গাদ্দারদের খুজে বের করতে হবে
লিখেছেন লিখেছেন নাইমুল হক ১৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:০৮:৪০ রাত
কি আর লিখবো,দুঃখে কষ্টে লেখার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।ইতিহাস থেকে জেনেছি নবাব সিরাজুদ্দৌলা ভারত বর্ষের শাসক থাকাকালে তিনি অল্প বয়স ও অভিজ্ঞতাই ছোট হওয়ায় যুদ্ধের সময় তার প্রধান সেনাপতি মীরজাফর এর উপরে যাবতীয় দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন,মীরজাফরও তার স্বার্থ হাসিলের মানসে নিজেকে সিরাজুদ্দৌলার দৃষ্টিতে বিশ্বস্ত ও একনিষ্ঠ বিবেচিত হতে যা করার তাই করেছিল,ফলে যুদ্ধের সময় ইংরেজদের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা অনুযায়ী মীরজাফর কাজ করতে থাকে ফলে মুসলমানেরা পরাজিত হয়,সিরাজুদ্দৌলাকে হত্যা করা হয়,এই একজন ব্যক্তির গাদ্দারির মাধ্যমে ভারতবর্ষ থেকে মুসলমানদের রাজত্ব হাতছাড়া হয় এবং আজো মুসলমানরা তা ফিরে পায়নি।ইতিহাস আমাকে আরো অবগত করেছে,আশির দশকে বাংলাদেশে আল্লামা মোহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জ্বী হুজুর রহঃ বটগাছ মার্কায় যখন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন,তখন দেশের কওমী,আলিয়ার আলেমগন,তাবলীগের সাথীরা সহ সর্বশ্রেণীর মুসলমানেরা হযরতকে সমর্থন দিয়েছিল এবং শক্ত একটা ইসলামী প্লাটফর্ম তৈরি করেছিল,কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস কিছু চাটুকার,বাতিল শক্তির হক-রুপী গাদ্দার কৌশলে কিছু কাজ করে যার ফলে একতার মাঝে বিভক্তি এসে যায় এবং সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে নির্বচনে বাতিল বিজয়ী হয়,বিশ্লেষকদের মতে তখন ঐ বহুরূপী স্বার্থপর গাদ্দারেরা যদি গোপনে বেঈমানি না করত তাহলে এই সবুজ বাংলাদেশের সংবিধান থেকে আজকে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দেওয়া,ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের আইন করা,আল্লাহ তায়ালা,রাসূল সঃ ও কোরআন হাদিসকে নিয়ে অসভ্য ভাষায় কটূক্তি করা ইত্যাদির মত ঘটনা আমাদের দেখতে হতনা বরং বিশ্বের নজরে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি হযরত ওমরের শাসন ব্যবস্থার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে স্বগর্বে মাথা উঁচু করে থাকত।প্রিয় পাঠক,যে দুটো ইতিহাস আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম তাতে নিশ্চয় আপনার বুঝতে বাকী নায় যে হক্ব যখনই বিশাল জনবল ও ঈমানী শক্তি নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং বাতিল বুঝতে পারে এর সাথে সরাসরি মোকাবেলা করা সম্ভব নয় তখন কৌশলে তাদের নেতৃত্ব-স্থানীয়দের মাঝে তাদের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুখোশ-ধারী কর্মী পাঠায় অথবা তাদের মধ্য থেকেই কাউকে প্রলোভনে ফেলে এমন কিছু করিয়ে দেয় যার ফলে ঐক্য নিমিষেই ধুলিশ্বাত হয়ে যায়,হাজেজ্জ্বী হুজুর রহ এর সাথে সে সময় কৌশলে সে সব আলেম নামধারী ও রাজনীতিবিদরা গাদ্দারী করেছিল তারা আজো বেচে আছে এবং গর্বভরে কেউ ইসলাম নিয়ে আর কেউ গতানুগতিক গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনীতি করে যাচ্ছে,আমি তাদের নাম বলে ডেকে ষাঁড় পল-গাদায় নিয়ে আসতে চাইনা,শুধু এতটুকু বলছি তারা সুখে নেই।আমি বিশ্বাস করি চল্লিশ বছর আগে যারা পাপ করেছে তাদের যদি বিচারের কাঠ গড়াই দাড়াতে হয় তাহলে অবশ্যই যারা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হয়েছিল তাদের চরম শাস্তি দেশবাসী অবলোকন করবে।সম্প্রতি দেশে আবার সেই ঐক্যের পরিবেশ আসার আভাস পাওয়া যাচ্ছে ।যে সময় সর্বশ্রেণীর মুসলমানেরা এক হতে শুরু করেছে আর বাতিল সম্মুখ যুদ্ধে মোকাবেলা করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে,ঠিক সে সময় পূর্বের সেই চক্রান্তকারীরা পুরানো কৌশল অবলম্বন করে বিভেদ সৃষ্টি করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে,তারই ধারাবাহিকতায় এই আন্দোলনের মধ্যে বড় চেয়ারে বসা কিছু নেতা এই ঐক্যের পেছনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী নেতৃবৃন্দকে অপমান অপদস্থ করতে মরিয়া হয়ে গেছে,কারণ চক্রান্তকারীরা জানে ঐক্যে ভাঙ্গতে হলে আগে মুল শক্তি ভাঙ্গতে হবে যে কারণে ইসলাম রক্ষার আন্দোলনে কোটি কোটি মুসলমানের আধ্যাত্মিক নেতা ও এই ঐক্যের অন্যতম সংগঠককে সাধারণের মাঝে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ইসলামের শক্রদেরকে,হাফেজ্জ্বী হুজুরের সাথে গাদ্দারীকারীদেরকে কোলে টেনে সম্মান দেখানো হচ্ছে।আমি সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের কাছে আবেদন জানাচ্ছি,সামান্য কিছু বড় বড় ভুল ইতিমধ্যেই আপনাদেরকে দিয়ে করানো হয়েছে আর এরকম আরো কিছু ঘটনা যদি ঘটে তাহলে চক্রান্তকারীরা অচিরেই পূর্বের মত সফল হবে।অতএব আমি সম্মানিত ইসলাম প্রেমিক নেতা কর্মীদেরকে বলছি অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গোপনে বাতিলের পা চাটা গোলাম আর প্রকাশ্যে ষ্টেইজের কর্তা ও ইসলামের সেবক সেজে বসে থাকা ঘৃণ্য মানবরুপী শয়তানদের চিহিৃত করে ইসলামী জনতার ঐক্যের পথ শক্তিশালী করুন।আর যদি এই বিশ্লেষণের পরেও যদি চাটুকার ধরতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার ব্যর্থ চেষ্টা বন্ধ করুন,কারণ আপনি এক বছর কষ্ট করে যে ফসল অর্জন করবেন এক মুহূর্তেই গাদ্দার তা গ্রাস করে দিবে।আমি চাই এই ঐক্যে আরো শক্তিশালী হোক এবং অনন্তকাল টিকে থাকুক সেজন্যেই কথা গুলো বলা কেউ ভুল বুঝবেন না।
***নাঈমুল হক***
বিষয়: বিবিধ
১১১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন