আওয়ামীলীগের শক্তি।
লিখেছেন লিখেছেন রায়হানমোসি ১৯ অক্টোবর, ২০১৩, ০৬:৫৫:৫৫ সন্ধ্যা
লগি-বৈঠাধারী দস্যু শ্রেণীর ছাত্র ও যুবলীগ এবং পুলিশ-র্যাব দিয়ে বিএন পি জামাতের আন্দোলন আওয়ামীলীগ ঠেকাতে পারবে বলে মনে হয় না। জনগন আর ইসলাম বিরোধী আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাছাড়া বি এনপি জামাতের সাথে যোগ দেবে হেফাজত এবং ইসলামের জন্য জান কোরবান দেশের লক্ষ লক্ষ মুসলমান। কারণ ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে আওয়ামীলীগ ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু। অতএব আগামীতে এদেশের ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ আর আসতে পারবে না। তারা যদি পুরো দেশটাকে উন্নয়নের স্বর্ণ দিয়ে মুড়েও দেয় তবুও মুসলমানরা তাদের ঈমানের উন্নয়নকেই সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন বোঝে। যা আওয়ামীলীগ নানাভাবে ধংস করতে চেষ্টা করছে। তাছাড়া অসাম্প্রদায়িকতার তুবড়ি ছুটিয়ে ইচ্ছা করেই আনুপাতিক হারকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আওয়ামীলীগ সংখ্যালঘুদেরকে বেশি বেশি চাকরি দিয়েছে। অথচ ভারতে এই হার সর্বনিন্মে। জনগন বুঝে গেছে এই সরকার নানাভাবে মুসলমান ও ইসলামকে পৃথিবীর কাছে ঘৃণ্য করে হিন্দুত্ববাদীতাকে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। এবার ঈদে কোরবানীর বিরুদ্ধে এই সরকারের পোষা ইসলাম বিরোধীদের ঘৃণা ছড়ানো তারই প্রমাণ।
বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী নেতাদের ইসলাম বিরোধী কথা এখন হটকেক। এসব বৃথা যাবে বলে মনে হয় না।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়েও দেশি বিদেশি বিশাল অংশ নাখোশ। সরকারী সুবিধা প্রাপ্তদেরকে সাক্ষী হিসেবে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কিছু লোকের ইচ্ছাকে সরকার জাতির ইচ্ছা হিসেবে প্রচার করতে করতে সরকার নিজেই এখনো দ্বিধান্বিত। তাই তারা বিশ্ববাসির সহযোগিতা চাচ্ছে। সরকার ভাবছে জাতির বিশাল অংশ ঐ চিণ্হিত কিছু লোককে শনাক্ত করে ফেলেছে। এখন বিষয়টি জাতির ইচ্ছা নয় সেই কিছু লোকের ইচ্ছার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। নেতৃবর্গকে কলংকিত করে প্রকারান্তরে ইসলাম ও মুসলমানদেরকে কলংকিত করছে সরকার। যুদ্ধাপরাধের বিচারের সাথে সম্পৃক্ত সকলেই ইসলাম বিরোধী হিসেবে প্রচার পেয়েছে।
অতএব বিএনপি জামাত আন্দোলনে নামলে আওয়ামীলীগ তাদের জনসমর্থনহীন পুলিশ এবং লগিবৈঠাধারীদের দিয়ে কতটুকু সামাল দিতে পারবে!
বিষয়: বিবিধ
৭৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন