পেছন ফিরে দেখা
লিখেছেন লিখেছেন টোকাই বাবু ২০ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:৫৩:৩৫ রাত
প্রবাদ আছে________
বসতে দিলে খেতে চায়,
খেতে দিলে শুতে চায়,
আর শুতে দিলে পুরোটাই নিজের করে নিতে চায়।।।
মাইর এর উপর কোনো ওষুধ নাই।।। কুড়িগ্রামে বড়াইবাড়ী র কথা ভুলে গেছে।
আমার দেশের কিছু কিছু উদ্দুজীবী আছে- যারা দাবী করে ভারতের মুসলমানরা নাকি আমার দেশের হিন্দুদের চেয়ে ভালো আছে।।। তাদের জন্যে এই সামান্য ইনফরমেশন____
বাংলাদেশের অনেক হিন্দুরাও বলে থাকে- ‘বাংলাদেশের হিন্দুদের তুলনায় ভারতের মুসলমানরা অনেক সুখে আছে। তাদের উপর কোনো ধরনের যুলুম নিপীড়ন হয় না।’
১৯৬১ থেকে ২০০৬ ঈসায়ী সাল পর্যন্ত ভারতে মুসলিম নিধনে বড় বড় দাঙ্গার একটি পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে হিন্দু মুশরিকদের দ্বারা নির্মম যুলুমের শিকার ভারতের মুসলমানরা কি ধরনের সুখে আছে:
দাঙ্গার সাল ও স্থান:
১৯৬১-এর অক্টোবরে আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬২-তে মধ্য প্রদেশের জাবালপুরে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৪-তে মহারাষ্ট্রের ভিভান্ডিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৭-তে বিহারের রানচিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৯-তে গুজরাটের আহমেদাবাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭০-এ মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দি, জালগন ও মালাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭১-এ বিহারে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭৮-এ আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭৮-৮০ সাল পর্যন্ত বিহারের জামশেদপুর ও উত্তর প্রদেশের ভানারসিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮০-তে উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮১-তে আলিগড়ের মিনাকশিপুরাম ও বিহারাশরীফে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮২-তে উত্তর প্রদেশে মিরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৩-তে আসামে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৩-তে কর্নটকের ভাটাকালে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৬-তে বিহারে নেওয়াদাতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৭-তে উত্তর প্রদেশের মিরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৯-তে বিহারের ভাগলপুরে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯০-৯১-এ আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯২-৯৩-এ মুম্বাই, সুরাট, আহমদাবাদ, কানপুর, দিল্লিসহ সমগ্র ভারতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯৭-এ তামিলনাড়–তে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
২০০০-এ আহমদাবাদসহ বেশ কয়েক এলাকা মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
২০০১-এ কানপুর, মালিগাও তে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
২০০২-এ গুজরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা সংঘটিত হয়।
আরেকটি হিসেব:
২০০৩-এ মুসলিম নিধনে মোট ৭১১টি দাঙ্গা
২০০৪-এ মুসলিম নিধনে মোট ৬৭৭টি দাঙ্গা
২০০৫-এ মুসলিম নিধনে মোট ৭৭৯টি দাঙ্গা
২০০৬-এ মুসলিম নিধনে মোট ৬৯৮টি দাঙ্গা সংঘটিত হয়।
(Source: Riots and its Aftermath by Shashank Shekhar)
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৪৮ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সেখানে মুসলিম নিধনে লক্ষাধিক দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছে, যেখানে মারা গেছে কয়েক কোটি মুসলমান। কিন্তু সে হিসেবে বাংলাদেশের হিন্দুরা কি একটা দাঙ্গার উদাহরণ দেখাতে পারবে- যেখানে হিন্দু নিধন করা হয়েছে? কখনোই পারবে না। যে হিন্দুরা বলে, ‘বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে,’ তারা আসলেই মিথ্যাবাদী।
ভারতে মুসলিম নিধনে ৪৮ বছরে দাঙ্গা ২০ হাজারেরও বেশি, বাংলাদেশে তা কোথায়?
ভারতে মুসলিম নিধনে যে কত নিকৃষ্ট কার্যক্রম চলেছে তার সঠিক কোন হিসেব নেই। এক্ষেত্রে ভারত সরকার যে হিসেব দিয়েছে তাই মাথা ঘুরিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনাললের হিসেবে অনুযায়ী দেশবিভাগের পর ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ৩৯ বছরে মুসলিমবিরোধী বড় ধরনের দাঙ্গা সংখ্যা প্রায় ১৩,৩৫৬টি। ২০০১-২০০৯ পর্যন্ত ৬,৫৫৪টি। সর্বশেষ ২০১২ সালে দাঙ্গার সংখ্যা ৫৬০টি। সেই হিসেবে সম্মিলিত হিসেব পাওয়া না গেলেও মোট ৪৮ (৩৯+৮+১) বছরে দাঙ্গার সংখ্যা দাড়ায় ২০,৪৭০টি। অর্থ্যাৎ গড়ে প্রতিদিন একটিরও বেশি।
১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদ দাঙ্গা, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গা, ২০১২ সালে আসাম দাঙ্গায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় শহীদ করা হয় লক্ষ লক্ষ মুসলমান উনাদের।
এত্তো কিছুর পরও মুসলমানরা (বাংলাদেশ) নাকি সাম্প্রদায়িক দেশ, তাকে অসাম্প্রদায়ীক রাষ্ট হিসেবে পরিচিত করার জন্য ওরা কাজ করছে।
সম্মানীত বিবেকবান পাঠকদের কাছেই বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ রইল।
বিষয়: বিবিধ
১৬৬০ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পাকিস্তানের সাথে এই পোষ্টের সম্পর্ক কোথাই। এখানে তো ভারত আর বাংলাদেশ নিয়ে কথা হচ্ছে। মি. খেলাঘর মনের সংকির্ণতা থেকে বেরিয়ে এসে লেখুন।
পাকিস্তানের সাথে এই পোষ্টের সম্পর্ক কোথাই। এখানে তো ভারত আর বাংলাদেশ নিয়ে কথা হচ্ছে। মি. খেলাঘর মনের সংকির্ণতা থেকে বেরিয়ে এসে লেখুন।
পাকিস্তানের সাথে এই পোষ্টের সম্পর্ক কোথাই। এখানে তো ভারত আর বাংলাদেশ নিয়ে কথা হচ্ছে। মি. খেলাঘর মনের সংকির্ণতা থেকে বেরিয়ে এসে লেখুন।
ভাই
মন্তব্য করতে লগইন করুন