হে আমাদের আলোকসন্তানেরা !
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের জন্য মরতে পারি ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৪২:৫৬ দুপুর
হে আমাদের আলোকসন্তানেরা !
খবরের পাতাগুলোজবরদখল করে প্রাসারোজকার দের পর অট্টালিকা বানাচ্ছে আজধর্ষক লুচ্চা চোর বদমাশ ঘুষখোর মাস্তান চাদাবাজ সুদখোর মাগীর দালালরা ,আর কালের কালো উন্মাদ হাওয়ার উন্মত্ততায় নারীশিশু মেয়ে যুবতী বিধবা এমনকি বয়োবৃদ্ধারাও নারীত্বের অস্থিত্ব রক্ষায় আটপ্রহর আশঙ্কায় থাকে :পানি ক্ষরানো জানোয়ারগুলোফুটপথের গলিতে কুকড়ে থাকা নেড়িকুত্তার মতো এখানে এখন কেউ আজ এতটুকুন কাল অবধিও গোটায়ে বসে নেই।
হিজড়া ! ! !
হররোজ কতিপয় জ্যোতিপ্রায় হিজড়ারা ল্যাম্পপোস্টের নিয়ন জ্যোস্নায় জলখেলায় তৎপর ;
দেয়ালে পিঠ সেটে আছে যেন সমকালীন রিপু কন্ঠস্বরদের।
প্রশ্ন জাগে সত্যিই কী এখানে এখন আদৌ আয়না ছিলো না আছে ?
সেদিনের বৗর আলোকিত সন্তানেরা সত্যই কী সকলে মৃত ?
তাহলে সমাজ সভ্যতা সংস্কৃতিতে রাজনীতিতে বিচরণকারী এরা কারা ?
লজ্জায় ঘৃণায় বঙ্গের অঙ্গের অংশীদারীরা আজ ধষক আর ধর্ষিতা
গড়ের হিসেব আজ কাল পরশুরা কী জারজ !!!
সত্যি কী এদের কেউ কেউ মাতৃপরিচয়হীন কেউরা পিতৃপরিচয়হীন ?
শ্যামাঙ্গের আইন আদালত উকিল মোক্তার ভোক্তার দফাদার শাসক মোড়ল মোল্লা মাদবর সরদার কাজী
প্রশাসন প্রশাসকেরা সব কি আজ ভক্ষক ? !
দৈনদশার সরকার মগজহীন কিম্ভুতকিমাকার !!?
হেনকালের কাজীরা বিচারের বাজী পোড়ায় ঈশান গগণে মেঘের গরজন দেখে।
কালির চাষীরা খরিদ্দার শিকার যেন পসারিনীর বিষাক্ত জিহ্বায় কালের পোশাক পাল্টায়।
হে ভাষা ও মুক্তিকালীন আলোকিত সোনার বাঙলার সোনাসন্তানেরা, তোমরা কোথায় ?
বঙ্গের অঙ্গ তোমরা ছাড়া ভীষণ বিশ্রী বেমানান । তোমাদের খুব খুব করে দরকার আজ
আরেকটিবার চাই যুদ্ধের সাজ
ভাষা ও মুক্তি শহীদেরা যে পাচ্ছে লাজ ।
বেশ্যাদের লাইসেন্স দিচ্ছে সরকার দেদারছে,
সুদখোর ঘুষখোর মদখোর মদবিক্রেতা মাগীর দালাল চোর ছেচড়া
বাটপারদের বাপ বেটা মিলে যে যতোটা পারছে ততোটা নিয়ে পুকুরচুরি করে ফুলে ফেঁপে কলাগাছ হচ্ছে ।
৪৮ ৫২ ৭১ এখন এখানে ঊচ্ছিষ্ট, কাগজে কলমে সভা সেমিনারে শুধু আড়োষ্ঠদের আগডুম বাগডুম !
কড়িতে কি মেলে না ?
সব সবই মেলে, শুধুমাত্র ,একমাত্র সত্য ছাড়া ।
৭১ পর কালে নড়িহারা কবি সত্যের পথিক সম্বলহীন সাহসীদের
আজও যেতে হয় জেলে
এখানে সত্যকে জ্বালানো হচ্ছে বেগুনে আর তেলে। আফসোস্ ! আফসোস ! আফসোস !
নাস্তিকরাও নশ্বর হলে অভাব হয় না মাটির ,
শুধুমাত্র দলিলধারী করদাতা নটিবিনোদিনীরাই না পায় মাটি
না হয় খাটি।
বেশ্যায়ন নারীবাদ মানবতাবাদ উলঙ্গ শূন্য সংস্কৃতিতে ভুলে যাই
জাহান্নামের জীবন্ত জানোয়ারদের দুপুর বিকেল সন্ধা রাতের জঘন্য আকাঙ্খা মেটাতে
দুর্বিসহ প্রচ্ছন্ন যন্ত্রনা আর সংগ্রামী জীবনের অব্যক্ত কান্না
ওদের, লজ্জায় ভুলে যেতে হয় পাছে গোপন গোমরের কাপড় খুলে নেয়;
শ্রান্তির দেশে শান্ত হলে পরে
জাহান্নামের জীবন্ত পিশাচ জানোয়ারেরা
চোক্ষের জলের বদলে
নীপিড়ীত মুখে নিক্ষেপ করে কাশ ।
দলিল দস্তাবেজহীন জাহান্নামের জীবন্ত জানোয়ারো
যেন ফিরে পায় জান্নাত বাস ----।
জেনেছি যদ্দুর, সকল ধর্মে পতিত পতিতারা দোষী।
সম্ভবত বঙ্গের স্ত্রী অঙ্গধারী যৌনাঙ্গ বিকিকিনিরাই-ই যত নন্দঘোষী । জবরদস্তকারী সম্ভ্রমহরণকারী লেবাসধারী লুইচ্চা বেশ্যা বানানোর হোতা
বেশ্যাক্রেতা বেশ্যার দালালরা পুরোহীত যাজক মোল্লাদের মালমসলায় গঙ্গাস্নানে ধোয়া তুলসির পাতা,
ট্যাক্স টোকেন গ্রহণ দলিল দানকারী অথবা ভোক্তারা সরদার ডাক্তার ?
বাদ প্রতিবাদহীনরা কী পাক্কা সফেদ কবুতর ?
কলমের কলিজায় আজ ভীষণ অসহ্য ব্যাথা ।
হে মহান-দাতা ভাষা ও মুক্তি বীরেরা, কিছু একটা করবে কী ?
প্লিজ প্লিজ প্লিজ সময় করে মুখোমুখি আরশিতে একটু বসবে কী?
তেরাস্তা চাররাস্তা পঞ্চরাস্তার মোড়ে
দিনে বা রাতে
কিংবা লুকোচুরি আন্ধারে
ক্রেতা বিক্রেতা সহযোগী খোঁজে
পাক্কা গোয়েন্দাসম অনুসন্ধিসুর লালায়িত বেশ্যাদের মতো করে ।
আজ জৈবনের কাল বানে
পোলাপাইন খেকে শুরু করে দুপুর বিকেল গোধুলিরাও ঘর ভাঙ্গে ।
হায় বঙ্গ !!
তোমার অঙ্গের কোলে বিলিতি কুত্তা ঝোলে
ভবিষ্যতের কপালে কী দোলে,
খোঁজ করেছ কী পোলাই কই গ্যালে ?
সেদিনের বীরেরা গ্যালে কোথা আজ ?
দরকার আজ আরেকটি যুদ্ধের সাজ ।
লালসালুর মজিদরা আজ
নব নবারুণ ছকে ছলে বলে কাল কূট কৌশলে
গোলটেবিলে মানববন্ধনে শ্লোগানে মিছিলে মিছিলে
ইষ্টইন্ডিয়া বাহিনীসম ঘষেটি বেগম মীরজাফদের উপস্থিতিতে
আমরা আজ ভীষণ রকমের উদ্বিগ্ন, আলখেল্লার আলেযানের অবয়বধারী মজিদরা অবিক্রিত ধর্মকে
সুবিধামত সময়ের ফতোয়ায় বিক্রি করে বেড়ে উঠছে।
মিথ্যার প্রতিবাদকারীরা আজো চৌদ্দ শিকিতে মরে পঁচে ।
অতি ধুন্ধরন্ধর ধান্ধাবাজ বঙ্গের মজিদের ধান্ধার আন্ধারে ডুবে যাচ্ছে অত:পর
ওরা মগজ ভেজে ভেজে নাক ডুবিয়ে খাচ্ছে ।
কলমের কৃষকেরা জীউয়ের লগে গাজার ঘোরে ঘূর্ণায়মান ঘৃতিহাস লিখছে ।
হে আমাদের পিতৃতুল্য পিতৃব্য সর্ব্বজন শ্রদ্ধেয়
লাল সবুজের পতাকা দাতারা মানলেই কী হার!
এক্ষুনিই যে আরেকটি যুদ্ধ দরকার। হে চিরভাস্বর জ্যাজ্বল্যমান আলোকিত ভাষা ও স্বাধীনতার বীরেরা,
তোমাদের রক্ত ঢালা অস্ত্রের সামনে আত্মসমর্পন না করা ইজ্জত হারা
মা বোন ভ্রাতা ভগ্নি সন্তান সম্ভ্রম হারা
সব সার্বজনীন পরম শ্রদ্ধেয় মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় স্বজনেরা
তোমাদের স্বাধীন করা এদেশে এখন
প্রেমিক-প্রেমিকেরা হাত বদলায়
বাকশালী আর স্বৈরশাসকের কায়দায় ।
বিবাহ বহির্ভূত স্বেচ্ছাচারী যথেচ্ছ অবৈধ হরহামেশায় জন্ম নেয়া অগণন ভ্রুণরা আজ ও আগামীর
চাই বাঁচবার অধিকার ,
ওদেরকেও বাকশালী স্বৈরযন্ত্র কিংবা তালেবানী ধ্যান ধারনায়
ফেলে দেয়
ঘৃনিত অজ্ঞাত অপাংক্তেয়র আস্তানায়।
আজ এখানকার মাটি ও গাছেরা সন্ধ্যা অব্দি নির্দোষ !!
সর্ব্বপ্রকার আর প্রাকারের দোষ আগত আগামীদের ??
স্বাধীন সংবিধানের স্বাক্ষর রহিতকারী শয়তান ধর্মের অপব্যাখ্যাকারী জলজ্যান্ত জারজ জানোয়ার
সরকারী গাড়ীতে অবৈধ ঘুষের টাকা বহনকারী কালো বিড়াল
চার্তুয্য কথায় চোর
সত্য ধম ধ্বংসকারী
পরিচয়হীন বেওয়ারিশরা আজ এখন এখানকার মাথা
আবেগ বিবেক কলমচাষী সাধারণের নেই বিন্দুমাত্র ব্যাথা
ছিঃ ছিঃ ছিঃ !!!
ভাষার শহীদেরা করবে কী আবার আত্মহত্যা ? এই ব্যাথতার প্রতিকূলতা দেখে
বীর জীবিতরা কী এখনো আছো জেগে ?
হে আমাদের আলোক সন্তানেরা, কত্ত আর রবে নিরবে ?
আলোর মশাল হাতে ফিরে আসো আবার আমাদের তরে
আমার আগামীরা বাঁচতে চাই বেড়ে উঠতে চাই আকাশ ছুয়ে দেখতে চাই
তোমাদের কাছে আমাদের মুক্ত আকাশ চাই
ভালোবাসতে চাই তোমাদের মতো করে আমাদের এ দেশ মা মাটি মাতুভূমি
হে আলোর পিতারা তোমাদের আমরা পরম শ্রদ্ধায় চুমি ।
বিষয়: বিবিধ
১০৭২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন