মিশরে প্রমাণিত হলো জনগনের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই এবং থাকে না।

লিখেছেন লিখেছেন রায়হানমোসি ১৪ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:৩৭:০৯ সন্ধ্যা

গণতন্ত্রের গাল ভরা বুলি 'জনগন সকল ক্ষমতার উৎস।' এর চেয়ে বড় প্রতারণা আর হয় না। ভোট দেবার অধিকারই প্রমাণ করে না জনগনের হাতে ক্ষমতা আছে। বরং গণতন্ত্রের নামে বিরোধীদের নামে হাজার হাজার মামলা দেয়া যেমন সম্ভব তেমনি মামলা থেকে নিজের লোকদের রেহাই দেয়াও সম্ভব। গণতন্ত্রের নামে বিরোধীদেরকে বিভিন্ন বানোয়াট অভিযোগে ফাঁসী দেয় সম্ভব। মোট কথা গণতন্ত্রের নামে পৃথিবীতে চলছে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার সকল প্রকার হীন কর্মকান্ড। তারা যেটা করে সেটা গণতান্ত্রিক এবং আইনসম্মত।

আর বিরোধীরা যত ভালোই করুক তারা বিভিন্ন কাল্পনিক ও বানোয়াট অভিযোগে বিরোধীদেরকে অভিযুক্ত করবেই।

নিরীহ সম্মানীত মানুষের চরিত্র হনন, বিরোধীদেরকে মেরে কেটে শেষ করে দেয়া, সকল প্রচার যন্ত্রকে নিজেদের কুৎসিত স্বার্থ উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করা, যুবশ্রেণীর সৃজনশীল ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়া, পতিতাদেরকে সম্মান দেখিয়ে সাধারণ মেয়েদেরকে পতিতাবৃত্তিতে উৎসাহিত করা, এমন হাজার ঘৃণ্য কর্মকে প্রতিনিয়ত আবাদ করার নামই গণতন্ত্র।

ইসলাম এসেছিল এই ধরণের পশুত্বকে নির্মূল করে সত্যিকার অর্থে ক্ষমতাসীনদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে তাদেরকে সেবক বানিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতা দিতে।

তাই ক্ষমতাসীনরা ইসলাম ও মুসলমানদেরকে নির্মূল করতে চায়।

আসলে জনগনের হাতে কোনো ক্ষমতাই নেই। নেই, নেই নেই।

ক্ষমতা হচ্ছে, যার হাতে অস্ত্র শক্তি আছে তার হাতে। তারা সংখ্যায় কম হলেও। তারা আল্লাহর নির্দেশ মানলে তাদেরকেই আল্লাহ জয়ী করান।

যারা মানবতার কল্যানকামী, যারা পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাদেরকে অবশ্যই অস্ত্র শক্তির মালিক হতে হবে। দস্যুতার বিরুদ্ধে নীতি কথা দিয়ে কাজ হয় না, দস্যুতার বিরুদ্ধে ন্যায়ের পথে শক্তির ব্যবহার করতে হবে।

পবিত্র কোরআন এবং রসূল স:-এর কর্ম পদ্ধতি পড়ে এটাই বুঝেছি।

যে ইখওয়ান দুর্ধর্ষ ইসরাইলের বিরুদ্ধ যুদ্ধ করেছে ১৯৪৯ সালে, তারা গণতন্ত্রের প্রতারক ব্যবসায়ীদেরকে বিশ্বাস করে, এমন গণতন্ত্রী হয়েছে যে শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশ করেছে দিনের পর দিন, তাদের গণতন্ত্রী মানসিকতার কোন মূল্য পাশ্চাত্য গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালারা দেয় নাই। এখন মার খাওয়া ছাড়া উপায়ও নাই।

অতএব কোরআনের কাছে, রসূল স:-এর আদর্শের কাছে ফিরতেই হবে যারা মুসলিম নামের দাবীদার তাদেরকে।

যতই পাশ্চাত্য তাদেরকে তালেবান বা আলকায়দা বলুক।

মনে রাখতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে মুসলমানদের সেই কাজকে শত্রুরা ঘৃণ্য ও আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে যা সত্যিকার ইসলামী।

বিষয়: বিবিধ

১২০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File