পিতা-মাতাকে খুন করার জন্য ঐশি দায়ী নয, দায়ী সরকার।
লিখেছেন লিখেছেন রায়হানমোসি ১৯ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:৫০:৪৮ রাত
এই সরকার নষ্ট-ভ্রষ্ট, মানবতাহীন, হৃদয়হীন একটা প্রজন্ম তৈরি করেছে। একজন ঐশি নয় এরকম হাজার হাজার ঐশি আছে বাংলাদেশে। এরা প্রতিনিয়ত দেখছে ভালো, সম্মানীত এবং সমাজ হিতৈষি মানুষ পদে পদে কিভাবে অসম্মানীত ও অপমানিত হচ্ছে এই সরকারের কাছে। মন্দের প্রতিবাদ করলে তাকে নির্যাতন এবং অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে। সকল জায়গায় শুধু অবিচার, অত্যাচার। মন্দের বিরুদ্ধে লড়াই করার যে প্রবণতা থাকে প্রতিটি সহজ-সরল কিশোর উত্তীর্ণ ছেলে-মেয়েদের মন জুড়ে তা স্বৈরাচারের ভয়ংকর হুঙ্কারে মূহুর্তেই চুপসে যাচ্ছে। এরা হয়ে যাচ্ছে বুদ্ধি প্রতিবন্দি। সৃজনশীল চিন্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এরা যখন স্কুলে পড়ে তখন সরকারের পোষা সাংবাদিক, শিল্পি তাদের স্কুলে গিয়ে তাদেরকে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ শিক্ষা দিচ্ছে। তাদেরই নামাজ পড়া, দাড়ি-টুপি পরা দাদা, চাচাদেরকে বলছে রাজাকার, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক। তাদেরকে ঘৃণা করতে বলছে। বলছে, বলো যুদ্ধাপরাধীর ফাসী চাই। ওরা জানেনা ফাসী কি! পরে শুনতে পাচ্ছে ফাসী মানে মৃত্যু, হত্যা। সরকারের সকলের মুখেই শুনছে ফাসী। ওরা ভাবছে, দেশের পরিচালক এবং তার সঙ্গি-সাথীরা সবাই হত্যা করতে চায় কেন। ওদের মনটাও তখন হত্যাকারী হতে চায়।
টিভি খুললেই শুনতে পাচ্ছে দেশ পরিচালক এবং তার সঙ্গি-সাথীদের হিংস্রতা মাখানো অশ্লীল বাক্যবাণ। অন্যের বিরুদ্ধে নিন্দা, অন্যের চরিত্র হরণ, এই কিছুদিন আগে যাদেরকে ভালো বলে ঐ একই টিভিতে তারা জেনেছে। একটা বিদ্বেষ পরায়ণ মন-মানসিকতা নিয়ে এরা বড় হচ্ছে। মানুষকে আর শ্রদ্ধা করতে পারছে না। মানুষের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। মানুষের প্রতি সরকার প্রধানের কি ঘৃণা, শুধু তিরস্কার, বদনাম আর অভিযোগ। কচি মন নষ্ট হতে শুরু করে। তাতে বাতাস দেয় শিক্ষক নামধারী, সাংবাদিক, ডক্টরেটধারী একশেণীর মানুষ। যাদের উপর কচি মনের শ্রদ্ধা থাকার কথা। কিন্তু না কোথাও এরা শ্রদ্ধা ভক্তি ভালোবাসা প্রেম এসব কিছুই দেখতে পায় না।
লেখাপড়া জানেনা, হয়তো কলেজও মাড়ায়নি এমন ধরণের পুলিশ সরকার প্রধানের নির্দেশে লেখাপড়া জানা উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গত দাবীকে তাদের লাঠি আর টিয়ারগ্যাস মেরে অপমানের সাগরে ডুবিয়ে হত্যা করছে।
বহুদিন ধরে বাস্তব চোখে দেখে আসছে কিছু বন্ধু-বান্ধব ক্লাসে কত ভালো রেজাল্ট করছে, তাদের আচরণ কত মধুর, উন্নত নৈতিক চরিত্র, হৃদয় ভরা অন্যের জন্য ভালবাসা, মমতা। হঠাৎ কদিন পরে দেখছে পুলিশ তাদেরকে এ্যরেষ্ট করছে, রিমান্ডে নিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিচ্ছে, অন্ধ করে দিচ্ছে। কি ব্যাপার! ওরা ছাত্রী সংস্থা অথবা শিবির করে। না ভালো আর হওয়া গেল না। বরং ছদু- মধু হওয়া দরকার। যার হাতে কালই রামদা দেখেছে বন্ধুর পিঠে কিরিস দিয়ে কোপ মারতে দেখেছে। কই পুলিশ তো তাকে কিছু বলে না। সে তো হোষ্টেলে সিটও পেয়ে গেল। যে ফার্ষ্ট হলো কলেজে তার চাকরী হলো না, হলো ঐ রামদাওয়ালার। না আর ভালো নয়। সরকার প্রধান এবং তার সঙ্গি-সাথীরা যে চরিত্রের মূল্যায়ন করে আমাকে তারই মত হতে হবে। এরা এইভাবে নষ্ট-ভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
অতএব হে বাঙ্গালী জাতি নিজের জন্য না হলেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সত্যের পথে মরে যাও। তোমাদের অন্ধকার পৃথিবীকে জীবন দিয়ে হলেও ওদের জন্য আলোকময় করে যাও।
বিষয়: বিবিধ
১১৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন