অ্যানিমেশন শিল্পে গণিত ও বিজ্ঞান জড়িত এবং দেশের প্রথম অস্কারজয়ী তরুণ প্রকৌশলী নাফিস বিন জাফর

লিখেছেন লিখেছেন টোকাই বাবু ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:২৩:১০ রাত



বর্তমানে আমরা অনেকেই কম-বেশি অ্যানিমেশন মুভি দেখছি। তবে কেউ কি ভেবেছেন এসব মুভিতে বড় পরিসরে কাজ করছেন বাঙালি তরুণেরা। শুধু কাজই করছেন না, এসব তরুণের হাতের ছোঁয়ায় হলিউডের মুভিতে আসছে নতুনত্ব।





চলচ্চিত্রে অ্যানিমেশন তৈরি করা এক ধরনের গাণিতিক বিশ্লেষণ সমাধান করার মতোই। এখানে একই সাথে অনেক বিষয়ের প্রতি নজর রাখতে হয়। অ্যানিমেশন ও গ্রাফিকসের জন্য গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়টি জানা জরুরি।

অবাক করার বিষয় হলোপাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান : অ্যাট ওয়ার্ল্ডস ইন্ড মুভিতে অ্যানিমেশন কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশী সফটওয়্যার প্রকৌশলী নাফিস বিন জাফর ২০০৭ সালে সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল বিভাগে বিশ্ব চলচ্চিত্রের নোবেল খ্যাত অস্কার (অ্যাকাডেমিক অ্যাওয়ার্ডস) জয় করেছেন।



বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান নাফিস ১৯৭৮ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা জাফর বিন বাশার নিউ ইয়র্কে একটি অ্যাকাউন্টিং ফার্মে কর্মরত। আর মা নাফিসা জাফর গৃহিণী। দাদাবাড়ি রাজবাড়ীর কাজীকান্দা। নানাবাড়ি বিক্রমপুরের টঙ্গিবাড়ী থানার রামপারা। শৈশবে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবং এর পরে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্ট্যান্ডার্ড সিক্স শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন।১১ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালে বাবার সাথে সপরিবারে আমেরিকার সাউথ ক্যারোলাইনার চার্লসটনে পাড়ি জামান। সেখানে কলেজ অব চার্লসটন থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

২০০০ সালে ডিজিটাল ডোমেইন নামক প্রতিষ্ঠান দিয়ে কাজের শুরু। আর বর্তমানে ড্রিম ওয়ার্ক অ্যানিমেশনে অ্যানিমেশনের পাশাপাশি সফটওয়্যার ডেভেলপের কাজও করছেন।

নাফিস বলেন, কোনো কাজ কখনো পুরস্কার পাওয়ার জন্য করিনি। পুরস্কার পাওয়ার কথা জেনেও কেন জানি খুব বেশি উৎফুল্ল হইনি । তবে যখন পুরস্কারটা পেয়েছি, আমার বাবা-মা, আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই খুবই খুশি হয়েছেন। পরে মনে হয়েছে, আমি বোধ হয় বড় কিছুই অর্জন করতে পেরেছি।

দেশের প্রথম অস্কারজয়ী তরুণ প্রকৌশলী নাফিস বিন জাফর বিস্তারিতclick here

বিষয়: বিবিধ

১৩৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File