ইটস এ চেতনা উইথ কনফিউসিং জেন্ডার
লিখেছেন লিখেছেন নব্য দার্শনিক ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:৩৭:৪৭ রাত
(বন্ধুদের প্রতি বৈশাখী কনফেশন)
অবস্থা এমন হয়েছে যে সব কিছু বিকৃতভাবে চালাতে হবেই ধর্ম,সংস্কৃতি......আমারে তোরা কি দেখাবি যখন একটা উপলক্ষ খোঁজা হয় অশ্লীলতা করার জন্য যখন একটা উপলক্ষ খোঁজা হয় বিকৃত রুচিবোধের প্রকাশ করার জন্য,আবার এখানে নাকি শিখানো হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা!!! মনে হয় একদিন এক সাথে গরুর মাংস বা কাছিম খাওয়ার মাধ্যমে প্রমান দিতে হবে অসাম্প্রদায়িকতার। 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'(!) তে ব্যবহার করা চীনা সংষ্কৃতির ড্রাগন, উত্তর ভারতীয় সংষ্কৃতির ময়ুর, আফ্রিকান কুমির, থাইল্যান্ডের হাতি, শ্রীলংকান মুখোশ।যখন সংস্কৃতি শেখানো বিদ্যালয়ের এত অসঙ্গতি হলে শিক্ষার্থীদের কি অবস্থা হবে.........আবার এই চেতনাধারিরা(যারা মুসলিম) বেশীরভাগই না জানে কোরআন না জানে ইসলামের ইতিহাস,দোস্ত বড় দুঃখ হয় এই না মুসলিম না বাঙ্গালী চেতনা দেখলে...............এই ভূখণ্ডে যেভাবে যুগ যুগ ধরে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক সাথে বাস করছে সেটা পৃথিবীর ইতিহাসে অসাম্প্রদায়িকতার উজ্জল দৃষ্টান্ত। এখানে কৃষক,মোল্লা,মাঝি-মাল্লা যুগ যুগ ধরে একসাথে থেকেছে আনন্দে,দুর্ভিক্ষে।আমি মনে করি এটাই বোধহয় বাঙ্গালী সংস্কৃত, বাঙ্গালী চেতনা
কিন্তু কিছু অমুসলিম,অবাঙালিরা যখন বলে মৌলবাদীরা বাঙ্গালী চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। তখন সবাই ভাবে একজন মুসলিম যেহেতু বলছে নিশ্চয় ইসলাম ধর্ম বাঙ্গালী চেতনার সাথে সাংঘরশিক।এবং দুঃখ জনক ভাবে এখন এদের হাতে আমাদের মতপ্রকাশের মাধ্যমগুলি,এরা মনে করে বাঙ্গালির ছেলে মুসলিম হবে কেন??( আকাশ থেকে পড়ার দরকার নাই ,হ্যাঁ আমি মুন্নি সাহা, জয় ই মামুন গংদের কথা বলছি)। মজার ব্যাপার হল এই ভূখণ্ডে যত জাতিসত্তা আছে তাদের যদি প্রকৃত ইসলামিক চেতনা সম্পর্কে জানানো যায় তবে বাঙ্গালীর চেতনার সত্যিকারের প্রতিফলন(সৌহার্দ ও ঐক্য) ঘটবে বলে আমি মনে করি অন্তত আল-কোরআন ও ইসলামের ইতিহাস তাই বলে(যদি কেও না মানে বা অবিশ্বাসী হয় ভিন্ন কথা)
দুঃখজনক ভাবে মুন্নি সাহা টাইপের কনফিউসিং জেন্ডারের মানুষেরা এই সংস্কৃতিকে তাদের মত কনফিউসিং করে ফেলেছে এবং তাদের পাতা ফাঁদে দিচ্ছে তারুণ্যে উন্মাদ যুবসমাজ যারা বীরদর্পে মহৎ বৈশাখী বানী দিয়ে বলছে অপসংস্কৃতি আর মোল্লাবাদ দূর হোক, নিপাত যাক.......
কিন্তু এখান থেকেই দানা বাদছে চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িকতা,৯০ ভাগ মুসলিমের দেশে যেখানে ইমরান সরকার,মুন্নি সাহা, থাবা বাবাদের বাইরে অন্তত কম করে ১০ কোটি ইসলাম প্রিয় মুসলিম আছে তাদেরকে ভিন্নভাবে দেখতে শিখছে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা যারা এক সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে পথ চলেছে হাজার বছর ধরে।আমার বিশ্বাস এভাবে চলতে থাকলে এমন একটা প্রজন্ম আসবে যাদের কাছে ইসলাম ও আলেম হাস্যকর বিষয়ে পরিনত হবে(কারন তাদের মেনটর থাকবে মুসলিম নামধারী অমুসলিমরা,বাঙ্গালী নামধারী অন্য জাতিসত্তার দালালরা)। এখনই যদি আমরা এটাকে বন্ধ না করতে পারি তবে এমন দিন আসবে যখন পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের গল্প শুনে অবাক হবে।সব চেয়ে বড়কথা আমরা হারবো যুগ যুগ ধরে গড়ে তোলা অটুট সম্পর্কের বন্ধন,ইসলামী লেবাসধারীদের থেকে ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় করা শুরু করেছে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা তারা মনে করছে ইসলামী বিধান আধুনিকতা বর্জিত,কিন্তু এরা জানছে না যে ইসলাম কত সুন্দর, কত আধুনিক.........মূলকথা হল উভয় পক্ষের কাছে যারা বানী পৌঁছে দিচ্ছে তাদের ভাবটা এমন,
মুসলিমদের প্রতিঃ বাংলা সংস্কৃতির মুল প্রতিপাদ্য বিষয় হল মূর্তিপুজা ও শিরক করা(বিভিন্ন ব্যাপারের প্রতি এত গুরত্ত দেয়া হয় যা এই সংস্কৃতির মূলধারার সাথে খুবই সাঙ্ঘরশিক)
অন্যান্যদের প্রতিঃ হাজার বছরেরে এই বাঙ্গালী চেতনার সবচেয়ে বড় অভিশাপ হল মোল্লারা যাদের ফতোয়ার কারনে এই চেতনা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
তাদের এই প্রচেষ্টা খুব সার্থকভাবে এগিয়ে চলছে আমাদের বিভক্তি ও অন্ধত্তের কারনে,আমি বন্ধুদের সরাসরি বলব তোরা একটু ইসলামের ইতিহাসটা পর,বাঙ্গালীর ইতিহাস দেখ দুইটারই মুল কথা হল অন্যায়,অবিচার, মিথ্যার বিপক্ষে ও সত্য,ন্যায়,সৌহার্দের পক্ষে।তাই মৌলবাদি বা অবিশ্বাসী নয় আমাদের মুলপ্রতিপক্ষ হল তারা যারা আমাদের সামনে ইসলাম ও বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে মুখোমুখি দাড় করিয়েছে।
যারা ইসলামের শিক্ষা ও বাঙ্গালীর ইতিহাস,ঐতিহ্য সম্পর্কে অজ্ঞ। যাদের চেতনায় না আছে ইসলাম না আছে প্রকৃত বাঙ্গালীর আদর্শ,তাদের শিক্ষা শুধু অন্ধই করবেনা বরং ঠেলে দিবে চূড়ান্ত ধ্বংসের দিকে,তাই আমাদের মহান দায়িত্ব এই তথাকথিত সুশীলদের সাথে নির্দিষ্ট দুরত্ত বজায় রাখা
সো কিপ ডিসট্যান্ট অ্যান্ড সেইফ ইউর জেন্ডার বিকস ইটস এ চেতনা উইথ কনফিউসিং জেন্ডার
(ঝি কে মেরে বৌকে শেখানোর মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা)
বিষয়: বিবিধ
১২৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন