উনি হয়তো ভূলেই গিয়েছেন এটা ভদ্র মানুষদের বসবাসের স্থান
লিখেছেন লিখেছেন নাইমুল হক ০৫ জুন, ২০১৩, ০৮:৩১:৩৪ সকাল
বেহায়া...
শব্দটি আপনাদের অতি-পরিচিত।কিন্তু তা কতটা নিম্ন স্তরের হতে পারে সেটা হয়তো আপনারা জানেন না,আসুন একটু জেনে নেয়।মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছে,কিন্তু কেন?কিসের জন্য এই স্বাধীনতা?পাকিস্তানীদের হাতে দেশটা চলে গেলে নতুন করে সবকিছুই তাদের মত করে গড়ে তুলতে হত যাতে আমাদের ঐতিহ্যবাহী কোন কালচার স্থান পেতনা,সুতরাং এদেশের সংস্কৃতি,শিক্ষা,ভাষা,সামাজিকতা ইত্যাদির জন্যই জীবন দিয়ে দামাল ছেলেরা রাষ্ট্রকে স্বাধীন করেছে।আমি আজকের দামাল ছেলেদেরকে বলছি তোমাদের ঐতিহ্য-পূর্ণ সংস্কৃতিকে শক্রুরা হামলা করে কেড়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে তবে ওরা দমে যায়নি এখন ওরা শাসকরুপে এসেছে।সমকামিতা এমন একটা শব্দ দেশের ৮০%জনগণ তার অর্থ জানেনা।সমকামিতা শব্দের বিশ্লেষণ হল সম+কাম অর্থাৎ উভয়ের কামবাসনা তথা যৌন কর্মের অধিকার, প্রচলিত অর্থে নারীর সাথে নারী এবং পুরুষের সাথে পুরুষ যৌন কর্ম করা এবং স্বামী স্ত্রীর মত সংসার করা আর এগুলোকে বৈধতা দেওয়ায় হল সমকামী আইন।আশির দশকে আমেরিকা সহ পশ্চাত্যের বিভিন্ন রাষ্ট্রের নাগরিকেরা গোপনে সমকামিতার প্রতি প্রবলভাবে আসক্ত হয়ে পড়ে,প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিন্তু আমাদের দেশের মানুষেরা যেমন স্বামী স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সুখে সংসার করে সেখানে তার বিপরীত,ফলে এর প্রতি আসক্তি বেড়েই চলে।পরবর্তীতে নব্বইয়ের দশকে আমেরিকার বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের স্বামী তৎকালীন আমেরিকার প্রধান মন্ত্রী বিল-ক্লিনটন নিজে সমকামী হওয়ায় এটার প্রতি জনগণের অপরাধ-বোধ ক্রমেই দূর হয়ে যায় এবং দীর্ঘ বিশ বছর পরে বারাক ওবামার ইশারায় সেটার বৈধতা দিয়ে আইন পাশ করা হয়।ওদের সংস্কৃতি ওরা পালন করছে।আমাদের দেশের সংস্কৃতি হল গ্রামের নারীরা মেঠো পথে চলার পথে কোন পুরুষের দেখা পেলে ঘোমটা দিয়ে অন্যদিকে ফিরে নিজেকে আড়াল করবে,আজান দিলে মাথায় কাপড় দিবে,শহুরে মেয়েরা আর যাইহোক মা বাবাকে মেনে চলবে,বড়দের গোপনীয় বিষয়ে মাথা ঘামাবেনা যৌনতার ব্যাপারে সবাই খুবই গোপনীয়তা বজায় রাখবে ইত্যাদি।আমাদের দেশের স্বকীয়তা,স্বাধীনতা,সংস্কৃতি আমাদের প্রাণ।বাংলাদেশের মানুষ কোনদিন সমকামিতার বৈধতার জন্য আন্দোলন করেনি,তাদের চরিত্রের মাঝে এজাতীয় স্বভাবও মহামারি আকার ধারণ করেনি বরং এটাকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ঘৃণা করে,ঐ নামটাও পরিবারের সদস্যদের মাঝে উচ্চারণ করতে আমাদের সংস্কৃতিতে বাধা দেয়,সেটাকে আমাদের সংস্কৃতির উপরে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।আমাদের উপরে ভাড়াতে সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল আইয়ুব খান,বীর দামাল ছেলেরা তাকে চরমভাবে শিক্ষা দিয়ে খেদিয়েছে,বিয়াল্লিশ বছর পরে শাসকের বেসে কিছু মানষরুপী জানোয়ার আমাদের উপরে এমন ন্যাকেট সংস্কৃতিকে চাপিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে যা আমাদের দ্বারা করাতো দূরে থাক আমাদের সন্তানেরা এগুলো মুখে আনলে তাদের ভাত বন্ধ করে দেওয়া হয়।কোথায় সেই বীরেরা গর্জে উঠো আরেকবার,সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে ছুটে এসো সব পঙ্গপাল।সব শেষে পরিষ্কার ভাবে বলছি,ডঃ দিপু মনি,পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে পশ্চিমা দেশগুলোতে একটু বেশী যাওয়া আসা করছো,এর মাঝে বুড়ো বয়সে হয়তো নোংরামি স্বভাবটাকেও স্বাদরে গ্রহণ করেছো,কিন্তু তোমার এ লুচ্চামিকে বৈধতা দেওয়ার যে ধোয়া তুমি তুলেছো তা পূরণ হওয়ার স্বপ্ন মন থেকে ঝেড়ে ফেল,এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে এটা ভদ্র মানুষদের বসবাসের দেশ,আমেরিকার মত কুত্তা শুয়ারের বসবাসের স্থান এটা নয়,সমকামিতার বৈধতা লাগবে গরু ছাগল কুত্তা শুয়ারের জন্য,তুমি নিজে যেটা হয়েছো।বরং গোপনে যে আকাম গুলো করেছো সে গুলোর প্রায়শ্চিত্ত করার ব্যাপারে ভাব,আমি ভাবছি মন্ত্রিত্বটা আগে যাক তার পরে গ্রামের মোড়ল মাতুব্বদের দিয়ে তোমার নষ্টামির বিচার করে মাথা নেড়া করে গলায় জুতার মালা দিয়ে সারা গ্রাম ঘুরানো হবে,তখন বুঝবে বাঙ্গালী সংস্কৃতি কি জিনিস।বেহায়া কোথাকার!!!
***নাঈমুল হক***
বিষয়: বিবিধ
১৩১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন