১৯৭১-এ আওয়ামীলীগের মানবতা বিরোধী অপরাধ। ১লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।
লিখেছেন লিখেছেন বুদ্ধু ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:৪২:১৫ দুপুর
এই সময়ে শেখ মুজিবের শাসনই জারি ছিল। তার আদেশ-নির্দেশ মোতাবেক তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের সামরিক বেসামরিক প্রশাসন চলতো। দিনপঞ্জিতে দেখানো হয়েছে আওয়ামীলীগের পৈশাচিকতা এবং হিংস্রতা। এর বিচার হলে বাংলাদেশ আজ এই অরাজক পরিস্থিতির শিকার হতো না। এই কলঙ্ক না মুছতে পারলে বাংলাদেশের রক্ষা নাই।
দি ইস্ট পাকিস্তান ট্রাজেডি’ বই থেকে উদ্ধৃতি দেয়া হলো। লেখক এল. রাশব্র“ক উইলিয়ামস। তিনি ঐ সময়ে ভারতের জনসংযোগ পরিচালক ছিলেন।
রংপুর, দিনাজপুর, কুমিল্লা, সৈয়দপুর, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রাজশাহী।
‘মার্চ মাসব্যাপী এই সকল স্থানে অবাঙ্গালীদের সম্পদ লুটপাট, তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, বোমা নিক্ষেপ ও অসংখ্যা অবাঙ্গালী হত্যা করা হয়েছিল। সৈয়দপুর সেনানিবাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। বগুড়ার সান্তাহারে পনের হাজারের অধিক অবাঙ্গালী ঘেরাও করে হত্যা করা হয়েছিল। এখানে মহিলাদের উলঙ্গ করে রাস্তায় হাটান হয়েছিল, অসংখ্য শিশুকে ঘরের মধ্যে দুই পা ধরে তাদের মাথা দেয়ালের সাথে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল। সেনাবাহিনী পরে ঐ সব শিশুদের মাথার মগজ দেয়ালে লেগে থাকতে দেখেছিল। ময়মনসিংহের শানকি পাড়ায় প্রায় দুই হাজার জন লোককে ধরে নিয়ে ঠান্ডা মাথায হত্যা করা হয়েছিল এবং তাদের মহিলা দ্বারা ঐ সব মৃত পুরুষ মানুষদের কবর খুড়িয়ে নেয়া হয়েছিল। এইরূপ পরিস্থিতিতে একজন মৌলভী প্রায় পনেরশ’ জন মহিলাকে মসজিদে আশ্রয় দিয়েছিল আওয়ামী উগ্র কর্মীদের বিরোধীতা সত্ত্বেও।’
এই রকম নৃশংস বহু হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেয়া আছে উক্ত বইতে। কিন্তু সেই মানবতইবরোধী অপরাধের কি হবে!
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন