চটির ক্ষতি

লিখেছেন লিখেছেন নাইমুল হক ২৩ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:১৯:৩২ রাত

বয়রা তথা কানে কম শুনে এই রকম মানুষকে বলা হয় একটা আর করে আরেকটা,আমাদের রাষ্ট্রের সম্মানিত অভিবাভকদের হয়েছে সেই দশা,ইসলাম পন্থিরা নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবিতে বিরতিহীন আন্দোলন করছে আর সরকার তাদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ইসলাম পন্থী ব্লগারদের প্রতিরোধে ব্যস্ত।নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে দেখা যায় ধর্ম মানুষকে ন্যায়পরায়ণ হতে শিখায় সুতরাং যারা ইসলামী ব্লগার তাদের লেখা দ্বারা নাগরিকদের মাঝে নৈতিবাচক কোন প্রভাব ফেলেনা বরং মঙ্গল জনক শিক্ষা পায় তাদের লেখা যদি উপকার নাও করে অন্তত ক্ষতি করেনা।অপরদিকে নাস্তিকরা যা লেখে তাতে উস্কানি দেওয়া,সমালোচনা করা আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ইঙ্গিত ছাড়া কিছুই থাকেনা।আর চটি লেখকদের আর তার এডমিনদের কথাতো আরো আগে নিতে হয়,ফেজ-বুকে বাংলা চটি,১৮+পেজ,এডাল্ট পেজ সহ এজাতীয় পেজে যে ভায়ায় গল্প দেওয়া হয় আর সহজে চরিত্র নষ্ট করার শিক্ষা দেওয়া তা সত্যিই সভ্যতাকে চরমভাবে হার-মানায়।কিছু কিছু যৌন কর্মী বিভিন্ন অশ্লীল পেজে কমেন্টে বা ওয়ালে ঘোষণা দেয় এরকম''যে সব মেয়েরা বা আন্টিরা নিরাপদ সেক্স পার্টনার খুঁজছেন তারা আমার সাথে যোগাযোগ করুন অবশ্যই পরিচয় গোপন থাকবে আমার সাইজ....আমি এত সময়...আপনি খুব....''ইত্যাদি লেখা থাকে যার ফলে পরিবারের নিবিড় শাসনে বেড়ে ওঠা সৎচরিত্রবান ছেলেমেয়েরা সহজেই বেশ্যা বা খর্দের বনে যায় যা গোপনই থেকে যায়।এই ইন্টারনেট এসে মানুষ যে এত নিচে নামবে তা ভাবতেও অবাক লাগে,আপনারা ভাবছেন এসব লিখে আমি আরো অপরাধ করছি,না তা নয় সমাজের বাস্তব অবস্থা আগে বা পরে মানুষ জানবেই,সুতরাং যথা সময়ে তা জানলে প্রতিরোধ করা সম্ভব,পৃথিবীর ইতিহাসে এত নোংরা গল্প,কলাম ইতিপূর্বে কোন সম্প্রদায় লিখছে বলে আমার মনে হয়না,এতে অভিশপ্ত মেয়ে তার হতভাগা বাবার সাথে,ভাই বোন সহ আত্নীয় সজন তথা মাহ-রামদের সাথে যৌনাচার করার প্রতি প্রবলভাবে উৎসাহ প্রদান করা হয় এবং এজাতীয় বাস্তব গল্প পোস্ট করা হয়,এই লেখা পড়ে যারা অবাক হচ্ছেন তাদের বলছি এই চটি সাইড আরো আশ্চর্য জনক ভাবে তরুণদের মানসিকতা চেঞ্চ করেছে আর তা হল মধ্য বয়সী নারীদেরকে কৌশলে অপকর্মে লিপ্ত করা এবং তুলনামুলকভাবে এদের শরীরকেই আনন্দদায়ক হিসাবে আখ্যায়িত করা হয় ফলে যেই বয়সে তার সন্তানকে এই নোংরামি থেকে ফিরায়ে রাখবে সে সময় নিজেই বাংলা চটির ভয়ংকর প্রভাবে পরকীয়ার মাধ্যমে হিংশ্রো জানোয়ারে পরিণত হয়।আত্নীয় স্বজনদের মধ্যে যেমন মামি চাচি ইত্যাদিদের সঙ্গে দেখা দেওয়া ইসলামে হারাম,এই বিধানটা অনেকেই অপছন্দ করে এবং এটা মানেনা মানার প্রয়োজন ও মনে করেনা কিন্তু আল্লাহ যে বিধান দিয়েছেন সেখানে যে এস্কাল করতে নেই বরং এর মধ্যেই কল্যাণ নিহিত থাকে,যারা ভাবতেন এরাতো মায়ের মত এদের সাথে পর্দা করার কি দরকার তারা এখন কি বলবেন?যারা আমার এই লেখা পড়ে আমার বিরুদ্ধে কমেন্টে লেখার জন্য আঙ্গুল নাড়াচ্ছেন তাদের বলছি আমার এই লেখা কয়জন পড়ছে আর কতটুকু খারাপ হবে?আপনি কি জানেন ফেজ-বুকে বিভিন্ন পেজের সবচেয়ে বেশী লাইক পাই কোন পেজ গুলো?একটা চটি পেজের বয়স হয়তো দুইতিন মাস কিন্তু তার লাইকার পঞ্চাশ হাজার থেকে শুরু করে আশি নব্বই লক্ষ বা তার থেকে বেশী,অথচ আমরা ভাল পেজ চালাই যাতে ইসলামী এবং সামাজিক পোষ্ট দেওয়া হয় কিন্তু লাইকারের অভাবে মন ভেঙ্গে যায় যাহোক ঐ রকম দশটা পেজ যদি থাকে তাহলে ৯০% ফেজ-বুক ইউজারেরা এই সব পেজের লাইকার আর এরা নিয়মিত সমাজে ঘটমান নোংরামির ঘটনা গুলো চরম অশ্লীল ভাষায় পড়ে যা পড়ে ক্রমান্বয়ে দেশের শিশু কিশোর,যুবক যুবতী ও বিভিন্ন বয়সের জনগণ চরিত্র নষ্ট করছে এবং সমাজকে করছে জাহিলিয়্যাতের থেকেও কলঙ্কিত।কই একজন লেখক,একজন বুদ্ধিজীবী,একজন ব্লগার,একজন রাজনীতিবিদও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাতো বলেনা? ইসলাম নিয়ে লেখালেখি করলে সরকার তাকে দমন করতে নির্দেশ দেয়,ইসলামের জন্য লেখার অপরাধে শান্তশিষ্ট ফারাবি শফিউর রহমান ভাইকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয় কিন্তু কই একজন চটি লেখককেও তো সরকার সমাজ নষ্ট করার অপরাধে গ্রেফতার করলনা বরং জাফর ইকবালের মত অশ্লীলতার ইঙ্গিতকারী লেখককে সম্মানিত করল।পরিশেষে আপনাদেরকে এত টুকুই বলি এখনো সময় আছে এই সব অশ্লীল পেজ বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে আন্দোলন করুন নচেৎ বর্তমানের সময়টা এক সময় ইতিহাসের এত ঘৃণ্য স্থান দখল করবে যা জাহেলিয়্যাতকেও হার মানাবে।

বিষয়: বিবিধ

৫১১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File