নববর্ষ উদযাপনের নামে দেশের সাথে গাদ্দারি কেন?
লিখেছেন লিখেছেন নাইমুল হক ১৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:২৮:২৯ দুপুর
গত কাল রাত বারটার পর থেকে চ্যাটে,মোবাইলে অনেকেই নববর্ষের শূভচ্ছা জানিয়ে আমাকে ম্যাসেজ দিয়েছে।তবে দুঃখের বিষয় হল আমি কারো রিপ্লাই দিতে পারি নাই,এর পেছনে অবশ্য কিছু কারণ আছে।প্রথমত শরীয়ত এটার ব্যপারে নিষেধ করেছে,অনেকে বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে আমার কথার বিরোধীতা করতে পারেন,আমি এতটুকু বুঝি মতভেদ পূর্ণ ব্যাপারে বা নতুন উদ্ভব কোন বিষয়ে যুগের হক্কানী ওলামায়ে কেরামগন যেটা করবেন সেটাই শরীয়তের ফায়সালা।এই থিউরি অনুযায়ী আমি দেশের একজন আলেমকেও গতানুগতিক পদ্ধতিতে নববর্ষ উদযাপন করতে বা এগুলোকে সমর্থন দিতে দেখি নাই সুতরাং এগুলো ইসলাম বিরোধী কাজ কোন মুসলমান এটা করতে পারেনা।
দিতীয়ত সারা বছর কাচ্চি পোলাউ বিরিয়ানি গ্রিল চাইনিজ কাবাব ইত্যাদি ছাড়া অন্য খাবারকে গ্রহন করার কথা চিন্তাও করতে পারেনা বরং বাঙ্গালির জাতীয় খাবার পান্তাভাত আর ইলিশ মাছ দিয়ে উল্লাস করতে করতে ভোজন সম্পন্ন করেন।যে সব গরীব অভাবী মানুষেরা ৩৬৫ দিনের প্রতিদিন সকালে ভক্তিভরে আহার করে তাদের কষ্টের খাবারকে বিনদোনের মাধ্যম করে তারা কখনো দেশ প্রেমীক নয় আর তাদের এ মাখামাখিকে আমি উদযাপন করতে নারাজ।আমি নববর্ষকে পালন করতে বিরোধীতা করার সবচেয়ে বড় কারন যেটা তা হল যারা সকালে পান্তা ইলিশ খেয়ে গায়ে ঢোল তবলার ফটো আঁকা শাড়ি আর পা জামা পাঞ্জাবি পরে সারাদিন বাংলা নববর্ষ পালন করেছে সেই তারাই সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হিন্দ আর ইংলিশ গানের তালে তালে বিয়ার গিলতে গিলতে টাল খায়।যদি জিজ্ঞেস করি কেন বাংলা গান কি নায় তখন হয়তো বলবে এসব সেকেলে গানে শরীর গরম হয়না,আমি মনে এটা বাংলাদেশের সাথে বাংলাদেশের স্বধীনতার সাথে গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের সাথে ইতিহাস খ্যাত গাদ্দারির সমতুল্ল্য।সুতরাং তথাকথিত হিন্দুয়ানী প্রথা মেনে নববর্ষ উদযাপনের নামে আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের মাটি ও শহীদ গাজী মানুষের চেতনার সাথে গদ্দারি করতে পারবোনা।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন