আওয়ামীলীগ যে মুসলমানদের চরম দুশমন তার প্রমাণ
লিখেছেন লিখেছেন রায়হানমোসি ২২ মে, ২০১৩, ০৮:৪২:১৪ রাত
এ পর্যন্ত আওযামীলীগ সরকারের হাতে যারা নির্যাতিত হয়েছেন তারা সবাই ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থে কথা বলেছেন বা লিখেছেন। সর্ব শেষ উদাহরণ আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তাঁর লেখাগুলো আপনারা পড়ে দেখুন। তিনি শুধু বাংলাদেশের মুসলমানদের স্বার্থে লেখেন নি, বরং বিশ্বের সকল মুসলমানদের স্বার্থেই লিখেছেন।
মুসলমানরা নিগৃহীত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে, সুবিচার পাচ্ছে না ইত্যাদি তিনি উদাহরণ দিয়ে দিয়ে লিখেছেন। কি করলে মুসলমানরা নিজেদেরকে চিনতে পারবে, স্বপরিচয়ে আত্মমর্যাদার সাথে বেঁচে থাকতে পারবে সে বিষয়েও লিখেছেন। তরুণ সমাজকে ইতিহাস চর্চা করতে বলেছেন। মোট কথা মুসলমানদের সর্বাঙ্গীন ভাবে জেগে উঠার জন্য তিনি তাঁর লেখাগুলিতে আহবান জানিয়েছেন।
আওয়ামীলীগ যদি ইসলাম ও মুসলমানদের চরম শত্রু না হবে তবে মুসলমানদের স্বার্থে লেখার জন্য মাহমুদুর রহমানকে পুরস্কৃত করতো। তা যখন করেনি বরং উল্টো তার জীবনটাই শেষ করে দিতে চাচ্ছে তখন অবশ্যই সত্য এটাই যে আওয়ামীলীগ মুসলমানদের শত্রু। যে জন্য মুসলমানদের কল্যাণ চাওয়াকে তারা বরছে ধর্মীয় উসকানী। অথচ মাহমুদুর রহমানের কার্যক্রমের কোথাও সেই উসকানী পাওয়া যায় না। বরং তিনি মুসলমানদের জাগরণের কথা বলেছেন। বৃটিশ আমলে যে ভাবে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক বলতেন, শহীদ সোরয়াহরর্দ্দী বলতেন, আবুল মুনসুর আহমেদ বলতেন। সেই সব নেতারাই এই দেশকে ১৯৪৭ সালে স্বাধীন করেছিলেন। আওয়ামীলীগ মাহমুদুর রহমানকে শাস্তি দিয়ে সেই সব নেতাদেরকেই শাস্তি দিচ্ছে। মাহমুদুর রহমান যদি উসকানী দিয়ে থাকেন তবে তো সেই সব নেতারাও উসকানী দিয়েছিলেন।
হাসানুল হক ইনু এদেশের স্বাধীনতায় কি বিশ্বাস করেন? কারণ তিনি বলেছিলেন ধর্মীয় ভিত্তিতে এদেশের স্বাধীনতা লাভ ঠিক হয়নি। তবে কিসের ভিত্তিতে স্বাধীনতা লাভ ঠিক হতো? আওয়ামীলীগের বেশিরভাগ নেতারা দ্বীজাতি তত্বে বিশ্বাস করেন না। তা হলে তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন কি করে?
আজ তারাই মুসলমানদের সকল শক্তিকে ধংস করে দিতে চাচ্ছে। রাজনৈতিক দল, টিভি চ্যানেল, পত্রিকার পর এখন ধংস হবে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গুলো।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন