরামিড গড়ে

বুকে বসে মৃত্তিকায়

ছায়ায় ক্ষতের অবক্ষয়।

[২১] গোজামিল গুরুচণ্ডালীতে না রয় আগাপাস্তলা

না মানে বাস্তব সমাজ সভ্যতা, আর মন !

সে তো বিস্মৃত সন্ধিক্ষণ

হনন দীর্ঘস্বর তাই বাঁচিয়ে রাখা

[২২] নত মুখ ঝরা আখি

জানি কখনো পরাজয়ের নয়

হারানো সময় ফিরে পাওয়া যায়

তপ্ত চিত্ত দৃঢ়তায়

ভালবাসায়।

[২৩] ভালবাসার বারযাক !

সে তো রাখঢাক কিছু নয়,

মিলনে যাক্কুম মনে হয়

চৌকাঠের মধ্যিখানটায়।

[২৪] জানি গো জানি, ভুলা না যায়

কেবলি মিছামিছি অভিনয়

ভুলে যাওয়া ভুলে থাকা এক নয়,

কালের তাগিদে জীবন হেঁটে যায়

যার যার সন্ধায়।

[২৫] বাতিল দরজায়

আবাবিল পাথর ফেলে কী ডেকে যায় ?

কালি ঝুলি কী সাফ করে যায় ?

অদেখা বারতা ভোলেনি তোমায়

কেন তুমি ভুলেছ হায়

পায়াহীন মায়ায়।

[২৬] কে বলেছে গাধা ঘোড়ার মিলন হয় না ?

পায়রারা কী সামনে এগুচ্ছে না ?

হয়ত পুরোনো মহী পুরোনোই রয়ে গেছে

আদমের নিমিত্তেই আদিমতা ধরেছে

গণ্ধম এখনো রয়ে গেছে।

[২৭] তা বলে স্তরায়ন অন্তরন কেনো ?

কাবিল কী কাক থেকে শেখেনি ?

বিলাল পাল কী পায়নি ?

[২৫] ওলো আখি খোলো

দিগন্তের দিগন্তে দৃষ্টি মেলো

পড়ন্তে ছাড়তে পথ

ভেঙে ফেলো মিথ্যে শপথ

হোক না তা রাত

নাইবা জাগুগ প্রভাত।

[২৬] যে করে ওয়াত্তাকুল্লাহ

রশি ধরে ইল্লাল্লাহ, তখন

প্রায়শ্চিত্ত্য কী আর পাই রে ভেলা

কেবলি তখন সালসাবিলে উতলা।

বিষয়: বিবিধ

১২০১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

311617
২৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:৫৪
হতভাগা লিখেছেন : এত্ত গুলি ছাড়ছেন কেন ? একটা একটা কইরা দিতেন ।
311619
২৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:১৪
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে
311638
২৯ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:০৭
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এতো দেখি পুরা গিতাঞ্জুলি পোস্ট করে দিলেন!!!!

ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিলে ভাল হতো ব্রাদার!
311780
৩০ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:০৩
সত্যের জন্য মরতে পারি লিখেছেন : গঠনমুলক মন্তব্য না হলে ভাল্লাগেনা

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File