মুসলমানের দেশ হলেও রাষ্ট্র তাদের কতটুকু
লিখেছেন লিখেছেন মুহম্মদ কামরুল হাসান ০৭ মে, ২০১৩, ১১:৩৫:০৫ সকাল
মদিনা সনদের শুরুতেই লেখা রয়েছে, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। তারপরে লেখা রয়েছে, এই চুক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা:-এর প থেকে জারি করা হলো। আরো বলা হয়েছে, চুক্তি নিয়ে কোনো মতভেদ দেখা দিলে ফয়সালা করবেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা: এবং সেই ফয়সালাই চূড়ান্ত ফয়সালা বলে গণ্য হবে।ক’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলে বসলেন, তিনি মদিনা সনদের ভিত্তিতে দেশ চালবেন। জানি না, কেন তিনি হঠাৎ এমন কথা বললেন। বিতর্ক সৃষ্টি করার জন্য যদি বলে থাকেন তাহলে তিনি সফল হয়েছেন। ইতোমধ্যে মদিনা সনদ নিয়ে অনেক কথা হয়ে গেছে। তিনিও এ ব্যাপারে এখন একেবারেই চুপ। হয়তো বুঝতে পেরেছেন, তাকে হিতাকাক্সীরা ভুল বুঝিয়েছেন।আওয়ামী লীগ সরকার মদিনা সনদের কতটুকু মানে?
স্বাধীনতার পর থেকে বিগত ৪২ বছর দেশটি শাসিত হয়েছে সেকুলার সংবিধান দ্বারা। ব্যক্তি হিসেবে জিয়াউর রহমান ছিলেন ধার্মিক। তিনিই সংবিধানে আল্লাহর নাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছিলেন। কিন্তু পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থা ঝুঁকে ছিল সেকুলারিজম বা ধর্মহীনতার দিকে। সচিব, বিচারক, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং সমাজের গুরুত্ব্পূর্ণ ব্যক্তিদের ধর্মচেতনার কোনো প্রয়োজন হয় না। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভূমিকা রাখে ধর্মের প্রতি বিরাগ সৃষ্টির জন্য। এমন বহু শিক ছিলেন যারা প্রকাশ্যে নিজেদের ধর্মহীন বলে প্রচার করতেন। অনেকেই ধর্মের বিরুদ্ধে বই লিখেছেন। অনেকেই বলে বেড়াতেন, ধর্ম বিজ্ঞান ও প্রগতিশীলতার বিরুদ্ধে। তারা ‘মুক্ত চিন্তা’র নামে নিয়মিত ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। সবাই নিজ ‘স্কুল অব থটস’ তৈরি করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। এটাও সত্য, জেনারেল এরশাদ রাজনীতি ও মতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার স্বার্থে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করেছিলেন এবং শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমান সরকার ধর্মের বিরুদ্ধে যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছে, বঙ্গবন্ধু কখনোই এমন কিছু করেননি।
এরশাদ মজুমদার
তারিখ: 7 May, 2013
লেখক : কবি ও ঐতিহ্য গবেষক
বিষয়: বিবিধ
১১০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন