জামাতের সিনিয়র নেতাদের জেলে পুরে আওয়ামীলীগ প্রচন্ড ভুল করেছে।

লিখেছেন লিখেছেন রায়হানমোসি ১৩ আগস্ট, ২০১৩, ০১:৫৭:৫১ দুপুর

জামাতের সিনিয়র নেতারা সহনশীল এবং অতিমাত্রায় ধৈর্যশীল এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিগত বছরগুলিতে বিশেষ করে কিছু ইসলাম বিরোধী পত্রিকা (নতুন প্রজন্ম তাই মনে করে)জামাত ও শিবিরের বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই মিথ্যাচার করেছে এখনো করে যাচ্ছে, জামাত শিবির প্রতিবাদ করলে তারা সেই প্রতিবাদও ছাপায় না।

আওয়ামী সরকার বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছে, সে নির্যাতনের মাত্রা আজ সকল মানবিক বোধকেও হার মানিয়েছে। ইসলামের খেদমতের জন্য যারা জীবনপাত করে যাচ্ছিল তাদেরকে ইসলামের দুশমন বানিয়ে সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। মূলত ইসলামকেই অপমান অপদস্ত করেছে।

এতকিছুর পরও সিনিয়র নেতারা যখন জেলের বাইরে ছিলেন তখন কোন প্রতিশোধমূলক অবস্থানে যান নাই। এই নিয়ে তারা অন্যান্ন যুব নেতা কর্মীদের চাপের মুখে পড়েছেন।

এবং আজ সরকার যাকে জিহাদী বই বলে প্রচারণা চালায় সেই সব বইতে আসলে শান্তির বাণী ছড়ানো, সেই সব বইতে কোরান হাদিসের রেফারেন্স আছে, সেগুলি পড়িয়ে তাদেরকে শান্ত করেছেন। যুব নেতা কর্মীরা তার উপরই দ্বিধাহীনভাবে আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া সিনিয়ার নেতারা তাদের উৎকৃষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে যুব শ্রেণীর কাছে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত থেকেছেন।

বর্তমানে তারা সরকারের জেলে। সরকার তাদের মৃত্যু চাচ্ছে।

তরুণ প্রজন্ম এখন সংগঠনের হাল ধরতে যাচ্ছে। সরকার যে ভাবে জামাত শিবির এবং তাদের সমর্থকদের যেখানে পাচ্ছে আটক করছে বা ছাত্রলীগ শিবির সন্দেহে ধোলাই দিয়ে পুলিশে দিচ্ছে, রিমান্ডে প্রাগৈতিহাসিক যুগের অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন করা হচ্ছে, তাতে পোড় খাওয়া তরুণ প্রজন্মের নেতারা কতটুকু ধৈর্য অবলম্বন করতে পাবেন তা কেউ জানে না। তবে ফল যাই হোক তা ভালো পরিণতি বয়ে আনবে না। সবাই স্বীকার করবেন যে তরুণদের ধৈর্য কম।

দ্বিতীয়ত: তরুণরা যে সবাই জামাত শিবিরের ক্যাডার তা ভাবার কোন কারণ নেই। আওয়ামীলীগেও এমন তরুণ আছে যারা কেয়ামত হয়ে গেলেও মুসলমানদের স্বার্থে কাজ করে থাকে। কোন বিঘ্ন ঘটলে ইসলামের জন্য জীবন দিতেও দ্বিধা করে না। মনে রাখা দরকার হাতে গোনা কিছু ইসলাম বিরোধী পরিবার বাদে সকল মুসলিম পরিবারে জন্মের সঙ্গে সঙ্গে কানে আযান দেয়া হয়।

জামাত 'ইসলামী' দল নয় সরকারের এই প্রচারণা ধোপে টিকেনি। বরং এখন ইসলাম বিরোধী মওলানাদেরও মুখোশ খুলে যাচ্ছে।

যাই হোক আওয়ামী সরকার ইসলাম ও মুসলিম বিরোধীতা করতে গিয়ে তরুণ মুসলিমদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে নিজেরই ক্ষতি করেছে বলে অনেকে ভাবছেন।

বিশেষ করে যে মূহুর্তে পশ্চিম বঙ্গের মমতা ব্যাণার্জি সমাজে শন্তির জন্য তাদের ধর্মীয় নেতাদেরকে সম্মান দিয়ে দায়িত্ব অর্পন করছেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিম সংগঠনের নেতাদেরকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে হিন্দু এলাকায় হিন্দু ধর্মীয় নেতাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি মনে করেন লোকে ধর্মীয় নেতাদেরকে শ্রদ্ধা করে তাদেরকে মান্য করে, অতএব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সাহায্য কেন নেব না। কিন্তু চরম ইসলাম বিদ্বেষী আওয়ামী সরকারের সে বোধোদয় হয়নি বলেই দেশের আজ চরম দুরাবস্থা। প্রতিটি ঈমানদার মুসলমান ইসলামের দুশমন আওয়ামীলীগের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File