নাস্তিকদের চোখে ঝাল ঘষা দেওয়ার কাজ চলছে।

লিখেছেন লিখেছেন নাইমুল হক ৩০ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:১৫:০৩ রাত

আহমাদ শফী সাহেব হেলিকাপ্টরে উঠে আকাশে উড়ে চলেছেন আর এদিকে কিছু কার্তিকে কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে করতে তার পিছু নিয়ে উড়াল দিতে যেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে মুখের দবা সেরে দিয়েছে।নাস্তিকদের পা চাটা আওয়ামী নামধারী কিছু জানোয়ার বলছে আহমাদ শফী সাহেব এত টাকা পাইলো কোথাই?আমরা না হয় সারা জীবন দেশের হতভাগা জনগণের টাকা আত্বসাদ করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছি,ঘুষ খেয়ে খেয়ে ভুঁড়ি মোটা করেছি,টেন্ডার বাজি ও চাঁদাবাজি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছি সুতরাং আমাদের টাকা আছে আমরা এসি রুমে থাকতেই পারি,আমরা হেলিকাপ্টরে,বিমানে চড়তেই পারি কারণ আমাদের অর্থ আছে,কিন্তু মোল্লারা এত টাকা পাইলো কোথায় আমাদের মত গোপন ইনকামের উৎস তো তাদের নাই।আসলে কুকুর পায়খানা খেতে অনেক মজা পায় এটাই তার কাছে শ্রেষ্ঠ খাবার বিরিয়ানি পোলাও কাচ্চির মজাতো দুরের কথা তার কাছে এটার কোন অনুভূতিই নেই,হারাম খাইতে খাইতে আর তা দিয়ে বিলাসিতা করতে করতে হালাল উপার্যন দিয়ে যে কোটিপতি হওয়া যায়,সুদ ঘুষ না খেয়ে জনগণের টাকা আত্বসাদ না করেও যে সম্পদশালী হওয়া যায় সেটা ওরা জানেইনা।আজকে এক হতচ্ছরা তার স্ট্যাটাসে লিখেছে যে আজ থেকে আর কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা মাদ্রাসার জন্য আসলে তাদের দান করবোনা কারণ এরাও দুর্নীতি করে উপার্যন করে আমি বলি আরে শয়তান আল্লাহ তায়ালা তোর মত নাস্তিককে দ্বীনের খেদমতের জন্য কবুল করবেনা।আজকে অনেকেই কওমি মাদ্রাসার দান অনুদান গ্রহণকে কটাক্ষ করেছে আমি তাদের অবগতির জন্য বলছি গোটা দেশের মধ্যে যতগুলো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে সব গুলো দান খয়রাতের অর্থ দিয়ে চলে,যতগুলো রাজনৈতিক সংগঠন আছে এগুলো দলের সদস্য ও কর্মীদের ইয়ানতের অর্থ দ্বারা চলে,বেসরকারি যত সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আছে সব খয়রাতের টাকায় চলে এবং যারা এই অর্থ প্রদান করে তারা এ দ্বারা সামান্য বাহবা ছাড়া আর কিছুই পায়না পক্ষান্তরে যারা মাদ্রাসায় ও ইসলামের কাজে দান করে তারা এর প্রতিদান দুনিয়া আখেরাত উভয় জগতেই পায়।নাস্তিকরা মনে করে দুনিয়ার ভোগ বিলাসিতা শুধু ওদের জন্য অথচ তারা জানেনা যে ব্যাক্তি আল্লাহর জন্য হয় গোটা দুনিয়া তার হয়ে যায়।বাংলাদেশে এমনও ব্যাক্তি আছে যারা ফজরের নামাজ পড়ে বাংলাদেশে আর যোহরের নামাজ পড়ে মক্কা শরীফে,এমন ধনী ব্যাক্তি আছে যারা প্রত্যেক জুম্মার নামাজ পড়তে মক্কা শরীফে সফর করে,এমনও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক আছে যাদের আয়ের উৎস শুধুই মাদ্রাসাই চাকরি আর ঈমামতি কিন্তু প্রতি বছর নিয়মিত হজ্ব করে এবং রমজানে এতে-কাফ করে মক্কা শরীফে।সুতরাং হালাল উপার্যন দিয়ে কোটিপতি হওয়া অবশ্যই সম্ভব।যারা মনে করে হুজুর মানুষ মানেই গরীব,খয়রাতি টাকায় চলে তারা বোকার স্বর্গে পড়ে আছে।হাদিস শরীফে রাসুল সঃ বলেছেন যারা শান সৌকতে বা নরম বিছানায় আরামে বসে আল্লাহর জিকির করবে তারা বেশী সওয়াবের অধিকারী হবে সুতরাং আহমাদ শফী সাহেবের মত আল্লার খাছ বান্দা যখন বিমানে উঠে তার পবিত্র জবান দ্বারা মাওলা পাককে স্বরণ করে বলবে ''আলহামদুলিল্লাহ ''আল্লাহু আঁকবার'' এটাই অতি উত্তম।হযরতের হেলিকাপ্টরে সফর করাটা মোটেও বিলাসিতা হয়নি বরং উপযুক্ত কাজ হয়েছে,তিরানব্বই বছরের একজন বৃদ্ধ মানুষ কোটি কোটি জনগণের সংগ্রামের নেতৃত্ব প্রদান করছে,যে দুইজন মানুষের সহযোগিতা ছাড়া চলতে পারেনা,আন্দোলনের কাজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মুহূর্তের মধ্যেই পৌঁছানো দরকার পড়ছে,রাজপথে এত দীর্ঘ সময় সফর করা এই মাজুর মানুষটির জন্য খুবই কষ্ট সাধ্য,সুতরাং এটা বিলাসিতা নয় বরং যথোপযুক্ত হয়েছে।আমি মনে করি তের দফা বাস্তবায়নের আন্দোলন যতদিন চলবে এবং এর জন্য হযরতের যতগুলো সফরের প্রয়োজন পড়বে তার সবগুলো যেন হেলিকাপ্টরে হয় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।আর বিলাসিতা হয়েছে দুর্ধর্ষ খুনি,লম্পট,অভিশপ্ত সোহেল রাণাকে হেলিকাপ্টরে এনে,কৈ তখনতো কোন দালালের বাচ্চা ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর করলোনা?ঐ জানোয়ারকে গাড়ির পেছনে দড়িতে বেধে রাস্তায় সোয়ায়ে দিয়ে টানতে টানতে আনা দরকার ছিল।সুতরাং মন্তব্য করতে যেয়ে এমন কিছু না বলাই ভাল যাতে নিজেদের গোমর ফাঁক হয়ে যায়।আর একটা কথা মনে রাখা দরকার যে হুজুর মানেই গরীব এই ধারনাটা একটা সেকেলে ধারনা,যারা এটা ভাববে তারা জ্ঞানের দিক থেকে কত বছর পিছিয়ে যাবে তা হাসানুল হক ঈনুর কাছে ফোন করে জেনে নিবেন।অর্থনৈতিক ভাবে সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম ক্রমান্বয়ে উন্নতি লাভ করছে যা সম্পূর্ণ হালাল পন্থায় ইনশাল্লাহ সেই দিন বেশী দুরে নয় যে দিন এদেশের হক্কানি ওলামায়ে কেরামের প্রচেষ্টায় একটি অর্থনৈতিক বিপ্লব সংগঠিত হবে যখন দেশের শাসনকার্য থেকে শুরু করে ব্যবসা বাণিজ্য সহ সর্ব স্তরেই তাদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মত যা নাস্তিকদের চোখে ঝাল ঘষা দেওয়ার কাজ করব সেই গতিতেই কাজ চলছে।

বিষয়: বিবিধ

১৩৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File