বাবার সম্প্রদান

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের জন্য মরতে পারি ১৮ জুন, ২০১৩, ১১:৩৮:১১ সকাল

সম্প্রদানের আধারে অন্ধকার বরাবরই দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে পায়ের নিচে মাটি হারিয়ে মাটিতেই চাপা পড়ে।এখানে আদিগন্তের এধারে অধিকরণের বাড়ি ঘর ছেড়ে কেউ বৃক্ষ হয়ে-নদী হয়ে-আকাশ হয়ে হেসে হাসাতে চাই না, তাই অপাদানের সংখ্যা এতই অগ্রগণ্য যে, তা গোট দুনিয়া ঘেঁটে ঘেঁটে হাতের গিঁটে গুনে গুনে এক নিশ্বাসে ঠোঠস্থ বলা বোধ হয় পানি পান করার চাইতে সহজ,যদি কেউ তা মনে করে , যেমনটি ক্যামদ্দি মোড়ল ।

ক্যামদ্দি মোড়ল রহম গ্রামের বাসিন্দা, গ্রামবাসী তাকে কবিরাজ বলেই ডাকে,কেননা তার কাছে সমাধান নেই এমন একটা নজির গ্রামবাসী তা জানে না ।সে মনুষ্য তৈরী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত যেমন তেমনি আসমানী বিদ্যায় ও স্বশিক্ষিত,আবার ডাক্তারী কবিরাজী গাছগাছড়ার বিদ্যায় ও চৌকষ পারদর্শি বটে, আর সেজন্যই-গ্রামবাসীরা ক্যামদ্দি মোড়ল ওরফে কবিরাজকে ছেলে বুড়ো যুবক যুবতীরা তাকে শ্রদ্ধা করে, সে যা বলে তা বিশ্বাস করে ।ক্যামদ্দি মোড়লের সাথে আলাপ করাটা যতখানি না দূর্লভ, তার চেয়ে বেশ শক্ত তার সাক্ষাত পাওয়া,তার স্বাক্ষাত কেন এত জরুরী ? একথাটি হয়ত পাঠকেরা মনে মনে ভেবে ফেলেছে ! না আমি পাঠকের হতাশ করব না । কবিরাজের কাছে কেও কোন ওদ্দেম্যে গেলে কাওরে মলিন মুখে ফিরে আসতে হয় না। যে একবার তার কাছে কাদতে কাদতে যায়, ফেরার সময় হলে সে গোফের গর্তে হাসি নিয়ে ফেরে। পাঠকের যদি বলে, কবিরাজ টাকা পয়সা পায় কোথায় ?--------

সেদিন কালাচান সরদার তার মেয়ের জন্য জন্মদিনের জন্য দুয়া চাইতে গেলে কবিরাজ তাকে বলে-

তোমার বাড়িতে তুমি গাছ লাগালে কে যত্নআত্মি করে সার পানি দেবে ?

কালাচান- চাচা, আমি দেব ।

কবিরাজ-তারপরে কে কে দেবে ?

কালাচান-আমার জায়া, কণ্যা তারপর অন্যরা ।

কবিরাজ-তাহলে এখন তোমার মেয়ের জন্য কে দুয়া করবে আর কারটা কত গুরুত্ব ?

কালাচান-জি চাচা,বুঝতে পেরেছি, তবু ও আপনাকে বিশ্বাস করি মানি আপনি সবার ছায়াদানকারী,তাই-

কবিরাজ-বেটা সেটা কি তোর বলা লাগবে,তোর মেয়ের জন্য আমার দুআ সবসময় থাকে । তা আজ কি জন্য মনে করে ওর জন্য দুআ চাইতে এসেছিস ?

কালাচান- চাচা, কাল মেয়ের ১৩ বছর বয়স পূর্ণ হবে,এজন্য এসেছি ।

কবিরাজ-তা বাবা, একটা কথা শুনি,কিছু মনে নিস নে, তোরা কি জন্মদিন পালন করিস বেটা ?

কালাচান- (বেশ উৎফুল্ল হয়ে) জি চাচা করি ।

কবিরাজ- তা বাবা,জন্মদিনে কি কি কর ?

কালাচান- চাচা, আমার কথা ত জানেন, ওই একটা কেক কিনি তা রাত ১২ টা ১ মিনিটে সবার উপস্থিতিতে মেয়ে কাটে

কবিরাজ-আর কি কর ?

কালাচান- মেয়ে যা দাবি করে তা সাধ্যে কুলালে দাবি মেটাই, না পেরে উঠলে নতুন জামাকাপড় কিনে দেই আর যে সব মেহমানদের দাওয়াত করি তাদের একটু আধটু ভালো খাবারের বন্দোবস্ত করি আর কি ।

কবিরাজ- নামাজ পেড় মেয়ের জন্য এদিন দুআ কর ত? গরীর মিকিনদের একজনকেও কি খাওয়ানো হয় ? না সাগরে পুকুরের জল ঢালো ।

কালাচান- নামাজ পড়ে ত সবসময় দুআ করি কিন্তু শেষের কথাটা ত বুঝলাম না ।

কবিরাজ- বুঝেছি , বালিতে জল কে আর ঢালতে চাই ? জলে জাল ফেলতে সবাই চাই ।তা বাবা, খরচা হয় কত আর ফেরত কত আসে ?

কালাচান- চাচা, আপনার এ কথাতে ব্যথা পেলাম,আমি কি খরচ ফেরতের জন্য এসব করি ?

কবিরাজ- দেখ বেটা,নিউটন বলে গেছেন-প্রত্যেক ক্রিয়ার স,মান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে, তাই পা ফেললে পথ আগায়, ভাগের কাঠাল দরগায় খায়, তা এসব করে মেয়ের কি কোন উপকারে এসেছে, না তোমার, মাঝখান থেকে তোমার পকেট খালি হলো ।

কালাচান- চাচা, মেয়ের জন্মদিনে যদি এটুকু আবদার না মেটাতে পারলাম—

কবিরাজ-আচ্ছা, ধর্ম পয়গম্বর প্রভু আসমানী কিতাব জেনে জীবনে মান ত ?

১০০ ভাগ মানি

কবিরাজ- তা তোমার মা বাবা পয়গম্বর প্রভুর দিনগুলোতে কি কেক কাটতে বলা হয়, না তার কাছে মাথা নত করে ক্ষমা চেয়ে ভালো থাকতে চাওয়া হয় ? আমি বলি কি বাবা, যা তোমার মেয়ের কালকে কাজে আসবে তাই করো ।

পাথরে আঘাত করলে শব্দ হয়, আঘাতের পরিমান তার ক্ষমতার বাইরে গেলে ভেংগে যায়; বরফে আঘাত করলে ভেংগে গলে ভিত খুঁজে পায় ।কালাচান কবিরাজের কথাগুলো তরকারীতে লবন দেখার মত চাখতে চাখতে বাড়ির পথে এগিয়ে যায়, কিন্তু কবিরাজের সাথে আলাপের সময় যতটা না বিরক্ত বোধ করছিল,ভাবছিল কবিরাজের অহংকার হয়ে গেছে, কবিরাজের কাছে আর আসবে না আর এখন কিছু কথায় যুক্তি খুজে অমৃতের স্বাদ পাচ্ছে বলে মনে মনে কবিরাজকে ধন্যবাদ জানায় ।

মা রুকু, কই গেলি রে মা, এদিকে একটু আয় ত মা । মা, এবার জন্মদিনে তোমার কি চাই ?

রুকু-বাবা, এখন বলব না, বলব কেক কাটার সময় ।

কালাচান তার বউয়ের সাথে আলাপ করে কবিরাজের কথা জানিয়ে বউয়ের মতামত জানতে চাই । বউ ধর্মে যা আছে তা করতে বলে । কালাচান সারাদিন ভাবতে ভাবতে অবশেষে কেক কিনতে বাজারে যায় ।

রুকু তার মায়ের কাছে জানতে চাই সে কলেজে উঠলে আমার বয়স কত হবে, তার মা তার বয়স হিসেব করে বলে ১৮ হবে । তখন রুকু ১৮ তম জন্মদিনে তাকে কি উপহার দেয়া হবে জানতে চাইলে , মা তার কোন কথার উত্তর না দিয়ে হাতে কাজ আছে বলে চলে যায় ।

কালাচান বাড়ি আসে কেক কিনে না এনে একটা আসমানী কিতাব কিনে আনে, সাথে প্রার্থনার পাটি ও কেক কিনে আনে ।মেয়ে দৌড়ে ছুটে এসে কি এনেছ জানতে চাইলে সেগুলো তার হাতে দিয়ে ঘরে রাখতে বলে ।

রুকু: বাবা, তুমি কি আমার জন্য বই কিনে এনেছ?

কালাচান: মা ওগুলো ঘরে নিয়ে রাখো,আমি মাঠে গেলাম,বেলা বেড়ে যাচ্ছে, বিকালে কথা বলবক্ষণ । তারপর কালাচান মাঠের পথ ধরে ।

এমনি করে বেলা বাড়তে বাড়তে স্তুলকোন অতিক্রম করে সমকোন ধরার প্রতীক্ষায়,রুকুর জন্মদিন ১৬ পার হয়ে ১৮ ছুঁই ছুঁই করছে, পরীক্ষার পরে রুকুর শরীর আচানক খুব বেশি খারাপ হয়ে যায়,ডাক্তার দেখালে ডাক্তার ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে বলে । কালাচান টাকা পয়সা জোগাড় করে ঢাকার একটা ভাল হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে একটা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে, অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়-তার যে রোগ হয়েছে তার চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি, কেননা হৃদয় প্রতীস্থাপন করার পদ্ধতি আবিষ্কার হয় নি ।তাই এ মেয়ের রোগ ভালো হবার নয় । ডাক্তাররা কালাচানকে ডেকে বলে-দেখুন আপনার মেয়ের যা হয়েছে তার চিকিৎসা যা আছে তাতে পুরোপুরি ভালো করা যাবে না,আর এখন যে অবস্থা তাতে বেশিদিন বাচার কথা নয়,তারপরে ও যদি বেঁচে যায় তাহলে সারাজীবন অসুস্থ হয়ে লাঠি ভর করে বাঁচতে হবে । একথা শুনে কালাচান কাঁদতে কাঁদতে মেয়ের বিছানার কাছে এসে মেয়ের দিকে চোখ রাখলে দেখতে পায় মেয়ের নাকে অক্সিজেন লাগানো হয়েছে,মেয়ে তার চেতনহীন হয়ে পড়ে আছে,মেয়ের এ অবস্থা দেখে কালাচান ডুকরে কেঁদে ওঠে , বাপের কান্না দেখে মেয়ের মা ও ফুপিয়ে কেদে ওঠে। এমন সময় মেয়ের চেতনা ফিরে আসে,মেয়ে দেখতে পায় তার মা বাবা কাঁদছে,রুকু মুখ থেকে মাক্স সরিয়ে দিয়ে বাবাকে বলে

বাবা ডাক্তার কি বলেছে,আমি বাঁচব না,তাই কি তোমরা কাঁদছ ? কেঁদ না তোমরা , দেখ আমি ঠিক ঠিক ভালো হয়ে যাব । বাবা আমার সামনের জন্মদিনে কি দিতে চেয়েছিলে তা কি তোমার মনে আছে,তুমি ত আমার সাথে বলনি,তাই তোমাকে মনে করিয়ে দিতে পারব না,তা তআমার উপহারটা কিনে রেখ কিন্তু,যেন ভুলে যেয়ো না ।

ডাক্তাররা কালাচানকে ডেকে বলল, আপনি ত মেয়ের বাবা,আপনি নিশ্চয় বুঝবেন, দেখুন আপনার মেয়ে আমাদের মেয়ে সমান,আমরা রোগীদেরকে পর করে দেখি না,তবে আপনার মেয়ের চিকিৎসা করব কিভাবে বলুন হার্ট ত পাওয়া যাবে না,কেননা হার্ট ত জীবিত মানুষের নিতে হয়,কোন মরা মানুষের নেয়া যায় না,তা বলুন জীবিত মানুষের হৃদয় ভাল্ব কোথায় পাবো ? কোন ওষুধ দিয়ে মেয়েকে হয়ত কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখা যাবে,হৃদয় সংযোজন না করা অবধি ভাল হওয়া যা বলে তা হবে না,যতদ্রুত হৃদয় পরিবর্তন করা হবে ততদ্রূত সে ভাল হয়ে উঠবে। কোলাচান বলল,আপনারা চিন্তা করবেন না,আপনারা আমার হার্ট টা মেয়েকে দিতে চাই,যদি আপনাদের কোন অসুবিধা না হয়,

ডাক্তার : আপনি একটু ভাবুন, তারপরে সিদ্ধান্ত নেন।

কালাচান : স্যার, কোন ভাবার দরকার পড়বে না, এখন কবে কিভাবে নেবেন তাই বলেন।

ডাক্তার : তারপরে ও বলছি এখনো সময় আছে, ভাল করে ভেবেচিন্তে দেখুন,তারপরে বলেন, আর আপনার সিদ্ধান্ত ঠিক হলে আমাকে স্বাক্ষর কক্ষে গিয়ে আপনার নাম ঠিকানা দিয়ে একটি স্বাক্ষর করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

কালাচান : স্যার, আপনি ত আর জান দেনেওয়ালা বা নেলেওয়ালা নয়,যদি সে কাল সকাল পর্যন্ত না বাচে,যদি কাল করতে গেলে দেরী হয়ে যায়,তাহলে তখন আপনাদের ত কোন ক্ষতি হবে না,আমি ত মা হারা হয়ে যাব ।

ডাক্তার : ভাইরে আমি বলছিলাম, অন্য কোথা থেকে পান কি না খুজে দেখার কথা, আপনি ভুল বুঝে রাগ করছেন ।

কালাচান স্বাক্ষর করে হাসপাতালের বাইরে বের হয়ে কাগজ-কলম আর একটি কলম ও সুন্দর দিকে খাম কিনে হাসপাতালের একটি নির্জন স্থান বেছে নিয়ে লিখতে বসে যায় ।

মা আমার,

এই চিঠি যখন তোমার হাতে পৌছাবে তখন আমি আমার স্থায়ী ঠিকানার চিরস্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাব। তুমি তখন আসমানী ভাষায় ডাকলে স্মরণ করলে আমি সেখানে বসে পেয়ে যাব ,না ডাকলে পাব না। তুমি দেখতে পারবে না,তবে স্মরণ করলে আমার অস্থিত্ব অনুভব করতে পারবে । মা, তুমি না বলেছিলে বাবা, আমার ১৮ তম জন্মদিনে কি উপহার দেবে ? তা মা আমি তোমার কোন কথা একমুহুর্ত ভুলে থাকতে পারি নি,তুমি ভেবেছিলে আমি আমি তোমাকে কম ভালোবাসি তাই তোমার যতটুকু চাওয়া তার পুরোটা পূরণ করি না । তুমি ভুল জানতে মা আর ভুল জানতে একারনে যে তুমি তোমার বাবার সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে না। আজ তোমার এ জন্মদিনে তোমাকে যে জিনিসটা দিয়ে যাচ্ছিতা তুমি ও তোমার স্তায়ী ঠিকানায় স্থায়ী বাসিন্দা হবার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত তার অস্থিত্ব টের পেয়ে যাবে । মা রে এর চেয়ে আর কিছু দেবার থাকলে দিতাম কিন্ত আমার কাছে এর বেশি কিছু নেই যা তোমাকে দিতে পারতাম । আমার দেয়া তোমার শেষ জন্মদিনে আমি আমার হৃদয়টা তোমাকে দিয়ে গেলাম ।তুমি না মা একদিন জানতে চেয়েছিলে, বাবা তুমি আমাকে কতটুকু ভালবাসো ? আশাকরি প্রশ্নের উত্তর তুমি পেয়েছ ? মা আমার ,তুমি আকামের মতো বড় হও এই দুআ করে একালের মত রাখলাম ।

আর্শীবাদান্তে,

তোমার বাবা ।

কালাচান চিঠিটা তার বউয়ের হাতে দিয়ে পরিবর্তন ঘরে দ্রূত পায়ে হেটে গেল। ডাক্তার সাব আর বেশি দেরি করবেন না , যত দেরি করবেন তত মা আমার কষ্ট পাবে, তাই পারেন যত দ্রূত সম্ভব আমার হৃদয়টা নিয়ে আমার মেয়েকে সুস্থ করে তুলুন মেহেরবানী করে ।

ডাক্তাররা তার কাছে শেষ বারের মতামত নিয়ে হৃদয় পরিবর্তন প্রক্রিয়া আরম্ভ করে দিলেন । পরে মেয়ে সুস্থ হয়ে যখন বাড়িতে ফিরে এসে জানতে পারল আজই তার জন্মদিন । তাকে নির্দিষ্ট সময়ে কেক কাটার জন্য তার ঘরে নেয়া হলো, মেয়ে সবার উপস্থিতিতে কেক কাটলেন । এরপর তার মা সবাইকে বললো আজ আমার মেয়ের ১৮ তম জন্মদিন পালিত হলো। তার বাবা তার এই জন্মদিনে এমন একটি জিনিস উপহার দিয়ে গেছেন যা একজন মানুষের জীবনের সবচেয়ে দামী জিনিস। তারপর একটি চিঠি মেয়ের হাতে দিয়ে বললেন মা, তোমার বাবা তোমাকে এই চিঠিটা দিয়ে গেছেন,তুমি খুলে পড়, তোমার মনে এখন যেসব প্রশ্ন জমা আছে তা জানতে পারবে । রুকু এক নিমিষে চিঠিটা পড়ে অঝর ধারায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে উপস্থিতি সকলের চোখে পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে যায় । এরপর থেকে পরবর্তী জীবনে তার আর জন্মদিন পালন করা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠেনি।

ভালোবাসা এমন একটা শব্দ যা না যায় দেখা, না যায় বলে বোঝানো, এ কেবলমাত্র হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায় ।

বিষয়: সাহিত্য

১৩৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File