একজন মাহমুদুর রহমান । অধিকার ও সত্য-মিথ্যার দ্বন্ধ
লিখেছেন লিখেছেন টোকাই বাবু ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:১৬:২৬ বিকাল
মাহমুদুর রহমান একটি নাম, একটি দেশ, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৈাত্ব রক্ষা এবং সত্যের প্রতীক। একজন মানুষ তখনই কাউকে আঘাত করে যখন সে তার প্রতিদ্বন্ধী হয়ে উঠে অথবা তার স্বার্থে আঘাত লাগে। জনাব মাহমুদুর রহমান অত্যান্ত দক্ষভাবে, সচেতনতার সাথে বিগত জোট সরকারের সময় বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও ২০০৫ সালে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। দেশবাসী তার সততা দেখছে। ২০০৮ সালে তিনি বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলীর মালিকানাধীন আমার দেশ পত্রিকার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেন। সে সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
বাকশালীরা মাত্র তের মিনিটে তাকে গ্রেপ্তারের কাজ শেষ করেন। এসময় তাকে নূন্যতম প্রস্তুতির সময় না দিয়ে বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিশ্ব গণমাধ্যমে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের খবর
গ্রেফতারের পরপরই ওয়াশিংটন পোস্ট, আল জাজিরা, বিবিসি, এএফপি, এপিসহ বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়।
এএফপির খবরে বলা হয়, দেশব্যাপী বিরোধী দলের ২ শতাধিক নেতাকে গ্রেফতারের পরেই মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আমার দেশ সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক মাসে আমার দেশ-এর সার্কুলেশন বেড়ে ২ লাখে উন্নীত হয়েছে। (প্রকৃতপক্ষে ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে)। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ভিজিট করা ওয়েসাইটের মধ্যে আমার দেশ-এর ওয়েবসাইট অন্যতম।
আল জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আমার দেশ সরকার বিরোধী শীর্ষস্থানীয় দৈনিক। সম্প্রতি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ ও সরকার বিরোধী অবস্থানে কারণে পত্রিকাটির প্রচারসংখ্যা এবং ওয়েবসাইট পাঠক উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, সহিংসতায় উসকানিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিরোধী দলের সমর্থক আমার দেশ সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়।
বিবিসি বাংলাও তাত্ক্ষণিকভাবে গ্রেফতারের খবর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করে।
গর্ভমেন্ট গেছে পাগল হইয়া তারা একটা রায় চায়-এই শিরোনামে স্কাইপি সংলাপ প্রকাশ করার পর থেকে আলোচনা, সমালোচনার ঝড় উঠে।
সরকার তথাকথিক ট্রাইবুনাল নিয়ে সে এক মহা বিপদে পড়ে। সারা পৃথিবী দেখল, জানল গনতন্ত্রের মানসকন্যা, শান্তির পায়ড়া শেখ হাসিনার বিচারের নমুনা। এরপর পর একেক করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ যেন সরকারকে আরো এক হাত দিল। আ,লীগ শাহবাগীদের দিয়ে একটু খেলা দেখাতে চাইল কিন্তু নিয়তি তার বাধ সাজল। তারা বলল দেশ এখন দুভাগে বিভক্ত- এক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর একটি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। আর আমার দেশ তাদের আন্দোলনের নামে চাদাবাজি, যৌন তৃপ্তি আর বেহায়াপনা তুলে ধরল। কেচো খুড়তে সাপ বেড়িয়ে এল। নাস্তিক ব্লগারদের ইসলাম ধর্ম বিদ্ধেশী চরিত্র বাংলার ধর্মপ্রান মুসলমানরা জেনে গেল। এভাবে সম্পাদক সাহেব জিহাদের ভূমিকায় অবতীর্ন হলেন। শুরু হল বাংলার আপামর জনমাধারনের দেশ, ঈমান ও ইসলাম রক্ষার আন্দোলন। আগে অনেকের বিভ্রান্ত ছিল- জামায়াতকে নিয়ে। কিন্তু সরকারের নাস্তিকমুখী আদর্শের জন্য সবার আর বুঝতে বাকী থাকল না এরা কারা, কি চায়। প্রশ্ন উঠল এরা মুসলমান না নাস্তিক। শুরু হল এক অহিংস আন্দোলন। বাংলার ইতিহাসে (সরকারের হরতাল, হামলা, গাড়ী না দেওয়া এতসবের পরও) লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশ ছিল বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচিত।
সম্প্রতী প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়ন খরচ, তার সুযোগ্য সন্তানের কানাডা মামলা এছাড়া বিভিন্ন সময় সরকারের ও তার মন্ত্রীদের দূ ির্নতী অনিয়মের খবর প্রকাশ। সর্বশেষ স্বাধীনতার স্খপতি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের কিছু তথ্য (উকিপিডিয়া থেকে) প্রকাশের উদ্দোগ যেন কাল হল এই দেশপ্রেমীক বীরের।
এবার চলুন দেখা যাক তাকে গ্রেপতারের কারণ-
* আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের একজন বিচারপতির কথোপকথন পত্রিকায় ফাঁস করার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দু’টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাসুদুর রহমান(উপ-কমিশনার, ঢাকা মহানগর পুলিশ)
*ব্লগারদের লেখা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশ করে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা। স্বরাষ্টপ্রতিমন্ত্রী.
কেন এই গ্রেপতার-
*সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সত্যিকার খোলশ প্রকাশ।
*তাদের দূর্নীতী (হলমার্ক কেলেন্কারী, শেয়ার বাজার, পদ্ধা সেতু ইত্যাদি)প্রকাশ করা।
*দেশকে ধর্মহীন করার ষড়ষন্ত্র ফাস।
*ভারত মাতাকে খুশী করার ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া কারণ আমার দেশ পত্রিকা করিডোর,ট্রানজিট নিয়ে রিপোর্ট করা।
*বিশ্বজিৎ হত্যা।
*রেলে কালো বিড়াল।
*আর সবশেষে আস্তিক আর নাস্তিক।
তাই আর কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে জেল। অন্ততপক্ষে কিছুদিন তো সময় পাওয়া যাবে। কিন্তু তাতে আসলে কতপুকু লাভ হবে। কারণ এরই মধ্যে হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি এজহারুল ইসলাম সহ ইসলামী দলগুলো হরতাল আহ্ববান করেছে।
সাহসী, দেশপ্রেমিক ও ঈমানী চেতনার এই সাংবাদিক জনাব মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবী করছি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন